Just In
- 9 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 10 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 12 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 16 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
দূষণের মারে মরতে না চাইলে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি!
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশ করা "আর্বান এয়ার কোয়ালিটি ডেটাবেস" রিপোর্টে আমাদের দেশের দূষণের যে ছবি উঠে এসেছে তা বেজায় ভয়ঙ্কার।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রকাশ করা "আর্বান এয়ার কোয়ালিটি ডেটাবেস" রিপোর্টে আমাদের দেশের দূষণের যে ছবি উঠে এসেছে তা বেজায় ভয়ঙ্কার। তাই সময় থাকতে থাকতে সাবধান হওয়ার সময় এসে গেছে বন্ধুরা।
কি এমন উল্লেখ রয়েছে সেই রিপোর্টে? "হু" প্রকাশিত সেই রিপোর্টে বলা হয়েছে সারা বিশ্বের ২০ টি সবথেকে দূষিত দেশের মধ্যে আমাদের দেশের স্থান ১৩ নম্বরে, যা মোটেও ভাল খবর নয়। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে দূষণের মাত্রা যত বাড়বে, তত পরিবেশে ১০ মাইক্রোনের বেশি ব্যাসার্ধযুক্ত পার্টিকালের সংখ্যা বাড়তে থাকবে, ফলে ফসুফস ক্ষতি তো হবেই, সেই সঙ্গে মৃত্যু ছোবল থেকেও বাঁচা সম্ভব হবে না। প্রসঙ্গত, গত বছর প্রকাশিত গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ স্টাডিতে দেখা গেছে আমাদের দেশে যে যে রোগের কারণে সবথেকে বেশি সংখ্যক মানুষ মারা যান, তার বেশিরভাগের সঙ্গেই বায়ু দূষণের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই সাবধান হওয়ার সময় মনে হয় এসে গেছে বন্ধুরা।
চিকিৎসকেদের মতে বায়ু দূষণের হাত থেকে বাঁচতে প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে, তা হল শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্য়বস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতে হবে। একবার ইমিউনিটি বেড়ে গেলে ক্ষতিকর টক্সিক পলিউটেন্টদের পক্ষে মারাত্মক ক্ষতি করা আর সম্ভব হবে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অসুস্থ হয়ে পরার আশঙ্কাও কমবে।
এখন প্রশ্ন হল কিভাবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটানো সম্ভব? এই প্রশ্নেরই উত্তর দেওয়া হবে এই প্রবন্ধে। এই লেখায় এমন কিছু সহজ পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে, যা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চললে বায়ু দূষণের ক্ষতিকারক প্রভাব থেকে অনেকাংশেই বেঁচে থাকা সম্ভব হবে কিন্তু!
সাধারণত যে যে ঘরোয়া পদ্ধতিতে এয়ার পলিউশের সঙ্গে লড়াইয়ে যেতা সম্ভব, সেগুলি হল...
১. মাটির পাত্রে জল খাওয়া শুরু করুন:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে মাটির পাত্রে জল রাখলে তাতে "পি এইচ" লেভেল ঠিক থাকে। ফলে এমন জল নিয়মিত পান করলে বদ-হজম এবং অ্যাসিডিটির সমস্যা দূর হয়, সেই সঙ্গে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার এতটাই উন্নতি ঘটে যে বায়ু দূষণের কোনও খারাপ প্রভাব শরীরে পরতেই পারে না।
২. হলুদ খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান:
এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ আমাদের শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে পরিবেশে উপস্থিত খারাপ উপাদানগুলি সেভাবে শরীরের ক্ষতি করার সুযোগই পায় না। এক্ষেত্রে নিয়মিত এক গ্লাস করে হলুদ মিশ্রিত দুধ খেলে দারুন উপকার মেলে কিন্তু!
৩. খালি পায়ে হাঁটুন:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত খালি পায়ে হাঁটার অভ্যাস করলে আমাদের আশেপাশে উপস্থিত উপকারি ব্যাকটেরিয়ারা শরীরের অন্দরে প্রবেশ করার সুযোগ পেয়ে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। আর যেমনটা আপনারা আগেই জেনে গেছেন যে একবার ইমিউনিটি পাওয়ার বেড়ে গেলে বায়ু দূষণের খারাপ প্রভাব আমাদের শরীরের উপর পরতেই পারে না।
৪. নিমের দাতন দিয়ে দাঁত মাজুন:
এমনটা করলে দাঁতের স্বাস্থ্যের উন্নতি তো হবেই, সেই সঙ্গে শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণে নিমের রস পৌঁছে যাওয়ার কারণে শরীরের সার্বিক কর্মক্ষমতা চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পাবে। শুধু তাই নয়, গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিও ঠিক মতো কাজ করা শুরু করে দেওয়ার কারণ বিষ বাষ্প শরীরে ছোবল মারতে সক্ষম হবে না।
৫. নাভিতে সরষের তেল লাগান:
মনে পরে ছোট বেলায় ঠাকুমা-দাদু স্নান করিয়ে দেওয়ার সময় নাভিতে গরম তেল লাগিয়ে দিতেন। এমনটা তারা কেন করতেন জানেন? আসলে নাভিতে সরষের তেল ভাল করে লাগালে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে হজমে সহায়ক পাচক রসের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে একদিকে যেমন নানাবিধ পেটের রোগ সেরে যেতে শুরু করে, তেমনি পাকস্থলিতে উপস্থিত উপকারি ব্যাকটেরিয়ারা শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাও জোরদার হয়ে যায়।