Just In
মাথার যন্ত্রণা কমাতে দারুন কাজে আসে এই ঘরোয়া চিকিৎসাগুলি
একটা বাটিতে পরিমাণ মতো জল নিয়ে তাতে অল্প করে আদার গুঁড়ো মিশিয়ে সেই জলটা কম করে ১০ মিনিট ফোটান। সময় হয়ে গেলে জলটা কাপে ঢেলে চায়ের মতো করে সেটি পান করুন। এমনটা করলেই দেখবেন মাইগ্রেনের লক্ষণ কমতে শু
পরিসংখ্যান বলছে সারা বিশ্বে এই মুহূর্তে যে যে রোগগুলি দাপিয়ে বেরাচ্ছে তাদের মধ্যে মাইগ্রেনের স্থান ৩ নম্বরে। আর ভারতে প্রায় ৫ জনের মধ্যে ১ জন এই রোগের শিকার। তাহলে বুঝতেই পারছেন তো পরিস্থিতিটা মোটেও ভাল নয়। তাই তো এই প্রবন্ধে এমন কিছু সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হল যা মাইগ্রেনের কষ্ট কমাতে দারুন কাজে আসে।
এক্ষেত্রে বেশিরভাগ রোগীই পেনকিলার খেয়ে আরাম পেতে চান। তাতে কষ্ট কমলেও এই ধরনের ওষুধের সাইড এফেক্ট হিসেবে পেটের রোগ, মাথা ঘোরা, বমি প্রভৃতি সমস্যা বাড়তে শুরু করে। তাই এবার থেকে মাথা যন্ত্রণা কমাতে আর পেনকিলার খাবেন না। পরিবর্তে এই প্রবন্ধে আলোচিত ঘরোয়া পদ্ধতিগুলিকে কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন। উপকার যে পাবেন, তা হলফ করে বলতে পারে।
কী কী পদ্ধতি এক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে। সেগুলি সম্পর্কেই নিচে আলোচনা করা হল।
১. আদা:
একটা বাটিতে পরিমাণ মতো জল নিয়ে তাতে অল্প করে আদার গুঁড়ো মিশিয়ে সেই জলটা কম করে ১০ মিনিট ফোটান। সময় হয়ে গেলে জলটা কাপে ঢেলে চায়ের মতো করে সেটি পান করুন। এমনটা করলেই দেখবেন মাইগ্রেনের লক্ষণ কমতে শুরু করবে।
২. বরফ শেক দিন:
মাথা যন্ত্রণা মাত্রা ছাড়ালে কয়েকটি বরফের টুকরো নিয়ে একটা কাপড়ে বেঁধে কপালে এবং ঘারে শেক দিন। কয়েক মিনিট এমনভাবে শেক দিলে দারুন আরাম পাবেন।
৩. ল্যাভেন্ডার তেল:
একটা বড় বাটিতে ৫-৬ কাপ জল ঢেলে সেই জলটা ফুটিয়ে নিন। তারপর তাতে ৫-৬ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে সেই জলটার ভাব নিতে থাকুন। এমনটা করলেই দেখবেন মাইগ্রনের কষ্ট কমে যেতে শুরু করবে। আরেক ভাবে ল্যাভেন্ডার তেলকে কাজে লাগাতে পারেন। অল্প করে এই তেলটা নিয়ে কপালে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করুন। এতেও সমান উপকার পাবেন।
৪. তুলসি পাতা:
তুলসি পাতায় উপস্থিত বেশ কিছু কার্যকরি উপাদান পেশিতে রক্তসরবরাহ বাড়িয়ে দিয়ে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে কয়েক ফোঁটা তুলসি পাতার তেল নিয়ে মাথায় মাসাজ করলেই দারুন উপকার পাওয়া যায়।
৫. ক্যাফিন:
শরীরের প্রদাহ কমিয়ে মাইগ্রেনের যন্ত্রণাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে ক্যাফিনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই এবার থেকে যখনই মাথায় যন্ত্রণা হবে, অল্প করে কফি খেয়ে নেবেন। তাহলেই দেখবেন যন্ত্রণা একেবারে ছু-মান্তার হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, বেশি মাত্রায় শরীরে ক্যাফিনের প্রবেশ একেবারেই ভাল নয়। তাই তো দিনে ১-২ কাপের বেশি খফি না খাওয়াই ভাল।
৬. বাজরার আটা:
এতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা শরীরে প্রদাহ কমানোর মধ্যে দিয়ে মাইগ্রেনের কষ্ট কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যারা মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় কাবু, তারা আজ থেকেই নিজেদের ডায়েটে বাজরার আটাকে অন্তর্ভুক্ত করুন। দেখবেন বেশ উপকার পাবেন।
৭. তিসি বীজ:
আপনার কি মাঝে মধ্যেই মাথায় যন্ত্রণা হয়? তাহলে আজ থেকেই এই ঘরোয়া পদ্ধতিটিকে কাজে লাগাতে শুরু করে দিন। আসলে তিসি বীজে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের প্রদাহ কমিয়ে মাথার যন্ত্রণার প্রকোপকে একেবারে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চলে আসে। ফলে ধীরে ধীরে কষ্ট কমতে শুরু করে।