For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

আপনি অবাক হয়ে যাবেন পেঁয়াজের এই গুণগুলি সম্পর্কে জানলে...!

কচি পাঁঠার ঝোল হোক কী মুগির মাংসের ঝাল ঝাল কারি, এমনকি বাঙালি নিরামিষ পদও পেঁয়াজ ছাড়া প্রায় অন্ধ। তাই এমন একটি "এসেনশিয়াল" সবজির স্বাদ সম্পর্কে যে সবাই অবগত, সে সম্পর্কে কোনও সন্দেহ নেই।

|

কচি পাঁঠার ঝোল হোক কী মুগির মাংসের ঝাল ঝাল কারি, এমনকি বাঙালি নিরামিষ পদও পেঁয়াজ ছাড়া প্রায় অন্ধ। তাই এমন একটি "এসেনশিয়াল" সবজির স্বাদ সম্পর্কে যে সবাই অবগত, সে সম্পর্কে কোনও সন্দেহ নেই। কিন্তু কজনই বা পেঁয়াজের গুণাগুন সম্পর্কে জানেন, তা নিয়ে কিন্তু সন্দেহ থেকেই যায়। তাই তো এই প্রবন্ধে পেঁয়াজের এমন এক কিছু উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে, যা পড়তে পড়তে হয়তো আপনার চোখ কপালে উঠে যেতে পারে‌! তাই তো বলি বন্ধু, আপনার বাজারের থলিতে যদি প্রায়ই এই সবজিটি জায়গা করে নেয়, তাহলে এই লেখাটি পড়তে ভুলবেন না যেন!

৬৪ ক্যালরি, ১৫ গ্রাম কার্বোহাউইড্রেট, ৩ গ্রাম ফাইবার, ২ গ্রাম প্রোটিন, দিনের চাহিদার ১০ শতাংশ ভিটামিন সি, বি৬ এবং ম্যাঙ্গানিজ টাসা রয়েছে এই সবহজিটিতে। এর পাশপাশি পেঁয়াজে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফলেট, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টর মতো উপাদান, যা দেহের অন্দরে পুষ্টির ঘাটতি তো দূর করেই, সেই সঙ্গে আরও নানাবিধ উপকারেও লেগে থাকে, যেমন ধরুন...

১. রোগ প্রতিরোধ ব্য়বস্থার উন্নতি ঘটে:

১. রোগ প্রতিরোধ ব্য়বস্থার উন্নতি ঘটে:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত একটা করে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া শুরু করলে শরীরে এত মাত্রায় ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের প্রবেশ ঘটে যে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়ে উঠতে সময় লাগে না। আর এমনটা হলে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। ফলে আয়ু বাড়ে চোখে পরার মতো।

২. মানসিক অবসাদের খপ্পর থেকে মুক্তি মেলে:

২. মানসিক অবসাদের খপ্পর থেকে মুক্তি মেলে:

একেবারেই ঠিক শুনেছেন বন্ধু! নিয়মিত পেঁয়াজ খাওয়া শুরু করলে শরীরে ফলেটের ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে মন-মেজাজ চাঙ্গা হয়ে উঠতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে একদিকে যেমন স্ট্রেস লেভেল কমে, তেমনি মানসিক অবসাদও দূরে পালায়। প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে আমাদের দেশের কম বয়সিদের মধ্যে মানসিক অবসাদের মতো সমস্যার প্রকোপ যে হারে বেড়েছে, তাতে রোজের ডায়েটে কাঁচা পিঁয়াজের অন্তর্ভুক্তি যে মাস্ট, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই কিন্তু!

৩. বার্ন ইনজুরির চিকিৎসায় কাজে আসে:

৩. বার্ন ইনজুরির চিকিৎসায় কাজে আসে:

রান্না করতে গিয়ে হাত পুড়ে যাওয়ার ঘটনা গৃহিণীদের সঙ্গে আকছারই হতে থাকে। এক্ষেত্রেও পিঁয়াজ দারুন উপকারে লাগে। কেমন ভাবে? এবার থেকে পুড়ে গেলে, ক্ষতস্থানে এক টুকরো পিঁয়াজ কিছু সময়ের জন্য রেখে দিন। অল্প সময়েই দেখবেন জ্বালা ভাব কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্ষতও সেরে গেছে।

৪. মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়:

৪. মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়:

কাঁচা পেঁয়াজ খেলে মুখ গহ্বরের উপস্থিত ব্যাকটেরিয়াগুলি মরতে শুরু করে। ফলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। সেই সঙ্গে মাড়িতে নানাবিধ রোগ হওয়ার আশঙ্কাও কমে। তাই তো বলি বন্ধু, মুখের বদ গন্ধের কারণে লোকসমাজে যদি প্রায়শই সম্মানহানী হয়ে থাকে, তাহলে রোজের ডায়েটে কাঁচা পিঁয়াজকে জায়গা করে দিতে ভুলবেন না যেন!

