For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

নিয়মিত মুগ ডাল খেলে কী কী উপকার পেতে পারেন জানেন?

একাধিক স্টাডিকে দেখা গেছে আমাদের রাজ্যে মুগ ডাল প্রিয় মানুষের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে এই ডালটির সম্পর্কে ভাল-মন্দ জানার প্রয়োজন যে বেড়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই!

|

একাধিক স্টাডিকে দেখা গেছে আমাদের রাজ্যে মুগ ডাল প্রিয় মানুষের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে এই ডালটির সম্পর্কে ভাল-মন্দ জানার প্রয়োজন যে বেড়েছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। প্রসঙ্গত, প্রোটিন সমৃদ্ধ মুগ ডাল খেলে এমনতি কোনও সমস্যা হয় না ঠিকই। কিন্তু বেশি মাত্রায় খেলে কি কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে?

একাধিক পরীক্ষার পর এ বিষয়ে আর কোনও সন্দেহ নেই যে প্রোটিন, ফাইবার, ফলেট, ম্যাগনেসিয়াম, ভিটামিন বি১, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন বি৫, বি৬ এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ এই ডালটি নিয়মিত খেলে শরীরের কোনও ক্ষতি তো হয়ই না, উল্টে একাধিক উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন...

১. মুখ গহ্বর সম্পর্কিত রোগ দূরে থাকে:

১. মুখ গহ্বর সম্পর্কিত রোগ দূরে থাকে:

মুগ ডালে উপস্থিত ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম এবং আরও সব উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে মুখ গহ্বর সম্পর্কিত যে কোনও সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনা যায় কমে।

২. চুলের সৌন্দর্য বাড়ে:

২. চুলের সৌন্দর্য বাড়ে:

বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে নিয়মিত মুগ ডাল খাওয়া শুরু করলে শরীরের অন্দরে কপারের ঘাটতি দূর হতে শুরু করে, যার প্রভাবে স্কাল্পের স্বাস্থ্যের এত মাত্রায় উন্নতি ঘটে যে একদিকে চুল পড়ার হার কমে, আর অন্যদিকে চুলের সৌন্দর্য বাড়ে চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, অল্প পরিমানে মুগ ডাল নিয়ে তা বেটে নিয়ে তার সঙ্গে পরিমাণ মতো গ্রিন টি, অলিভ অয়েল এবং টক দই মিশিয়ে যদি চুলে লাগাতে পারেন, তাহলে আরও দ্রুত উপকার পাওয়া যায়।

৩.অ্যানিমিয়ার মতো রোগ দূরে পালায়:

৩.অ্যানিমিয়ার মতো রোগ দূরে পালায়:

প্রচুর মাত্রায় আয়রন থাকার কারণে নিয়মিত এই ডালটি খেলে শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অ্যানিমিয়ার মতো রোগ বেশি দিন শরীরকে কব্জা করে থাকতে পারে না। প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস আগে প্রকাশিত একটি রিপোর্ট অনুসারে আমাদের দেশে, তা সে গ্রামাঞ্চল হোক, কী শহরাঞ্চল, অ্যানিমিয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে মুগ ডাল খাওয়ার প্রয়োজন যে বাড়ছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

৪. হার্টের স্বাস্থ্য়ের উন্নতি ঘটে:

৪. হার্টের স্বাস্থ্য়ের উন্নতি ঘটে:

আজকের দিনে যুব সমাজের জীবনযাত্রা এমন হয়েছে যে হার্টের রোগে আক্রান্তের সংখ্যাটা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে নিয়মিত মুগ ডাল খাওয়ার প্রয়োজনও বেড়েছে। কারণ এই ডালটির শরীরে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইবার একদিকে যেমন রক্তচাপকে স্বাভাবিক মাত্রায় নিয়ে আসে, তেমনি শরীরে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর মধ্যে দিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে:

৫. ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে:

কাজের চাপ এবং পরিবেশ দূষণের কারণে অল্প বয়সেই কি ত্বক তার সৌন্দর্য হারাচ্ছে? তাহলে বন্ধু অল্প করে মুগ ডাল নিয়ে তা বেটে নিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিন। তারপর সেই পেস্ট ভাল করে মুখে লাগান। এমনটা প্রতিদিন করলে ত্বকের অন্দরে ভিটামিন এবং খনিজের ঘাটতি দূর হয়। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য ফিরতে সময় লাগে না। আর যদি একান্তই ফেস প্যাকটি বানাতে সময় না পান, তাহলে নিয়মিত মুগ ডাল খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন স্কিন ধীরে ধীরে খুব সুন্দর হয়ে উঠবে। সেই সঙ্গে বলিরেখাও কমতে থাকবে। ফলে ত্বক হয়ে উঠবে প্রাণবন্ত!

