For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

তেজ পাতা খেলে শরীরের কত উপকার হয় জানা আছে?

তেজ পাতায় উপস্থিত ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ শরীরকে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে এতে থাকা ফলিক অ্যাসিড একাধিক রোগকে দূরে রাখতেও সাহায্য করে।

By Nayan
|

আপনি কম করে ১০০ বছর বাঁচতে চান কিনা? হ্যাঁ অবশ্যই চাই। তাহলে আজ থেকেই সকাল-বিকাল তেজ পাতা দিয়ে বানানো চা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন অল্প দিনেই জানতে পেরে যাবেন কীভাবে তেজ পাতা আয়ু বৃদ্ধি করে থাকে।

আরে মশাই অত ধৈর্য নেই। এখনই বলুন না সুস্থ শরীর পেতে কীভাবে কাজে আসে এই প্রকৃতিক উপাদানটি। একাধিক কেস স্টিড করে দেখা গেছে তেজ পাতায় উপস্থিত ভিটামিন সি এবং ভিটামিন এ শরীরকে চাঙ্গা রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে এতে থাকা ফলিক অ্যাসিড একাধিক রোগকে দূরে রাখতেও সাহায্য করে। এখানেই শেষ নয়, আরও বেশি কিছু উপকারি উপাদানের সন্ধান পাওয়া যায় তেজ পাতার শরীরে। যেমন, কপার, সেলেনিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক,ম্যাগনেসিয়াম, মেঙ্গানিজ, পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম। প্রসঙ্গত, শরীরকে নানা জটিল রোগের হাত থেকে বাঁচাতে যে যে উপাদানের প্রয়োজন পরে, তা সবই উপস্থিত রয়েছে তেজ পাতায়। এবার নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন প্রতিদিন কেন তেজ পাতা খাওয়ার পরামর্শ দেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা। প্রসঙ্গত, নিয়মিত তেজ পাতা খেলে মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন...

১. রেসপিরেটরি কন্ডিশনের উন্নতি ঘটায়:

১. রেসপিরেটরি কন্ডিশনের উন্নতি ঘটায়:

ঠান্ডা-গরমের কারণে কি বুকে সর্দি বসেছে? তাহলে বন্ধু আর সময় নষ্ট না করে অল্প কয়েকটা তেজপাতা সংগ্রহ করে তার থেকে তেল বানিয়ে ফেলুন। সেই তেল বুকে মাসাজ করলেই দেখবেন সমস্যা কমতে শুরু করবে, সেই সঙ্গে ফুসফুসের সংক্রমণও হ্রাস পাবে। প্রসঙ্গত, তেজ পাতা থেকে বানানো তেলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ থাকে, যা যে কোনও ধরনের সংক্রমণ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

২. উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে:

২. উচ্চ রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখে:

সারা শরীরজুড়ে রক্তের সরবরাহে উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখাতেও তেজ পাতার জুড়ি মেলা ভার। তাই তো যাদের পরিবারে উচ্চ রক্তচাপের ইতিহাস রয়েছে তারা নিয়মিত তেজ পাতা দিয়ে বানানে চা খেতে পারেন। দেখবেন উপকার মিলবে।

৩. ইউরিক অ্যাসিড:

৩. ইউরিক অ্যাসিড:

দিনে কম করে ২ কাপ তেজ পাতা দিয়ে তৈরি চা খেলে শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে নিমেষেই কমে যায় সেই সম্পর্কিত শারীরিক কষ্টও।

৪. সর্দি-কাশির প্রকোপ কমায়:

৪. সর্দি-কাশির প্রকোপ কমায়:

আজ তাপমাত্রা ৪০-এর কাঁটা ছুঁয়েছে তো, কাল অঝোরে বৃষ্টিতে গায়ে চাদর দিতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে ঠান্ডা-গরমের কারণে সর্দি-কাশি-জ্বর হওয়া খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। তাই তো বাড়িতে তেজ পাতা মজুত করা শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন। কারণ নিয়মিত তেজ পাতা দিয়ে বানানো চা খেলে জ্বর তো কমেই। সেই সঙ্গে সর্দি-কাশি এবং বুকে কফ জমার মতো সমস্যাও কমতে শুরু করে।

