For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

সারা শীতকাল জুড়ে প্রতিদিন এক চামচ করে ঘি খাওয়া উচিত কেন জানা আছে?

এই খাবারটি খাওয়া মাত্র শরীরে একাধিক উপকারি ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রবেশ ঘটে। ফলে সব দিক থেকে শরীর এতটাই চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে একাধিক রোগ শরীরের ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

|

কেউ বলে ঘি খেলে নাকি ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে। আবার কেউ বলে প্রতিদিনের ডায়েটে যদি ঘিকে জায়গা করে দেওয়া হয়, তাহলে নাকি হার্টের বারোটা বেজে যায়। আচ্ছা লোকে কী বলে তা থাক না, চলুন চিকিৎসা বিজ্ঞানের কী মতামত ঘিকে নিয়ে সেটা জানা যাক...!

একাধিক গবেষণায় পর একথা জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেছে যে প্রতিদিন ১-২ চামচ ঘি খাওয়া বেজায় স্বাস্থ্যকর অভ্য়াস। কেন? কারণ এই খাবারটি খাওয়া মাত্র শরীরে একাধিক উপকারি ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রবেশ ঘটে। ফলে সব দিক থেকে শরীর এতটাই চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে একাধিক রোগ শরীরের ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। শুধু তাই নয়, রোজের ডায়েটে ঘিকে অন্তর্ভুক্ত করলে শীতকালে বারে বারে সর্দি-কাশি এবং জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি আরও নানাবিধ উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন...

১. চোখের ক্ষমতা বাড়ে:

১. চোখের ক্ষমতা বাড়ে:

বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত ঘি খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে ভিটামিন এ-এর ঘাটতি দূর হয়। ফলে দৃষ্টিশক্তির যেমন উন্নতি ঘটে, তেমনি ছানি পরা, বা গ্লকোমার মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে। তাই তো বলি বন্ধু, যারা সারাদিন কম্পিউটারে কাজ করেন, তারা নিয়মিত ঘি খেতে ভুলবেন না যেন!

২. খুশকির প্রকোপ কমে:

২. খুশকির প্রকোপ কমে:

খেয়াল করে দেখবেন শীতকালে ড্যানড্রাফের মতো ত্বকের রোগের প্রকোপ বেশি মাত্রায় বৃদ্ধি পায়। তাই তো এই সময় ঘি-এর সঙ্গে বন্ধুত্ব করাটা মাস্ট! কিন্তু ঘি-এর সঙ্গে খুশকির চিকিৎসার কী সম্পর্ক? আসলে বন্ধু, নিয়মিত স্কাল্পে ঘি লাগিয়ে মাসাজ করার পর হালকা গরম জল দিয়ে তা ধুয়ে ফেললে খুশকির প্রকোপ কমতে একেবারেই সময় লাগে না।

৩. ভিটামিনের শোষণ ঠিক মতো হয়:

৩. ভিটামিনের শোষণ ঠিক মতো হয়:

বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে ঘিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে শরীর দ্বারা ভিটামিনের শোষণ বেড়ে যায়। ফলে দেহের অন্দরে কখনও ভিটামিনের ঘাটতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। সেই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।

৪. পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়:

৪. পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়:

একেবারেই ঠিক শুনেছেন বন্ধু! একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন ঘি খাওয়া শুরু করলে দেহের অন্দরে একদিকে যেমন ভিটামিন এ এবং ই-এর ঘাটতি দূর হয়, তেমনি অ্যান্টি-অ্যাক্সিডেন্টের মাত্রাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে পুষ্টির ঘাটতি দূর হওয়ার পাশাপাশি দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও এতটা শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।

৫. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না:

৫. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না:

ঘিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে উপস্থিত ফ্রি রেডিকালদের ক্ষতি করার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। ফলে কোষের বিন্যাসে পরিবর্তন হয়ে ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, আমাদের দেশে অনেকেই ঘি সহযোগে রান্না করে থাকেন। এই অভ্যাসও কিন্তু খারাপ নয়। কারণ ঘি-এর "স্মোকিং পয়েন্ট" খুব হাই। ফলে বেশি তাপমাত্রায় রান্না করলেও কোনও ক্ষতি হয় না।

৬. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

৬. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

খাবার হজম করতে সহায়ক নানাবিধ স্টমাক অ্যাসিডের ক্ষরণ বাড়াতে ঘি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বল হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। এখানেই শেষ নয়, প্রখ্যাত সেলিব্রিটি নিউট্রিশনিস্ট রুজুতা দিওয়াকার তার লেখা একাধিক বইয়ে ঘির উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করতে গিযে বলেছেন, খিচুড়ি বা পুরান পলির মতো খাবার ঠিক মতো হজম করাতে এই সবের সঙ্গে ঘি খাওয়া মাস্ট! কারণ ঘি যে কোনও ধরনের রিচ খাবারকে সহজে হজম করিয়ে দিতে সক্ষম।

৭. এনার্জির ঘাটতি দূর করে:

৭. এনার্জির ঘাটতি দূর করে:

বিশেষজ্ঞদের মতে ঘিতে উপস্থিত উপকারি ফ্যাটি অ্যাসিড, বিশেষত লরিক অ্যাসিড একদিকে যেমন এনার্জির ঘাটতি দূরে করে শরীরকে চাঙ্গা করে তোলে, তেমনি শরীরকে সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো বলি বন্ধু দুষিত-বিষাক্ত পরিবেশে সুস্থ থাকতে রোডের ডায়েটে ঘিকে অন্তর্ভুক্ত করতে ভুলবেন না যেন!

৮. ওজন হ্রাস পায়:

৮. ওজন হ্রাস পায়:

একেবারেই ঠিক শুনেছেন! ঘি খেলে ওজন বাড়ে না, বরং কমে। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে ঘি-তে উপস্থিত এসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড শরীরে জমে থাকা অতিরিক্ত চর্বিদের ঝড়িয়ে ফেলতে সাহায্য করে। ফলে স্বাভাবিকবাবেই ওজন কমতে শুরু করে।

৯. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

৯. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

নিউট্রিশনিস্টদের মতে নার্ভের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সার্বিকবাবে ব্রেন পাওয়ারের উন্নতিতে ঘি-এর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এত উপস্থিত ওমাগা- ৬ এবং ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীর এবং মস্তিষ্ককে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি প্রাকাশিত বেশ কিছু গবেষমায় দেখা গেছে এই দুই ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড ডিমেনশিয়া এবং অ্যালঝাইমারসের মতো রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

১০. ত্বকের সৈন্দর্য বৃদ্ধি পায়:

১০. ত্বকের সৈন্দর্য বৃদ্ধি পায়:

আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে ঘি হল হল প্রকৃতিক ময়েশ্চারাইজার, যা ত্বক এবং ঠোঁটের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা ফিরিয়ে আনতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, প্রতিদিন অল্প পরিমাণ ঘি-এর সঙ্গে যদি সামান্য় জল মিশিয়ে মুখে লাগাতে পারেন, তাহলে ত্বকের বয়স কমে চোখে পরার মতো। ফেল নিমেষে ত্বকের সৌন্দর্য কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

১১. দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়:

১১. দেহের তাপমাত্রা বেড়ে যায়:

বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে ঘি খাওয়া মাত্র দেহের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে শরীরের তাপমাত্রা বাড়তে শুরু করে। এই কারণেই তো ঠান্ডার মার থেকে বাঁচতে শীতকালে বেশি করে ঘি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

Why you must have desi ghee in winters

Ghee or clarified butter made from cow's milk has been used to treat a number of ailments like cough and cold, weakness, skin diseases and pimples. It is said that aged cow's ghee when applied on chest loosens cough and when onions fried in it are eaten, they relieve sore throat. Ghee is an essential part of Chaywanprash, India's ancient super food which is a must have during winters.
Story first published: Tuesday, October 30, 2018, 15:51 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion