For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

ওয়াল্ড অস্টিওপরোসিস ডে: হাড়কে বাঁচাতে হলে ২-৩ দিন খেতেই হবে পোস্ত বড়া নয়তো আলু পোস্ত!

পোস্ত খাওয়া শুরু করলে যে কেবল হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, তা নয়। সেই সঙ্গে আরও উপকার পাওয়া যায়।

|

শুনে একটু অবাক হলেন, তাই তো! একটু সহজ করে বলি তাহলে। হাড়কে শক্তপোক্ত রাখে ক্যালসিয়াম। আর পোস্তয় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, উপরন্তু স্বাদে তো তোফাই। তাই তো প্রতিদিন না হলেও সপ্তাহে কম করে ২-৩ দিন যদি পোস্ত দিয়ে বানানো হরেক রকমের পদ খাওয়া যায়, তাহলে বাঙালি খাদ্যরসিকদের রসনা তৃপ্তি তো হবেই, সেই সঙ্গে বুড়ো বয়সে গিয়ে অস্টিওপরোসিস বা বাতের মতো হাড়ের রোগে আক্রান্ত হয়ে শয্যাশায়ী হওয়ার আশঙ্কাও কমবে।

তবে পোস্ত খাওয়া শুরু করলে যে কেবল হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়, তা নয়। সেই সঙ্গে এই প্রাকৃতিক উপাদানটির অন্দরে উপস্থিত নিয়াসিন, কপার, ডায়াটারি ফাইবার, ফলেট,আয়রন, ফসফরাস, পটাশিয়াম,রাইবোফ্লবিন এবং আরও নানাবিধ উপকারি উপাদান নানা ভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে। যেমন ধরুন...

১. মাউথ আলসারের প্রকোপ কমে:

১. মাউথ আলসারের প্রকোপ কমে:

বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত পোস্ত খাওয়া শুরু করলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যাদের প্রভাবে মাউথ আলসারের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে পেটে যন্ত্রণা এবং স্টমাক সংক্রান্ত নানাবিধ রোগের প্রকোপও কমে চোখের পলকে।

২. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:

২. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:

পোস্তয় উপস্থিত অলিক অ্যাসিড শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসতে সময় লাগে না। তবে তাই বলে বেশি মাত্রায় পোস্ত খেলে কিন্তু বিপদ...!

৩. ত্বক সুন্দর হয়ে ওঠে:

৩. ত্বক সুন্দর হয়ে ওঠে:

শুষ্ক ত্বকের কারণে বেজায় চিন্তায় রয়েছেন? ফিকার নট! পরিমাণ মতো পোস্ত নিয়ে তার সঙ্গে জল মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। তারপর সেই পেস্টটা ভাল করে মুখে লাগিয়ে কিছু সময় রেখে দিন। সময় হয়ে গেলে ভাল করে মুখটা ধুয়ে নিন। এমনটা নিয়মিত করলে ত্বকের হারিয়ে যাওয়া আদ্রতা তো ফিরবেই, সেই সঙ্গে সৌন্দর্যও বৃদ্ধি পাবে। আসলে পোস্তের অন্দরে থাকা উপকারি ফ্য়াটি অ্যাসিড এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৪. হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ে:

৪. হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ে:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত পোস্ত দিয়ে বানানো নানা পদ খেলে শরীরে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। তাই তো যাদের পরিবারে হার্টের রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের এই প্রকৃতিক উপাদানটির সঙ্গে বন্ধুত্ব করটা কতটা দরকারি, তা নিশ্চয় বুঝেই গেছেন!

৫. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:

৫. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:

ব্রেনকে সচল রাখতে ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং কপারের কোনও বিকল্প আছে বলে তো মনে হয় না। আর এই সবকটি উপাদান প্রচুর পরিমাণে রয়েছে পোস্তে। তাই তো ব্রেন পাওয়ার যদি বাড়াতে হয়, তাহলে পোস্ত খেতে ভুলবেন না যেন! প্রসঙ্গত, যে কোনও ধরনের মস্তিষ্কঘটিত রোগকে দূরে রাখতেও কিন্তু পোস্ত দারুন কাজে আসে।

৬. গলার ব্যথা কমে যায় নিমেষে:

৬. গলার ব্যথা কমে যায় নিমেষে:

