For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

দ্রুত ওজন কমাতে দারচিনির উপর ভরসা রাখতে পারেন কিন্তু!

সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত যদি দারচিনি খাওয়া যায়, তাহলে ফ্যাট সেলেরা বার্ন হতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

By Nayan
|

অতিরিক্ত ওজনের কারণে যদি বেজায় চিন্তায় থাকেন, তাহলে আজই দারচিনির সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নিন। দেখবেন সুফল পাবেনই পাবেন।

আসলে এতদিন পর্যন্ত এই প্রকৃতিক উপাদানটির এই গুণটি সম্পর্কে একেবারেই অবগত ছিলেন না বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত যদি দারচিনি খাওয়া যায়, তাহলে ফ্যাট সেলেরা বার্ন হতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কিন্তু দারচিনি এই কাজটি করে কিভাবে? ইউনিভার্সিটি অব মিচিগানের গবেষকদের করা এই গবেষণায় দেখা গেছে দারচিনির অন্দরে উপস্থিত সিনেমেলডিহাইড নামক এক এসেনশিয়াল ওয়েল এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই উপাদানটি শরীরে প্রবেশ করার পর হজম ক্ষমচাকে বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ফ্যাট সেল বার্ন করার প্রক্রিয়াটিকে ত্বরান্বিত করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই মেদ ঝরতে শুরু করে। তাই দ্রুত যদি শরীরকে শেপে আনতে চান, তাহলে দারিচিনিকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন! তবে এই প্রকৃতিক উপাদানটি যে কেবল ওজন ঝরায়, এমন নয়। সেই সঙ্গে শরীরের আরও অনেক উপকারে লেগে থাকে। যেমন...

১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি মেটায়:

১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতি মেটায়:

শরীরকে রোগ মুক্ত রাখতে যে যে উপাদানগুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট তার মধ্যে অন্যতম। শুধু তাই নয়, শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের বের করে দিয়ে ক্যান্সারের মতো রোগকে দূরে রাখতেও এই উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর দারচিনি, সেই শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রাই বৃদ্ধি করে শরীরের অন্দরে। এবার নিশ্চয় বুঝতেই পারছেন প্রতিদিন চারচিনির খাওয়ার প্রয়োজন কতটা।

২. শরীরের প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়:

২. শরীরের প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা নেয়:

দেহের অন্দরে প্রদাহের মাত্রা বাড়তে শুরু করলে ধীরে ধীরে গুরুত্বপূর্ণ কোষেদের ক্ষতি হতে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই তো শরীরে যাতে কোনওভাবে প্রদাহের মাত্র বৃদ্ধি না পায়, সেদিকে খেয়াল রাখা একান্ত প্রয়োজন। আর এই কাজটি করবেন কিভাবে? প্রতিদিন নিয়ম করে দারচিনি খাওয়া শুরু করুন। তাহলেই দেখবেন কেল্লাফতে! আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটির শরীরে একাধিক অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান থাকে, যা প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৩. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

৩. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

দারচিনির মধ্যে থাকা একাধিক উপাকারি উপাদান রক্তচাপ স্বাভাবিক করার পাশাপাশি খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার এই দুটি রোগ নিয়ন্ত্রণে চলে আসলে হার্টের স্বাস্থ্য নিয়ে কোনও চিন্তাই থাকবে না। সেই কারণেই তো যাদের পরিবারে এইসব মারণ রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের নিয়ম করে দারচিনি খাওয়ার পরামর্শ দেন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকেরা।

৪. ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে:

৪. ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখে:

গত কয়েক বছরে এত মাত্রায় সুগার রোগীর সংখ্যা বেড়েছে যে আমাদের দেশ সারা বিশ্বের মধ্যে ডায়াবেটিস ক্যাপিটালে পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের ডায়াবেটিসের মার থেকে বাঁচাতে দারিচিনির সঙ্গে বন্ধুত্ব করা মাস্ট! কারণ এই মশলাটি শরীরে প্রবেশ করার পর বিশেষ কিছু এনজাইমের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়, যারা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়তে দেয় না। সেই সঙ্গে ইনসুলিনের উৎপাদনও বাড়িয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

৫. অ্যালঝাইমারের মতো রোগকে দূরে রাখে:

৫. অ্যালঝাইমারের মতো রোগকে দূরে রাখে:

বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ব্রেন সেলের কর্মক্ষমতা কমতে থাকে। সেই সঙ্গে বেশ কিছু সেল শুকিয়ে যেতেও শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে মস্তিষ্কের কগনিটিভ ফাংশন তো কমেই, তার পাশাপাশি ডিমেনশিয়া বা অ্যালঝাইমারসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, এমনটা কিন্তু আপনার সঙ্গেও হতে পারে। তাই সময় থাকতে থাকতে দারচিনি খাওয়া শুরু করুন। এমনটা করলে দেখবেন বয়স বাড়লেও তার প্রভাব মস্তিষ্কের উপর পরবে না। আসলে দারচিনির অন্দরে থাকা বেশ কিছু উপাদান নিউরনদের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে ব্রেনের মোটোর ফাংশনে এতটা উন্নতি ঘটায় যে কগনিটিভ ডিজেনারেশন বা মস্তিষ্কের বুড়ো হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

৬. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে:

৬. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে দারচিনির মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে টিউমার হওয়ার সম্ভাবনাও কমে।

৭. সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায়:

৭. সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমায়:

দারচিনিতে থাকা সিনেমেলডিহাইড নামক একটি এসেনশিয়াল অয়েল দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটা শক্তিশালী করে দেয় যে কোনও ধরনের জীবাণুই ধারে কাছে ঘেঁষার সাহস পায় না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

অতিরিক্ত ওজনের কারণে যদি বেজায় চিন্তায় থাকেন, তাহলে আজই দারচিনির সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে নিন। দেখবেন সুফল পাবেনই পাবেন।

Looking for ways to shed those extra kilos? Cinnamon, a common household spice, may help you lose weight as well as improve metabolism by making the fat cells burn energy, a study has found.
Story first published: Thursday, November 23, 2017, 10:40 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion