Just In
- 5 min ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 3 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 5 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 5 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
মুগ ডাল খেতে পছন্দ করেন নাকি? তাহেল তো আর...!
মুগডালে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে জমতে থাকা এল ডি এল বা খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
চিন্তা হয় বুঝলেন। খুব চিন্তা হয়। যেদিকে সব কিছু এগচ্ছে, তাতে কোনও দিন না সব হঠাৎ করে শেষ হয়ে যায়। শ্বাস নিচ্ছি তো বিষ। খাবারে বিষ। জলের কথা তো ছেড়েই দিন। এমন পরিস্থিতে বাঁচতে গেলে যেটুকু সচেতন হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে, সেটুকু হতেও আমরা রাজি নই। তাই তো সময়ের আগেই নিভে যাচ্ছে একের পর এক জীবন বাতি।
আগে যখন এত ওষুধের আবিষ্কার হয়নি, তখনও মানুষ হাসতে হাসতে ৭০-৮০ বছর ব্যাটিং করে ফলতো। আর এখন দেখুন চিকিৎসা বিজ্ঞানের এত বাড়বাড়ন্তের মাঝেও ৩০ বছরেই রান আউট হয়ে যাচ্ছে সবাই। আর এমনটা হচ্ছে কেন জানেন? কারণ কী খাচ্ছি সেদিকে আমাদের কোনও খেয়াল নেই। কেই একজন বলে দিচ্ছে এই খাবারটা ভাল, আমনি চোখে ঠুলি পরে তা মেনে চলছি। জানার চেষ্টাও করছি না, আদতে স্বাস্থ্যকর ভেবে যে খাবারটা খাচ্ছি, তা আদৌ স্বাস্থ্যকর কিনা! যেমন মুগ ডালের কথাই ধরুন না। এই ডালটি কি শরীরের পক্ষে ভাল? বাচ্চাদের কি মুগ ডাল খাওয়ানো যেতে পারে? জানেন এইসব প্রশ্নের উত্তর? জানেন না, তাই তো! দারুন! এবার বুঝেছেন তো অজ্ঞতা কতটা ক্ষতি করছে আমাদের।
গবেষণা বলছে এক কাপ রান্না করা মুগ ডালে কম করে ২১২ ক্যালরি, ১৪ গ্রাম প্রোটিন, ১৫ গ্রাম ফাইবার, ১ গ্রাম ফ্যাট, ৪ গ্রাম শর্করা, ৩২১ মাইক্রোগ্রাম ফলেট, ৯৭ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম, ০.৩৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন বি১ এবং ৯৭ মিলিগ্রাম ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, আরও পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই ডালটি। এতে রয়েছে ভিটামিন ব৫, ভিটামিন বি৬ এবং প্রচুর মাত্রা ক্যালসিয়াম। কী বুঝলেন! এতসব উপকারি উপাদান যে খাবারে রয়েছে, সেটি খারাপ কিভাবে হতে পারে বলুন! বরং একাধিক গবেষণা বলছে নিয়মিত মুগ ডাল খেলে একাধিক শারীরিক উপকার মেলে। যেমন...
১. খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমে যায়:
রক্তে যত খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা বাড়তে থাকে, তত হার্টের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে থাকে। এক সময়ে গিয়ে হার্টের কাজ করার ক্ষমতা একেবারে কমে যায়। ফলে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা মারাত্মক বৃদ্ধি পায়। সেই কারণেই তো কোলেস্টেরল লেভেল বাড়ছে, না স্বাভাবিক রয়েছে, সে বিষযে নজর রাখাটা একান্ত প্রয়োজন। তবে এক্ষেত্রে মুগডাল দারুন কাজে আসতে পারে। ২০১১ সালে জার্নাল অব হিউম্যান অ্যান্ড এক্সপেরিমেন্টাল টেকনোলজিতে প্রকাশিত একটি স্টাডি অনুসারে মুগডালে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরে জমতে থাকা এল ডি এল বা খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ব্লাড ভেসেলের ক্ষত সরিয়ে সারা শরীরে রক্তের সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে।
২. রক্তচাপকে বেঁধে রাখে:
কী মশাই বাবা অথবা মার দিকে থেকে কারও প্রেসারের অসুখ আছে নাকি? আছে! তাহলে তো মুগ ডালের সঙ্গে আজই চুক্তিটা সেরে ফেলুন। না হলে কিন্তু কম বয়সেই অক্কা যাওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। আসলে মুগ ডালে থাকা একাধিক পুষ্টিকর উপাদান রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩. ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করে:
মুগ ডালে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই দুটি উপাদান শরীরে উপস্থিত টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। ফলে কোষেদের বিভাজন ঠিক মতো হতে থাকে। ফলে ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশেই হ্রাস পায়। শুধু তাই নয়, ম্যালিগনেন্ট টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা কমাতেও এই ডালটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৪.টাইপ ২ ডায়াবেটিসকে ধারে কাছে আসতে দেয় না:
আজকের ডেটে সারা বিশ্বের মধ্যে এদেশেই সবথেকে বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। শুধু তাই নয়, সংখ্যাটা আরও বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে মুগ জাল কিন্তু রক্ষাকবছ হয়ে উঠতে পারে। ২০০৮ সালে চিনের ইনস্টিটিউট অব কর্প সায়েন্সের বিজ্ঞানীরা একটি গবেষণা চালিয়েছিলেন। তাতে দেখা গেছে নিয়মিত মুগ ডাল খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা কম হতে থাকে। সেই সঙ্গে ইনসুলিনের কর্মক্ষমতাও বাড়ে। ফলে ডায়াবেটিস রোগ শরীরে বাসা বাঁধার কোনও সুযোগই পায় না।
৫. প্রোটিনের ঘাটতি মেটায়:
যেমনটা আগও আলোচনা করা হয়েছে, মুগ ডালে উপস্থিত ১৪ গ্রাম প্রোটিন দিনের চাহিদার অনেকটাই পূরণ করতে পারে। ফলে দেহে এই পুষ্টিকর উপাদানটির ঘাটতি হওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না। প্রসঙ্গত, মুগ ডালে প্রোটিনের পাশাপাশি আরও অনেক ধরনের এসেনসিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিডও রয়েছে, যা নানাভাবে শরীরের উপকারে লেগে থাকে।
৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:
এই ডলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ, যা একদিকে যেমন ইউমিউনিটি বাড়ায়, তেমনি নানাবিধ সংক্রমণের আশঙ্কাও কমায়।
৭. ওজন কমায়:
দুর্গাপুজো তো এসে গেল। হাতে আর মাত্র কয়েকদিন। এর মধ্যে একটু পেটটা কমিয়ে নিন, না হলে ট্রেন্ডি জামাকাপড় পরবেন কিভাবে? নিশ্চয় ভাবছেন কিভাবে অতিরিক্ত মেদ ঝরাবেন, তাই তো? সব ভাবনা ছেড়ে মুগ ডাল খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। আসলে এতে উপস্থিত ফাইবার অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে বেশি বেশি করে খাওয়ার প্রবণতা হ্রাস পায়। আর এমনটা হওয়ার কারণে অতিরিক্ত ফ্যাট জমার আশঙ্কা কমে। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণেও মেদ কমতে শুরু করে।