ঠান্ডা গরমের কারণে বেজায় গলায় ব্যথা? কোনও চিন্তা করবেন না। ঝটপট এক চামচ নারকেলর দুধের সঙ্গে এক চামচ পোস্ত এবং মধু মিশিয়ে নিন। ভাল করে সবকটি উপাদান মিশে গেলে মিশ্রনটি খেয়ে ফেলুন। কয়েকদিন এমনভাবে এই পানীয়টি খেলেই দেখবেন কষ্ট কমে গেছে। আসলে পোস্তের মধ্যে নসেপাইন এবং কোডেইন নামক দুটি উপাদান রয়েছে, যা গলার ব্যথা এবং সর্দি-কাশি কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৭. পুষ্টিকর উপাদানের চাহিদা মেটে:

৭. পুষ্টিকর উপাদানের চাহিদা মেটে:

শরীরকে সচল রাখতে প্রতিদিন যে যে উপাদানগুলির প্রয়োজন পরে, তার বেশিরভাগেরই যোগান দিয়ে থাকে পোস্ত। তাই তো নিয়মিত পোস্ত বড়া বা আলু পোস্ত খেলে দেহের অন্দরে ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, ভিটামিন সি, থিয়ামিন এবং ভিটামিন বি৬-এর ঘাটতি দূর হতে সময় লাগে না। ফলে স্বাভবিকভাবেই শরীরের সচলতা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি রোগ ভোগের আশঙ্কাও কমে।

৮. পেটের রোগের প্রকোপ কমে:

৮. পেটের রোগের প্রকোপ কমে:

এবার থেকে যখনই দেখবেন স্টমাক পেন হচ্ছে, তখন অল্প করে পোস্ত গুঁড়ো নিয়ে তার সঙ্গে পরিমাণ মতো ঘি মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নেবেন। তারপর সেই পেস্টটা ধীরে ধীরে পেট লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলেই দেখবেন কষ্ট কমে যাবে। নিশ্চয় ভাবছেন, পোস্তের মধ্যে এমন কী আছে, যার জন্য এমন কাজে লেগে থাকে! আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানের মধ্যে পেপাভেরিন নামক এক ধরনের উপাদান থাকে, যা পেটের পেশীর কর্মক্ষমতা বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে অ্যাবডোমিনাল পেন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৯. এনার্জির ঘাটতি দূর হয়:

৯. এনার্জির ঘাটতি দূর হয়:

পোস্তোর অন্দরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট, যা শরীরের ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি এনার্জির ঘাটতি দূর করতে দারুন কাজে আসে। তাই তো বলি বন্ধু, শরীরের সচলতা যদি বাড়াতে হয়, তাহলে সপ্তাহে ১-২ দিন পোস্ত খেতে ভুলবেন না যেন!

১০. ইনসমনিয়ার মতো সমস্যার প্রকোপ কমে:

১০. ইনসমনিয়ার মতো সমস্যার প্রকোপ কমে:

আপনিও কি এমন সমস্যার শিকার? তাহলে প্রতিদিন পোস্ত দিয়ে বানানো চা পান করা শুরু করা উচিত। কারণ একাধিক কেস স্টাডিতে দেখা গেছে এই পানীয়টি নার্ভকে শান্ত করার মধ্যে দিয়ে অনিদ্রার সমস্যাকে দূর করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে পোস্তের অন্দরে থাকা নানাবিধ উপকারি উপাদান কর্টিজল হরমোনের ক্ষরণ কমিয়ে স্ট্রেস বা মানসিক অবসাদকে কমিয়ে আনতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

১১. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

১১. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

একেবারেই ঠিক শুনেছেন বন্ধু! পোস্ত খাওয়া মাত্র শরীরে ফাইবারের মাত্রা এত পরিমাণে বেড়ে যায় যে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটতে সময় লাগে না। তাই তো বলি খাদ্য রসিক বাঙালি, পেটকে যদি ঠান্ডা রাখতে হয়, তাহলে পোস্ত খেতে ভুলবেন না যেন!

Read more about: শরীর রোগ
English summary

What Are the Benefits of Poppy Seeds?

Poppy Seeds health benefits includes alleviating stress promoting good sleep, treating mouth ulcer, increasing energy level, enhancing psychological health, strengthening bones and lowering blood pressure. Other benefits includes supporting kidney health, relieving body pain, treating eczema and inflammation, managing diabetes and supporting cardiovascular system.
Story first published: Saturday, October 27, 2018, 15:22 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion