Just In
- 2 hrs ago রাতে খারাপ এবং ভয়ের স্বপ্ন আসে? সহজ জ্যোতিষী সমাধান স্বস্তি দেবে
- 4 hrs ago আপনি কি সেলফি তুলতে পছন্দ করেন? বিশেষজ্ঞরা বলছেন সেলফি স্বাস্থ্যকর
- 4 hrs ago হিন্দু নববর্ষের ৩ দিন আগেই গ্রহ পরিবর্তন, শনির প্রভাবে অর্থ-বৃষ্টির সম্ভাবনা এই রাশিগুলিতে
- 21 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
মাত্র ২ দিন ব্রেকফাস্ট না করলে আপনার শরীরের কতটা ক্ষতি হতে পারে জানেন?
সিংহভাগই ব্রেকফাস্ট ঠিক মতো করেন না। ফলে যা হওয়ার তাই হয়! একদিকে যেমন শরীর ভাঙতে শুরু করে, তেমনি একাধিক রোগের আক্রমণে জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে। ফলে হঠাৎ মৃত্যুর আশঙ্কা বেড়ে যায়।
দিনের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ মিল হল ব্রেকফাস্ট। শরীরের সচলতা থেকে রোগমুক্তি, সবই নির্ভর করে এই সময় কী খাবার, কতটা পরিমাণে খাওয়া হচ্ছে তার উপর। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হল সিংহভাগই ব্রেকফাস্ট ঠিক মতো করেন না। ফলে যা হওয়ার তাই হয়! একদিকে যেমন শরীর ভাঙতে শুরু করে, তেমনি একাধিক রোগের আক্রমণে জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে। ফলে হঠাৎ মৃত্যুর আশঙ্কা বেড়ে যায়।
একেবারেই ঠিক শুনেছেন, ব্রেকফাস্টকে আমরা যতটা তাচ্ছিল্যের চোখে দেখি না কেন। সকালবেলা খাবার না খাওয়ার ফল মারাত্মক হতে পারে। শুধু তাই নয়, মাত্র ২ দিন ব্রেকফাস্ট না করলেই মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যায় শরীরের। তাই সাবধান!
প্রসঙ্গত, ব্রেকফাস্ট না করার কারণে যে যে শারীরিক সমস্যাগুলি সাধারণত মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে, সেগুলি হল...
১. পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেয়:
শরীরকে চালাতে নিয়মিত প্রয়োজন পরে জ্বালানির, এক্ষেত্রে ভিটামিন, মিনারেল এবং খনিজের। তাই কোনও একদিন যদি শরীরের অন্দরে এই গুরুত্বপূর্ণ উপাদানগুলির ঘাটতি দেখা দেয় তাহলে শরীরের সচলতা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে পুষ্টির ঘাটতি দেখা দেওয়ার কারণে শরীরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গের ক্ষমতা কমতে শুরু করে।
২. বুদ্ধির ধার কমতে থাকে:
ব্রেকফাস্ট না করলে শরীরে গ্লকোজ লেভেল কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে রক্তে শর্করার মাত্র কমে যাওয়ার কারণে ব্রেনে পুষ্টির ঘাটতি হতে শুরু করে। ফলে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধির ধারও কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একটি গবেষণা চলাকালীন দেখা গিয়েছিল যেসব বাচ্চা ব্রেকফাস্ট করে স্কুলে যায়, তারা যত দ্রুত শিখতে পারে, তত তাড়াতাড়ি কিন্তু সেই সব বাচ্চারা নিজের কাজ করতে পরে না, যারা ব্রেকফাস্ট স্কিপ করে। তাই মনোযোগ এবং বুদ্ধি বাড়াতে ব্রেকফাস্ট না করা কিন্তু কোনো ভাবেই চলবে না।
৩. ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে:
সকালে কিছু না খেয়েই যারা দিন শুরু করুন, তাদের শরীরে গ্লকোজ টলারেন্স বেড়ে যায়, যা এক সময়ে গিয়ে ইনসুলিন রেজিটেন্স হওয়ার পথকে প্রশস্ত করে করে। ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। আসলে অনেকটা সময় না খেয়ে হঠাৎ করে পেট পুরে খেয়ে ফললে শরীরের উপর মারাত্মক চাপ পরে। সেই সঙ্গে দেহে শর্করার মাত্রা এতটাই অস্বাভাবিক হাকে ওঠা-নামা করে যে ইনসুলিনের পক্ষে ঠিক মতো কাজ করা সম্ভবই হয় না। ফলে ধীরে ধীরে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা কমতে শুরু করে। আর এমনটা হতে থাকলে এক সময়ে গিয়ে ডায়াবেটিসের মতো রোগ শরীরে এসে বাসা বাঁধে।
৪. মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায়:
লক্ষ করে দেখবেন যখন পেটে ক্ষিদের আগুন জ্বলতে থাকে, তখন মন মেজাজও কেমন বিগড়ে যায়। তাই তো সকাল সকাল খাবার না খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীর ভাঙার সঙ্গে সঙ্গে মন মেজাজও খারাপ হতে শুরু করে। ফলে কোনও কিছুতেই মন বসতে চায় না। সম্প্রতি ব্রিটেনে হেওয়া একটি গবেষণায় দেখা গেছে ব্রেকফাস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের শরীরে বিশেষ কিছু হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়, যা মনকে একেবারে চাঙ্গা করে তোলে। আর যখন কেউ প্রাতঃরাশ করেন না, তখন একেবারে উল্টো ঘটনা ঘটে। তাই সকালটা যদি খুশি মনে শুরু করতে চান, তাহলে ভুলেও ব্রেকফাস্টের থেকে মুখ ঘুরিয়ে নেবেন না যেন!
৫. ওজন বৃদ্ধি পায়:
অনেকেই ভাবেন কম খেলে ওজন কমে। এই ধরণা কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। বরং যত কম খাবেন, তত বেশি বেশি করে ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। কেন এমনটা হয় জানেন? ব্রেকফাস্ট না করার কারণে লাঞ্চের সময় আসতে আসতে এতটাই ক্ষিদে পেয়ে যায় যে মাত্রাতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয়ে যায়। ফলে শরীরে অতিরিক্ত ক্যালরি জমা হতে হতে এক সময়ে গিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সেই কারণেই তো চিকিৎসকেরা ব্রেকফাস্ট, লাঞ্চ এবং ডিনার, এই তিনটে সময়ে ভুলেও খালি পেটে থাকতে মানা করেন।
৬. হার্টের কর্মক্ষমতা কমতে শুরু করে:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে দিনের পর দিন ব্রেকফাস্টে না করলে রক্তচাপ বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে থাকার কারণে হার্টের মারাত্মক ক্ষতি হয়। প্রসঙ্গত, হাওয়ার্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এক পরীক্ষায় দেখা গেছে ব্রেকফাস্ট না করলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। এবার বুঝেছেন তো সকালে খালি পেট থাকাটা কতটা ভয়ঙ্কর।
৭. হজম ক্ষমতা কমে যায়:
খাবার হল জ্বালানি, যাকে কাজে লাগিয়ে শরীর সচল থাকে। সেই কারণেই তো সকাল বেলা কিছু না খেলে শরীরের কাছে নির্দেশ যায় কম কম কাজ করার জন্য। কারণ জ্বালানি তো নেই, বেশি বেশি করে কাজ করবেই বা কীভাবে! তাই তো জ্বালানি বাঁচাতে ধীরে ধীরে শরীর কম কাজ করতে শুরু করে। এমনটা হওয়া মাত্র বেসাল মেটাবলিক রেট কমে যাওয়ার কারণে হজম ক্ষমতাও কমতে শুরু করে দেয়। ফলে একদিকে যেমন ওজন বৃদ্ধি পায়, তেমনি মেটাবলিজম কমে যাওয়ার কারণে গ্যাস-অম্বল এবং বদহজমের মতো সমস্যা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করে।
৮. এনার্জির ঘাটতি দেখা দেয়:
ব্রেকফাস্ট আমাদের শরীরের ২৫ শতাংশ এনার্জির চাহিদা পূরণ করে। তাই সকাল সকাল পেট খালি রাখার অভ্যাস করলে দেহে এই পরিমাণ এনার্জির ঘাটতি দেখা দেয়। ফলে শরীর, রিজার্ভে রাখা এনার্জিকে কাজে লাগাতে শুরু করে। এমনটা হওয়া মাত্র দেহের কর্মক্ষমতা কমেই, সেই সঙ্গে কাজ করার ইচ্ছাও চলে যায়। তাই কর্মক্ষেত্রে সফল হতে ব্রেকফাস্টের সঙ্গ ছাড়া কিন্তু চলবে না।