Just In
- 15 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 16 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 20 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 21 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
প্রতি ২ মিনিটে মারা যাচ্ছে ১ জন করে বাচ্চা! তবু আমরা চুপ কেন?
চাইলেই আটকাতে পারি। কিন্তু তবু কেউ কিছু করছে না। রান্না ঘরে রাখা অস্ত্রগুলোই যথেষ্ট! তবু আমরা একের পর এক শিশুকে বলি চড়িয়ে চলেছি। হে ভগবান কবে আমাদের চোখ খুলবে? কবে বাঁচবে আমাদের নতুন প্রজন্ম?
চাইলেই আটকাতে পারি। কিন্তু তবু কেউ কিছু করছে না। রান্না ঘরে রাখা অস্ত্রগুলোই যথেষ্ট! তবু আমরা একের পর এক শিশুকে বলি চড়িয়ে চলেছি। হে ভগবান কবে আমাদের চোখ খুলবে? কবে বাঁচবে আমাদের নতুন প্রজন্ম?
সম্প্রতি একটি রিপোর্ট সামনে এসেছে, যা যারপরনাই ভয়ঙ্কর। সেই রিপোর্ট বলছে প্রতি ২ মিনিট অন্তর পাঁচ বছরের কম বয়সি ১ জন করে বাচ্চা নিউমোনিয়ার কারণে মারা যাচ্ছে, যে রোগকে চাইলে একবারে প্রথম স্টেজেই আটকে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু বাবা-মায়েদের অজ্ঞতার কারণে তেমনটা আর করে ওঠা হচ্ছে না। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। মৃত্যুহার যেন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। জানি না আগামী দিনে এই সংখ্যাটা কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে।
বিশেষজ্ঞদের মতে প্রয়োজনীয় সাবধানতা এবং নির্দিষ্ট চিকিৎসার মাধ্যমে নিউমোনিয়ার মতো রোগ থেকে খুব সহজেই নিস্তার পাওয়া সম্ভব। শুধু তাই নয়, আমাদের রান্না ঘরে উপস্থিত বেশ কিছু সাধারণত প্রাকৃতিক উপাদানও এই রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই নিউমনিয়ার আক্রান্ত হওয়া মানেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়া, এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। বরং এই প্রবন্ধে আলোচিত ঘরোয়া টোটকাগুলির কোনওটিকে কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন। এমনটা করলে উপকার যে মিলবেই, সে কথা হলফ করে বলতে পারি।
নিউমোনিয়ার প্রকোপ কমাতে সাধারণত যে যে ঘরোয়া উপাদানগুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেগুলি হল...
১. রসুন:
এতে উপস্থিত অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রপাটিজ শরীরের অন্দরে উপস্থিত ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে বুকে জমে থাকা সর্দি বের করে দিতে এবং দেহের তাপমাত্র কমাতেও সাহায্য করে। এক্ষেত্রে এক কাপ দুধ নিয়ে চার কাপ জলের সঙ্গে মেশিয়ে দিন। তারপর তাতে পরিমাণ মতো রসুন দিয়ে জলটা ততক্ষণ ফোটান, যতক্ষণ না তা এক-চতুর্থাংশ কমে আসছে। এমনটা হলে আঁচ বন্ধ করে সেই পানীয় দিনে কম করে তিনবার খাওয়া শুরু করুন। এমনটা কয়েক দিন করলেই দেখবেন রোগ দূরে পালাবে।
২. গোলমরিচ:
এক গ্লাস জলে পরিমাণ মতো লেবুর রস এবং গোলমরিচ মিশিয়ে যদি কয়েকবার খাওয়া যায়, তাহলে মিউমোনিয়ার প্রকোপ কমতে একেবারেই সময় লাগে না। আসলে গোলমরিচের শরীরে উপস্থিত ক্যাপসিসিন নামক বিশেষ এক ধরনের উপাদান রেসপিরেটরি প্যাসেজ জমে থাকা মিউকাস বার করে দেয়। সেই সঙ্গে শরীরকে ভিতর থেকে এতটাই শক্তিশালী করে তোলে যে রোগ সারতে সময়ই লাগে না।
৩. মেথি বীজ:
এতে রয়েছে মিউকোল্যাকটিক প্রপাটিজ, যা লাং-এর কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি বুকে জমে থাকা কফ বের করে দিতে এবং নিউমোনিয়ার কারণে হওয়ার জ্বরের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই কারণেই তো এমন ধরনোর কোন রোগের আক্রমণ ঘটলে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকেরা নিয়মিত মেথি বীজ দিয়ে বানানো চা খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
৪. তিল বীজ:
ওয়েদার চেঞ্জের সময় বাচ্চারা সাধারণত এমন ধরনের রোগ আক্রান্ত হয়ে থাকে। তাই তো এই সময় তাদের নিয়ম করে তিল বীজ দিয়ে বানানো চা খাওয়াতে হবে। আসলে তিল বীজের আন্দরে থাকা বেশ কিছু উপকারি উপাদান নিউমোনিয়ার চিকিৎসায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলে শরীরের সার্বিক কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা নেয় এই প্রকৃতিক উপাদানটি।
৫. সবজির রস:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিউমোনিয়ার প্রকোপ কমাতে গাজর, পালং শাক, বিট এবং শসার রস বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে এই সবজিগুলির শরীরে থাকা একাধিক উপাকারি উপাদান, ভিটামিন এবং মিনারেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি জমে থাকা কফ শরীর থেকে বার করে দিতে এবং ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
৬. হলুদ:
নিউমোনিয়ার প্রকোপ কমিয়ে শরীরকে চাঙ্গা কর তুলতে হলুদের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই মশলাটির শরীরে মজুত অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত নিউমোনিয়ার চিকিৎসায় এই মশলাটিকে কাজে লাগাতে হলে পরিমাণ মতো হলুদ, সরষের তেলে মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। তারপর সেই পেস্ট বুকে মালিশ করলে দেখবেন দারুন উপকার মিলবে।
৭. তুলসি এবং গোলমরিচ:
এই দুটি উপাদান ফুসফুসকে চাঙ্গা করে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে সর্দি-কাশির প্রকোপ কমাতে, দেহের তাপমাত্রাকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসতে এবং শরীর থেকে কফ বের করে দিতেও সাহায্য করে। এক্ষেত্রে ৫ টা তুলসি পাতার রস সংগ্রহ করে তার সঙ্গে এক চিমটে গোল মরিচ মিশিয়ে প্রতি ৬ ঘন্টা অন্তর খেতে হবে। এমনটা কয়েক দিন করলেই দেখবেন ধীরে ধীরে রোগ সারে যাবে।