Just In
নাক ডাকলেই ব্রেন খারাপ হয়ে যাবে কিন্তু! তাই সাবধান!
নাক ডাকার কারণে কি ঠিক মতো ঘুম হয় না আপনার? তাহলে বন্ধু এখনই এই প্রবন্ধে একবার চোখ রাখুন। না হলে কিন্তু যে কোনও সময় খারাপ কিছু একটা ঘটে যেতে পারে।
নাক ডাকার কারণে কি ঠিক মতো ঘুম হয় না আপনার? তাহলে বন্ধু এখনই এই প্রবন্ধে একবার চোখ রাখুন। না হলে কিন্তু যে কোনও সময় খারাপ কিছু একটা ঘটে যেতে পারে।
কেন এমন কথা বলছি তাই ভাবছেন তো? আসলে সম্প্রতি দা ল্যানসেট নিউরোলজিতে প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে দীর্ঘ দিন ধরে যদি ঠিক মতো ঘুম না হয়, তাহলে পার্কিনসনের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আর ঠিক মতো ঘুম না হওয়ার পিছনে যে যে কারণগুলি দায়ি থাকে, তার মধ্যে একেবারে প্রথমে রয়েছে না ডাকা। এই কারণেই তো নাসিকা গর্জনের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করার উপদেশ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রসঙ্গত, ঠিক মতো ঘুম না হলে মস্তিষ্ক রেস্ট নেওয়ার সুযোগ পায় না। ফলে ব্রেনের অন্দরে প্রদাহ শুরু হয়। ফলে মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এই কারণেই তো পার্কিসনের মতো ভযঙ্কর রোগের ফাঁদে পরার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই নাক ডাকার সমস্যাকে আমরা যতই হলকা চালে নিই না কেন। এটা কিন্তু মোটেও স্বাভাবিক ঘটনা নয়। কারণ নাক ডাকার অর্থ হল ঘুমনোর সময় নাসারন্ধ্র দিয়ে বায়ু চলাচল ঠিক মতো না হওয়া। আর এমনটা হওয়া মানে শরীরের উপর মারাত্মক প্রভাব পরা। তাই নাক ডাকার সমস্যা কমাতে সময় থাকতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া একান্ত প্রয়োজন। না হলে কিন্তু বেজায় বিপদ!
এখন প্রশ্ন হল নাক ডাকা বন্ধ করা যায় কিভাবে? বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে কিছু ঘরোয়া উপাদান রয়েছে যা এক্ষেত্রে দরুন উপকারি ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই নাক ডাকা বন্ধ করতে কাজে লাগাতে পারেন এই প্রবন্ধে আলোচিত প্রকৃতিক উপাদানগুলিকে।
১. মধু:
রাতে শুতে যাওয়ার আগে নিয়ম করে যদি এক গ্লাস গরম জলে ১ চামচ মধু মিশিয়ে খেতে পারেন, তাহলে নাকা ডাকার সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগই পায় না। কারণ মধুর অন্দরে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদান গলার প্রদাহ কমায়। সেই সঙ্গে শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক করে তোলে। ফলে নাক ডাকার সম্ভাবনা কমে।
২. অলিভ অয়েল:
রাত্রে শুতে য়াওয়ার আগে মনে করে দু চামচ অলিভ অয়েল খেলে শরীরে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে রেসপিরেটরি প্যাসেজ খুলতে শুরু করে। আর একবার এমনটা হয়ে গেলে বাতাস চলাচলে কোনও বাঁধার সৃষ্টি হয় না, ফলে নাক ডাকার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।
৩. পিপারমেন্ট তেল:
এই প্রকৃতিক উপাদানটির শরীরে রয়েছে ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা মেমব্রেনের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ঘুমনোর সময় শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক মতো হওয়ার কারণে নাক ডাকার প্রবণতা কমতে শুরু করে। এক্ষেত্রে শুতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস জলে ২ ফোঁটা পিপারমেন্ট তেল ফেলে সেই জল দিয়ে গার্গেল করতে হবে। তাহলেই দেখবেন উপকার মিলবে।
৪. স্টিম:
অনেক সময় সর্দি-কাশির কারণেও নাক দিয়ে বায়ু চলাচল ঠিক মতো হতে পারে। ফলে ঘুমানোর সময় নাক দিয়ে ওয়াজ বেরতে শুরু করে। এক্ষেত্রে কিছু সময় অন্তর অন্তর গরম ভাব নিলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। তাই এবার থেকে সর্দি-কাশি হলেই এই ঘরোয়া পদ্ধতিটির সাহায্য নেবেন। দেখবেন ঘুমনোর সময় কোনও সমস্যাই হবে না।
৫. এলাচ:
অনেক সময় নাকের অন্দরে কোনও বাঁধা থাকার কারণেও নাক ডাকার মতো সমস্যা দেখা দেয়। এক্ষেত্রে নিয়মিত ঘুমনোর আগে এলাচ চা খেলে কিন্তু দারুন উপকার মেলে। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটি অন্দরে উপস্থিত একাধিক উপাকারি উপাদান নাকের ভিতরের বাঁধা সরিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক করতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। আর একবার শ্বাস-প্রশ্বাস ঠিক মতো হতে থাকলে নাক ডাকার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
৬. রসুন:
নাকের অন্দরে মিউকাস জমতে বাঁধা দেয় এই প্রকৃতিক উপাদানটি। সেই সঙ্গে রেসপিরেটারি সিস্টেমের উন্নতি ঘটায়। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হতে শুরু করে, কমতে শুরু করে নাক ডাকার সমস্যা। এক্ষেত্রে নিয়মিত ১-২ টো রসুনের কোয়া চিবিয়ে, এক গ্লাস জল খেয়ে শুতে যেতে হবে। তাহলেই দেখবেন নাসিকা গর্জন আর আপনাকে বা আপনার প্রিয়জনকে বিপদে ফেলতে পারবে না।
৭. হলুদ:
অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিবায়োটিক উপাদানে পরিপূর্ণ এই প্রকৃতিক উপাদানটি গ্রহণ করলে শরীরের অন্দরে ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে কমে নাক ডাকার প্রবণতাও। এক্ষেত্রে প্রতিদিন শুতে যাওয়ার ৩০ মিনিট আগে এক গ্লাস গরম দুধে ২ চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে পান করার অভ্যাস করতে হবে। এমনটা করলেই দেখবেন রাতের ঘুমে কেউ ব্যাঘাত ঘটাতে পারবে না।