৬. ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:

৬. ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে চলে আসে:

যে যে রোগের কারণে ২১ শতকের পৃথিবীতে সব থেকে বেশি সংখ্যক মানুষের মৃত্যু ঘটছে, তার মধ্যে অন্যতম হল ডায়াবেটিস। আর আমাদের দেশ তো আজকের ডেটে সারা বিশ্বের মধ্যে ডায়াবেটিস ক্যাপিটালে পরিণত হয়েছে। তাই তো চিকিৎসকেরা ছোট থেকে বড় সবাইকেই মুগ ডাল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। কিন্তু মুগ ডালের সঙ্গে ডায়াবেটিসের কী সম্পর্ক? একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে মুগ ডাল শরীরে প্রবেশ করার পর দেহের অন্দরে এমন কিছু খেল দেখাতে শুরু করে যে ব্লাড সুগার লেভেল নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তাই তো যাদের পরিবারে এমন মারণ রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের বেশি করে মুগ ডাল খাওয়া উচিত।

৭.পেটের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

৭.পেটের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:

বাঙালি মানেই অল্প-বিস্তর পেটুক তো হবেই। আর পেটুক হওয়া মানেই পকেটে অ্যান্টাসিড থাকা মাস্ট! আসলে বেনিয়মে খাওয়া-দাওয়া করার কারণে বদ-হজম বাঙালির রোজের সঙ্গী। সেই সঙ্গে মাঝে মাঝে লেজুড় হয় গ্যাস-অম্বলও। এই কারণেই তো পেটুক মানুষদের প্রতিদিন নানাভাবে মুগ ডাল খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরো। আসলে এই ডলটিতে উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান, শরীরে প্রবেশ করার পর বিশেষ ধরনের কিছু ফ্যাটি অ্যাসিডের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়, যা পাকস্থলির কর্মক্ষমতা এতটা বাড়িয়ে দেয় যে বদ-হজম এবং গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।

৮. হাড় শক্তপোক্ত হয়:

৮. হাড় শক্তপোক্ত হয়:

বলেন কী মশাই ডাল খেলে হাড় শক্ত হয়? একেবারেই। আর কেন হবে নাই বা বলুন! মুগ ডালে ঠেসে ঠেসে ভরা রয়েছে ক্যালসিয়াম। আর এই খনিজটি যে হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা নেয়, তা কী আর বলে দিতে হবে। তাই বুড়ো বয়সে যদি কোমর এবং হাঁটুর যন্ত্রণায় কষ্ট পেতে না চান, তাহলে এখন থেকেই নিয়মিত মুগ ডাল খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে।

৯. ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে:

৯. ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে:

মুগ ডাল খাওয়া মাত্র কলেকসিস্টোকিনিন নামক এক ধরনের হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। প্রসঙ্গত, এই হরমোনটির উৎপাদন যত বাড়তে থাকে, তত ক্ষিদে কমতে থাকে। তখন মনে হয় যেন পেটটা অনেক ভরে গেছে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই খাওয়ার পরিমাণ কমতে থাকে। আর খাবার কম খেত খেতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

The many benefits of Moong Dal

Moong Dal is Packed with protein and low carbs, green gram otherwise known as moong dal is one of the best vegetarian superfoods. An integral part of the Indian diet, it is a good and filling option for those who want to shed kilos.Yellow moong dal is extremely light and easy to digest. It is easier to cook but lacks the fiber content of whole green moong. Compared to other dals, moong dal is one of the low carb pulses available. Other pulses are high in protein but carbs too.Moong beans are a good source of protein for vegetarians. Though meat still ranks the first in protein content, moong dal is also not far behind. A 100 gm serving of moong dal can provide you with 24 gm protein.
Story first published: Friday, June 15, 2018, 16:30 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion