Just In
- 5 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 6 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 10 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 11 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
ব্রণ ফাটানো কি আদৌ উচিত?
ফাটাবো কি ফাটাবো না? সারা মুখ ব্রণয় লাল হয়ে ওঠার পর এমন দোটানায় আমরা প্রায় সবাই পরে থাকি। কিন্তু শেষ সিদ্ধান্ত কি নেওয়া হচ্ছে, তার উপর কিন্তু অনেক কিছু নির্ভর করে থাকে।
ফাটাবো কি ফাটাবো না? সারা মুখ ব্রণয় লাল হয়ে ওঠার পর এমন দোটানায় আমরা প্রায় সবাই পরে থাকি। কিন্তু শেষ সিদ্ধান্ত কি নেওয়া হচ্ছে, তার উপর কিন্তু অনেক কিছু নির্ভর করে থাকে।
বেশ কিছু সমীক্ষায় দেখা গেছে বেশিরভাগেরই, ব্রণ হোক কী ফুসকুরি, তা যতক্ষণ না সেরে উঠছে সেই নিয়ে মনের মধ্যে একটা খুচখুচানি থাকেই যায়। আর এই ইরিটেশানের চক্করেই দু আঙুল দিয়ে টিপে ব্রণকে ত্রিভুজ বানিয়ে ঘ্যাচাং ফু করে দেওয়ার চেষ্টায় আমরা সবাই লেগে পরি। আর এমনটা করা মাত্র ঘটে যায় বেশ কিছু ঘটনা। যেমন...
১. সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পরে:
যে মুহূর্তে ব্রণকে ফাটানোর চেষ্টায় আমরা লেগে পরি, ঠিক সে সময়ই অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হওয়ার কারণে অ্যাকনের মধ্যে বাসা গেঁরে থাকা পুঁজ এবং ব্যাকটেরিয়া প্রথমে ত্বকের একেবারে উপরের স্থর, তারপর ধীরে ধীরে ডার্মিস নামক স্থর পেরিয়ে যদি একবার ভিতরে চলে যায়, তাহলেই বিপদ! কারণ সেক্ষেত্রে সারা মুখে ব্রণ ছড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি সংক্রমণ ছড়িয়ে গিয়ে আরও নানা সব ত্বকের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে। তাই সাবধান!
২. আরও অনেক অনেক ব্রণ:
ভুলবশত যদি ব্রণ একবার ফেটে যায় তাহলেও কিন্তু বিপদ! কারণ সেক্ষেত্রে পুঁজ এবং ব্যাকটেরিয়া ত্বকের ভিতরে না গিয়ে বাইরে বেরিয়ে এসে ত্বকের নানা জায়গায় ছড়িয়ে যায়। ফলে এক থেকে একাধিক ব্রণ হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাহলে কি বুঝলেন! ব্রণর অন্দরে থাকা সংক্রমণ না ত্বকের ভিতরে যাওয়া উচিত, না বাইরে। তাহলেই দেখবেন ধীরে ধীরে রোগ সেরে যাবে।
৩. নোংড়া হাতের কামাল:
সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ব্রণ ফাটায়, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। আর তাই তো দেখবেন কারওরই ব্রণর সমস্যা সহজে মিটতে চায় না, যদি না চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া হয় তো। আসলে নোংড়া হাতে ব্রণ ফাটানোর কারণে অ্যাকনের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া ত্বকের আশেপাশে তো ছড়িয়ে যায়ই, সেই সঙ্গে হাতে থাকা ব্যাকটেরিয়াও তাদের সঙ্গী হয়। ফলে মারাত্মক ত্বকের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। তাই একটা ব্রণ থেকে হাজারো ব্রণর জন্ম দিতে যদি না চান, তাহলে সাবধান হন!
৪. সারা মুখ দাগে ভরে যায়:
রাস্তা-ঘাটে খেয়াল করে দেখবেন অনেকই মুখে ব্রণর গর্তের মতো দাগ দেখতে পাবেন। এমনটা তাদের কেন হয়েছে জানেন? না, কেন বলুন তো? কারণ তারা ব্রণর চিকিৎসা না করিয়ে সেটাকে ফাটিয়ে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করেছিলেন, যার ফলে ত্বকের সেই অংশগুলি এতটাই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যে গর্তের মতো দাগ সৃষ্টি হয়ে গেছে।
আপনি কি চান আপনার সারা মুখ এমন দাগে ভরে যাক? যদি না চান, তাহলে ব্রণ না খুটিয়ে তাকে সারাতে কতগুলি ঘরোয়া পদ্ধতির সহায্য় নিতে পারেন। যেমন...
১. গ্রিন টি:
এতে উপস্থিত অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কম্পাউন্ড ত্বকের ভিতর থেকে সংক্রমণকে সারিয়ে তুলে ব্রণর প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, ব্রণর কারণে হওয়া মুখের দাগ সারাতেও এই পানীয়টি বিশেষ ভূমিকা পালন থাকে। এক্ষেত্রে এক কাপ গ্রিন টি বানিয়ে প্রথম ঠান্ডা করে নিতে হবে। তারপর তা দিয়ে ভাল করে মুখ ধুলে অথবা ক্ষতস্থানে লাগালে দারুন উপকার পাওয়া যায়।
২.মধু:
এই প্রকৃতিক উপাদানটির শরীরে থাকা অ্যান্টিবায়োটিক প্রপাটিজ সংক্রমণ সারিয়ে তুলার মধ্যে দিয়ে ব্রণ সারাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই আপনিও যদি এমন সমস্যায় ভুগে থাকেন, তাহলে এবার থেকে অবসর সময়ে ব্রণর উপর পরিমাণ মতো মধু লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দেবেন। সময় হলে হালকা গরম জল দিয়ে সারা মুখটা ভাল করে ধুয়ে নিতে ভুলবেন না। এমনটা কয়েকদিন করলেই দেখবেন ত্বক উজ্জ্বল এবং প্রণবন্ত হয়ে উঠবে, কমবে ব্রণর প্রকোপ।
৩. অ্যালোভেরা:
ত্বককে সুন্দর করে তুলতে এই প্রকৃতিক উপাদানটির কোনও বিকল্প যে হয় না সেকথা নিশ্চয় সবার জানা আছে। কিন্তু একথা কি জানেন যে ব্রণর চিকিৎসাতেও এই অ্যালোভেরা জেল বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ ত্বকের অন্দরে প্রদাহ কমিয়ে অ্যাকনেকে সমূলে বিনাশ করতে দারুন উপযোগি ভূমিকা পালন করে থাকে।
৪. লেবু:
সাইট্রাস পরিবারের সবথেকে জনপ্রিয় এই সদস্যটির শরীরে মজুত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আরও অনেক উপকারি উপাদান, যা ত্বকের অন্দরে প্রবেশ করার পর ব্রণ তো সারায়ই, সেই সঙ্গে অ্যাকনের কারণে হওয়া দাগ নিমূল করতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।