৫. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:

৫. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:

সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র অনুসারে নিয়মিত কাঁচা পেঁয়াজ খেলে ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে স্মৃতিশক্তির যেমন উন্নতি ঘটে, তেমনি নার্ভাস সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে একাধিক ব্রেন ডিজিজ হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

৬. কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে:

৬. কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে:

শরীরে ভাল কোলেস্টেরল বা এইচ ডি এল-এর মাত্রা বাড়িয়ে একদিকে যেমন শরীরকে চাঙ্গা রাখে, তেমনি অন্যদিকে খারাপ কোলেস্টরলের পরিমাণ কমিয়ে হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ায়। এই ভাবে নিজের বিশেষ ক্ষমতা বলে পেঁয়াজ আমাদের আয়ু বাড়াতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে।

৭.সর্দি-কাশির প্রকোপ কমে:

৭.সর্দি-কাশির প্রকোপ কমে:

একটা পেঁয়াজকে কেটে নিয়ে তার রস সংগ্রহ করে নিন। তারপর তাতে কয়েক ড্রপ মধু মিশিয়ে এই মিশ্রন দিনে কম করে দুবার পান করলেই কাশি কমে যেতে শুরু করবে।

৮. আঁচিল দূর হয়:

৮. আঁচিল দূর হয়:

গোল করে পেঁয়াজ কেটে আঁচিলের উপর রেখে একটা কাপড় দিয়ে বেঁধে দিন। যাতে সেটি পরে না যায়। প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে এমনটা করলে অল্প দিনেই দেখবেন আঁচিল খসে পরে গেছে।

৯. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে:

৯. রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে:

একেবারে ঠিক শুনেছেন! ২১ শতকের সব থেকে ভয়ঙ্কর এই রোগকে দাবিয়ে রাখতে পেঁয়াজের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই সবজিটিতে উপস্থিত বেশ কিছু উপদান রক্তে শর্করার মাত্রাকে বাড়তে দেয় না। সেই সঙ্গে ইনসুলিনের ঘাটতি যাতে দেখা না দেয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে। ফলে ডায়াবেটিসের প্রকোপ বৃদ্ধির সুযোগই থাকে না।

১০. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে:

১০. ক্যান্সারের মতো মারণ রোগ দূরে থাকে:

ব্রেন, কোলোন এবং ঘারের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা একেবারে শূন্যতে এসে দাঁড়ায় যদি প্রতিদিন পেঁয়াজ খাওয়া যায়। কারণ এই সবজিটিতে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান শরীরের অন্দরে ক্যান্সার কোষের জন্ম হতে দেয় না। ফলে এমন ধরনের মারণ রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।

১১. ইনসমনিয়ার মতো রোগ দূরে পালায়:

১১. ইনসমনিয়ার মতো রোগ দূরে পালায়:

আপনি কি রাতের তারা? ঘরির কাঁটা সকালের দিকে এগিয়ে গেলেও চোখের পাতা এক করতে পারেন না? তাহলে তো প্রতিদিনের ডায়েটে পেঁয়াজের থাকা চাইই চাই। কারণ ইনসমেনিয়ার মতো রোগের উপশমে এই সবজিটি দারুন কাজে আসে।

১২. জ্বরের চিকিৎসায় কাজে আসে:

১২. জ্বরের চিকিৎসায় কাজে আসে:

শুতে যাওয়ার আগে একটা পিঁয়াজ কেটে নিন। তার সঙ্গে অল্প করে আলু এবং ২ টো রসুনের কোয়া মিশিয়ে মোজার মধ্যে রেখে সেই মোজা পরে শুয়ে পরুন। এমনটা কয়েকদিন করলেই দেখবেন সুস্থ হতে শুরু করেছেন।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

Onions: Health Benefits, Calories, and Nutrition Facts

A particularly valuable flavonoid in onions is quercetin, which acts as an antioxidant that may be linked to preventing cancer. It also might have heart health benefits, though more studies need to be done.
Story first published: Wednesday, October 3, 2018, 17:26 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion