Just In
ডেঙ্গুর মারে কাহিল স্বয়ং মমতা!
কোপটা পরার কথা ছিল মশার ঘারে। পরল ডাক্তারের গর্দানে। তাঁর ভুল কি জানেন?
কোপটা পরার কথা ছিল মশার ঘারে। পরল ডাক্তারের গর্দানে। তাঁর ভুল কি জানেন? তিনি রাজ্য সরকারের কারচুপিটা ফেসবুকের অতি সাধারণ একটা পোস্টের মাধ্যমে সামনে এনে ফেলেছেন। এখন সবাই জেনে ফেলেছে ডেঙ্গু রোগে আক্রান্তের যে সংখ্যাটা সরকার প্রকাশ করে আসছে, তা বেজায় ভুলে ভরা। আসল সংখ্যাটা বড়ই বেশি। এমন পরিস্থিতিতে নিজের মুখ পোড়ার পর মমতা ব্যানার্জি চুপ থাকেন কিভাবে! তাই রক্তচক্ষু মুখ্যমন্ত্রীর সরকারি নির্দেশনামায় এখন ঘর বন্দি ডাঃ অরুণাচল দত্ত চৌধুরী। প্রসঙ্গত, সরকারি হিসেব অনুযায়ী গত জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত সরকারি হাসপাতালে মোট ১৯ জন ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন, যেখানে আক্রান্তের সংখ্যাটা প্রায় ১৮০০০-এর কাছাকাছি।
সরকারি চিকিৎসা ব্যবস্থা যখন অ্যাডিস মশার কামড়ে জর্জরিত তখন নিজের খেয়ালটা নিজেকে না রাখলে যে বেজায় বিপদ, তা নিশ্চয় এতক্ষণে বুঝে গেছেন আপনারা। তাই ডেঙ্গুর আক্রমণ থেকে বাঁচতে এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবার খাওয়া শুরু করুন। না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ! প্রসঙ্গত, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবারগুলি ডেঙ্গুর মার থেকে বাঁচাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো রোদের ডায়েটে এদের অন্তর্ভুক্তি মাস্ট!
এমন পরিস্থিতিতে আপনাকে এবং আপনার পরিবারকে সুস্থ রাখতে যে যে খাবরগুলি বিশেষ ভূমিকা নিতে পারে, সেগুলি হল...
১. পেঁপে পাতা:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে পেঁপে পাতায় উপস্থিত একাধিক কার্যকরী উপাদান শরীরে প্লেটলেট কাউন্ট বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে কোনও দিক থেকেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। আর যারা ইতিমধ্যেই এই মারণ রোগে আক্রান্ত হয়েছেন, তাদেরও যদি নিয়মিত পেঁপে পাতার রস খাওয়ানো যায়, তাহলে দারুন উপকার মেলে।
২. গুলঞ্চ:
কয়েক হাজার বছর ধরে নানা রোগের উপশমে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে এই প্রকৃতিক উপাদানটির ব্যবহার হয়ে আসছে। আর এখন তো ডেঙ্গুকে আটকাতেও কাজে লাগানো হচ্ছে এই পাতাটিকে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত গুলঞ্চ পাতা খেলে মেটাবলিক রেটের উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এতটাই শক্তিশালী হয় যে সংক্রমণের আশঙ্কা প্রায় শূন্যতে এসে দাঁড়ায়। এক্ষেত্রে পরিমাণ মতো গুলঞ্চ পাতা নিয়ে জলে ফুটিয়ে নিন। তারপর জলটা ছেঁকে নিয়ে পান করুন। নিয়মিত যদি এই ঘরোয়া পদ্ধতিটি অনুসরণ করতে পারেন। তাহলে এ বছর আর ডেঙ্গু রোগ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।
৩. তুলসি পাতা:
সবার বাড়িতেই নিশ্চয় তুলসি গাছ আছে? তাহলে আর ডেঙ্গু নিয়ে ভাবতে হবে না। কারণ তুলসি পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট মশাবাহিত এই রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটাই ক্ষমতাবান করে দেয় যে সংক্রমণ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। পরিমাণ মতো তুলসি পাতা এবং ২ গ্রাম গোলমরিচ নিয়ে ফুটিয়ে নিন। তারপর সেই জলটি পান করুন। তাহলেই কেল্লাফতে!
৪. ডাবের জল:
এতে উপস্থিত শরীরের প্রয়োজনীয় খনিজ এবং ইলেকট্রোলাইট শরীরে জলের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি টক্সিক উপাদানদের দেহ থেকে বের করে দেয়। ফলে ডেঙ্গু সহ একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হলে শরীরের বিশেষ কিছু খনিজের প্রয়োজন পরে, যে ঘাটতি মেটাতে ডাবের জলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
৫. ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার:
ডেঙ্গুর মতো রোগের আক্রমণকে আটকাতে হলে শরীরের অন্দরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা নামে যে দেওয়ালটি আছে তাকে বেশ শক্তপক্তো করতে হবে। আর এই কজটি করতে পারে একমাত্র ভিটামিন সি। তাই তো পেঁপে, স্ট্রবেরি, ব্রকলি, কমলা লেবু, পাতি লেবু, মৌসাম্বি লেবু এবং আনারসের মতো ভিটামিন সি সমৃদ্ধি ফল এবং সবজি বেশি বেশি করে খেতে হবে। তাহলেই আর কোনও চিন্তা থাকবে না।
৬. নিম পাতা:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত নিম পাতার রস খেলে প্লেটলেট কাউন্ট বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে শ্বেত রক্ত কণিকার উৎপাদনও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। এখানেই শেষ নয়, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলে ডেঙ্গু ভাইরাসকে দূরে রাখতেও নিম পাতা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৭. কমলা লেবুর রস:
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিনে পরিপূর্ণ এই ফলটি নিয়মিত খাওয়ার অভ্যাস করলে ভিতর থেকে শরীর এতটা শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে ডেঙ্গু ভাইরাস কোনও ভাবেই ক্ষতি করতে পারে না। প্রসঙ্গত, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার পরে নিয়মিত যদি রোগীকে কমলা লেবুর রস খাওয়া যায়, তাহল রোগ সারতে একেবারেই সময় লাগে না।
৮. মেথি-গাছ:
ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ কমানোর পাশাপাশি গা-হাত পায়ের ব্যথা কমাতেও মেথি পাতা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, ডেঙ্গুর অন্যান্য লক্ষণ কমাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।