৫. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

৫. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

তেজ পাতায় উপস্থিত ফিটোনিউট্রিয়েন্ট, ক্যাফিক অ্যাসিড, সিলিসাইকেলেট এবং রুটিন হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৬. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

৬. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

বেশ কিছু কেস স্টাডিতে দেখা গেছে তেজ পাতার অন্দরে উপস্থিত একাধিক উপাকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর হজম ক্ষমতার উন্নতি তো ঘটায়ই, সেই সঙ্গে পেট খারাপ, গ্যাস-অম্বল এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই হে খাদ্য রসিক বাঙালি হাজারও অত্যাচারের পর পেটকে যদি ঠান্ডা রাখতে চান, তাহলে ভুলেও তেজ পাতার সঙ্গ ছাড়বেন না যেন!

৭. কনস্টিপেশন দূর করে:

৭. কনস্টিপেশন দূর করে:

প্রতিদিন সকালেই কী মারাত্মক কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়? এদিকে নানা চিকিৎসা করেও ফল মিলছে না? তাহলে আজ থেকেই তেজ পাতা দিয়ে বানানো চা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন কষ্ট কমে যাবে। এক্ষেত্রে এক কাপ করে দিনে দুবার এই বিশেষ চাটি পান করলে দারুন উপকার মিলবে।

৮. কিডনি স্টোনের চিকিৎসায় কাজে লাগে:

৮. কিডনি স্টোনের চিকিৎসায় কাজে লাগে:

তেজ পাতায় উপস্থিত বেশ কিছু কার্যকরী উপাদান কিডনির ভিতরে জমতে থাকা স্টোনগুলিকে শরীর থেকে বের করে দিতে সাহায্য করে। তাই তো এই ধরনের রোগে নিয়মিত তেজ পাতা দিয়ে বানানো চা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে রোগীকে।

৯. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে:

৯. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে:

রক্তে উপস্থিত শর্করার মাত্রা কমাতে তেজ পাতার কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। শুধু তাই নয়, একাদিক গবেষণায় দেখা গেছে শরীর খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা যাতে বেড়ে না যায় সেদিকেও খেয়াল রাখে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি। আসলে তেজ পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, ইনসুলিনের ক্ষরণ যাতে ঠিক থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সুগার লেভেল বাড়ার সুযোগ পায় না।

১০. যন্ত্রণা কমায়:

১০. যন্ত্রণা কমায়:

পা মচকে গেছে? আথ্রাইটিসের যন্ত্রণায় নরতে পারছেন না? কোনও চিন্তা নেই! আজ থেকেই তেজ পাতা দিয়ে তৈরি তেল দিয়ে মাসাজ শুরু করুন। দেখবেন কষ্ট কমতে সময় নেবে না। আসলে তেজ পাতায় উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদান শরীরে অন্দরে প্রদাহ কমিয়ে ব্যথা উপশম ঘটাতে সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, এই ধরনের শারীরিক সমস্যার প্রকোপ কমাতে তেজ পাতা দিয়ে বানানো চাও খেতে পারেন। সমান উপকার পাবেন।

Read more about: রোগ শরীর
English summary

আপনি কম করে ১০০ বছর বাঁচতে চান কিনা? হ্যাঁ অবশ্যই চাই। তাহলে আজ থেকেই সকাল-বিকাল তেজ পাতা দিয়ে বানানো চা খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন অল্প দিনেই জানতে পেরে যাবেন কীভাবে তেজ পাতা আয়ু বৃদ্ধি করে থাকে।

Bay leaves have a very strong effect on the gastrointestinal system, both stimulating urination as a diuretic, which decreases the toxicity of the body and also stimulating vomiting (as an emetic) when something toxic has been consumed. Furthermore, the organic compounds found in bay leaves are very effective for settling upset stomachs, soothing irritable bowel syndrome (IBS) or even lessening the symptoms of Celiac’s disease. Some of the more complex proteins in our modern diet can be difficult to digest, but the unique enzymes found in bay leaves help to facilitate efficient digestion and nutrient intake.
Story first published: Monday, January 15, 2018, 16:50 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion