Just In
- 9 min ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
- 16 hrs ago অসহ্য গরমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ঘরেই বানান ডিটক্স ওয়াটার
- 16 hrs ago গরমে ট্যানিংয়ের সমস্যা? আর নয়, ব্যবহার করুন এই ঘরোয়া প্যাকগুলি
- 20 hrs ago ভ্যাপসা গরমে আপনাকে তৃপ্তি দেবে এক গ্লাস গোলাপ শরবত!
আনন্দে থাকাটা জরুরি কেন জানেন?
ভ্যাকসিন বা ওষুধ খাওয়ার সময় যদি মনটা খুশি-খুশি থাকে, তাহলে ওষুধের কর্মক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
খুশি থাকতে কে না চায় বলুন। কিন্তু সম্ভব হয় কোথায়! বুঝি বন্ধু, বন্ধু বুঝি! একই অবস্থা তো আমারও। কিন্তু সমস্যাটা কোথায় জানেন? খুশি না থাকলে যে ওষুধ কাজ করবে না। আর ওষুধ ঠিক মতো কাজ না করলে শরীর চাঙ্গা থাকবে কিভাবে বলুন! তাই সুস্থ থাকতে খুশি থাকাটা মাস্ট!
কিন্তু খুশি থাকার সঙ্গে ওষুধের কাজ করা বা না করার কী সম্পর্ক? সম্প্রতি "ব্রেন" নামক একটি জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা পত্র অনুসারে কোনও ভ্যাকসিন বা ওষুধ খাওয়ার সময় যদি মনটা খুশি-খুশি থাকে, তাহলে ওষুধের কর্মক্ষমতা কয়েক গুণ বেড়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রোগের প্রকোপ সারতে সময় লাগে না। এবার বুঝেছেন তো অনন্দে থাকার সঙ্গে শরীরের ভাল-মন্দের কতটা যোগ রয়েছে।
এইসব শোনার পর প্রশ্ন করতেই পারেন যে খুশি থাকাটা তো আর নিজের হাতে নেই, তাহলে উপায়? একেবারে ঠিক বলেছেন বন্ধু, মুড কেমন থাকবে, তা সত্যিই আমাদের হাতে নেই। তবে একথাও ঠিক যে এমন কিছু খাবার আছে, যা নিয়মিত খেলে মন খারাপ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। তাই এই খাবারগুলি যদি নিয়মিত খেতে পারেন, তাহলে মনকে নিয়ে আর চিন্তাই থাকে না। আর মন একবার চাঙ্গা হয়ে উঠলে, শরীর নিয়েও আর কোনও চিন্তা থাকে না। প্রসঙ্গত, যে যে খাবারে মন ভাল করে দেওয়া ক্ষমতা রয়েছে, সেগুলি হল...
১. মধু:
এতে উপস্থিত ক্যাম্পেরল এবং কুয়েরসাটিন নামে দুটি উপাদান মস্তিষ্কের অন্দরে প্রদাহ কমানোর মধ্যে দিয়ে ডিপ্রেশন কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার মানসিক চাপ কমে গেলে মনও আপনা থেকে চাঙ্গা হয়ে ওঠে। তবে মধুর গুণ এখানেই শেষ হয়ে যায় না। নিয়মিত মধু খেলে শরীরে এনার্জির ঘাটতি দূর হয়। ফলে শরীর চনমনে হয়ে ওঠে।
২. চেরি:
এটি হল এক প্রকার প্রকৃতিক পেন কিলার, যা শরীরে প্রবেশ করার পর যন্ত্রণা তো কমায়ই, সেই সঙ্গে মেলাটোনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দিয়ে অনিদ্রা দূর করতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। আর যেমনটা আপনাদের সকলেরই জানা আছে যে ঘুম ঠিক মতো হল স্বাভাবিকভাবেই খিটখিটানি কমে গিয়ে মন অনন্দে ভরে ওঠে।
৩. মাছ:
মনকে সুখ সাগরের সন্ধান দিতে চান? তাহলে মাছ খেতে ভুলবেন না যেন! কারণ এতে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড মুড সুইং কমায়। সেই সঙ্গে ডিপ্রেশনের মতো রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।
৪. বিটরুট:
শরীরে ভিটামিন বি এবং ফলেটের ঘাটতি দূর হলে মন খারাপের আশঙ্কাও দূর হয়। আর এই দুই পুষ্টিকর উপাদানের ঘাটতি মেটাতে বিটরুটের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই তো মনকে ভাল রাখতে প্রতিদিন বিটরুটের জুস খাওয়া পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।
৫. ডার্ক চকোলেট:
স্বাদে একটু তিতকুটে বটে, তবে শরীর এবং মনকে চাঙ্গা রাখতে ডার্ক চকোলেটের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং আনন্দামাইড, একদিকে যেমন স্ট্রেস লেভেল কমায়, তেমনি ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে মনকে খুশিতে ভরিয়ে তুলতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।