Just In
- 53 min ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 1 hr ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 15 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
- 19 hrs ago কোন ডাবে বেশি জল, বাইরে থেকে দেখে বুঝবেন কী ভাবে?
আসন্ন ঠান্ডা ও বৃষ্টির মার থেকে শরীরকে বাঁচাবেন কিভাবে?
আগামী ৪৮ ঘন্টায় কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে। এমন পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকার নানা সহজ উপায় জানালো হল এই প্রবন্ধে।
আগামী ৪৮ ঘন্টায় কলকাতা সহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় মুষলধারে বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে। এমন পরিস্থিতিতে তাপমাত্রা হঠাৎ করে কমে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। আর তাপমাত্রা কমে যাওয়া মানেই ঠান্ডা-গরম এবং সংক্রমণের মতো নানাবিধ রোগের মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সম্ভাবনাও বৃদ্ধি পাওয়া। তাই আগে থাকতেই সাবধান হন!
রাতের দিকে এমনিতেই আজকাল কলকাতা সহ আশেপাশের এলাকার তাপমাত্র ২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেটের নিচে চলে যাচ্ছে। তার উপর এমন বৃষ্টি এবং হাওয়া চললে তো কথায় নেই! তাই তো আজ থেকেই এই প্রবন্ধে আলোচিত ঘরোয়া টোটকাগুলি মেনে চলা শুরু করুন। দেখবেন অসুস্থতার কারণে একদিনও অফিস কমাই করতে হবে না। প্রসঙ্গত, এমন পরিস্থিতিতে যে যে ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি দারুন কাজে আসে, সেগুলি হল...
১. ডায়েটের দিকে নজর দিতে হবে:
শরীরকে সুস্থ রাখতে ডায়েটের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো বৃষ্টি এবং ঠান্ডা হওয়ার থেকে শরীরকে বাঁচাতে এই সময় বেশি করে হোল গ্রেন খাবার,দই এবং মধু খেতে হবে। সেই সঙ্গে এক গ্লাস জলে পরিমাণ মতো নুন, গোলমরিচ এবং আদা মিশিয়ে নিয়মিত খেলে শরীর নিয়ে আর কোনও চিন্তাই থাকবে না। প্রসঙ্গত, এমন পরিবেশে ভুলেও বেশি তেল-মশলা দেওয়া খাবার খাবেন না। সেই সঙ্গে আইস ক্রিম এবং হজম হতে সময় লাগবে এমন খাবারও ডায়েট থেকে বাদ দিতে হবে।
২. পায়ের যত্ন নিতে হবে:
বৃষ্টির সময় নানা কারণে সারাক্ষণ পা কেমন ভিজে অবস্থায় থাকে, যা একেবারেই ভাল নয়। কারণ পা ভেজা অবস্থায় থাকলে একদিকে যেমন সংক্রমণের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়, তেমনি ঠান্ডা লেগে জ্বর-সর্দি কাশিতে ভোগার আশঙ্কাও বাড়ে। তাই হাত-পা সব সময় শুকনো রাখার চেষ্টা করবেন।
৩. নিম তেলের ব্যবহার জরুরি:
বৃষ্টি এবং ঠান্ডার সময় নানাবিধ সংক্রমণের প্রকোপ খুব বৃদ্ধি পায়। তাই তো এই সময় নিয়মিত নিম তেলে সারা শরীরে লাগানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞরা। আসলে নিম তেলে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ ইনফেকশনকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে নানাবিধ ত্বকের রোগের প্রকোপ কমাতেও সাহায্য করে।
৪. গরম জলে স্নান করতে হবে:
ওয়েদার চেঞ্জের সময় ঠান্ডা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা সব থেকে বেশি থাকে। তাই এই সময় সুস্থ থাকতে হালকা গরম জলে স্নান করাই উচিত। সেই সঙ্গে যদি জল ফুটিয়ে খেতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই! এমনটা করলে একদিকে যেমন জ্বর, সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে, তেমনি গলা ব্যথা এবং গা ম্যাজম্যাজ করার মতো সমস্যাও দেখা দেয় না।
৫. ভুলেও মাটিতে বসবেন না:
ঠান্ডা পরলেই জয়েন্টে ব্যথা হয় কি? উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে ভুলেও মাটিতে বসবেন না যেন! কারণ এ সময় মাটি ঠান্ডা থাকার কারণে তা থেকে জয়েন্টে প্রদাহ সৃষ্টি হতে পারে। আর আগামী ৪৮ ঘন্টায় তাপমাত্রা যেহেতু আরও অনেকটাই কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই এই সময় বেশি করে এই সব ছোট ছোট বিষয়গুলিকে নজরে রাখতে হবে।
৬.হাতের নোখ কেটে ফেলুন:
হাত-পায়ে নখের পরিধি কি বেড়ে গেছে? তাহলে বৃষ্টি আসার আগে মনে করে কেটে ফেলুন। কারণ নখ বড় থাকলে তাতে আদ্রতার পরিমাণ বেড়ে দিয়ে সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়।
৭. খেয়েই ঘুমবেন না:
বর্ষার সময় ভুলেও খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুয়ে পরবেন না। কারণ এই আবহাওয়ায় এমনতিতেই হজম ক্ষমতা কমে যায়। তার উপর যদি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শুয়ে পরেন, তাহলে হজমে সহায়ক পাচক রস ঠিক মতো কাজ করতে পারে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই গ্যাস-অম্বল এবং বদহজম হওয়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। প্রসঙ্গত, খাওয়া-দাওয়ার পর অন্তত ২০-৩০ মিনিট পরে শুতে যাবেন, তার আগে নয়।