For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

নিয়মিত সাঁতার কাটা উচিত কি?

সাঁতার হল এক ধরনের অ্যারোবিক এক্সারসাইজ। আর যেমনটা সবারই জানা আছে যে এই ধরনের শরীরচর্চা করলে হার্টের পাম্প করার ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে হৃদপিন্ডের পেশীদেরও সচলতা বৃদ্ধি পায়।

By Nayan
|

মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে কর্মক্ষম রাখতে কী করা যেতে পারে জানা আছে? শরীরচর্চা করলে কেমন হয়? বটে! করা যেতেই পারে। কিন্তু তাতে ১০০-এর কোটা পেরনো যাবে কি? মনে হয় না। তাহলে উপায়!

সত্যিই যদি বহু দিন পর্যন্ত হাসপাতাল থেকে দূরে থাকতে চান, তাহলে ঝটপট সাঁতারটা শিখে ফেলুন, তাহলেই কেল্লাফতে! কীভাবে? বিশেষজ্ঞদের মতে শরীর সুস্থ রাখতে সাঁতারের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আর সবথেকে মজার বিষয় হল এই শরীরচর্চাটি করতে কোনও যন্ত্রপাতির প্রয়োজন পরে না। শুধু ধারে কাছে সুইমিং পুল অথবা পুকুর হলেই চলে। তাই না!

এখনও যদি সাঁতারের উপকারিতা নিয়ে মনে কোনও প্রশ্ন থেকে থাকে, তাহলে বাকি প্রবন্ধে এক্ষুনি চোখ রাখুন। তাহলেই দেখবেন সব ধোঁয়াশা কেটে যাবে।

১.হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ে:

১.হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ে:

সাঁতার হল এক ধরনের অ্যারোবিক এক্সারসাইজ। আর যেমনটা সবারই জানা আছে যে এই ধরনের শরীরচর্চা করলে হার্টের পাম্প করার ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে হৃদপিন্ডের পেশীদেরও সচলতা বৃদ্ধি পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ে। প্রসঙ্গত, নিয়মিত সাঁতার কাটলে আরেকভাবেও হার্টের উন্নতি ঘটে। কীভাবে? বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত সাঁতার কাটা শুরু করলে দেহের অন্দরে প্রদাহ কমতে শুরু করে। আর এমনটা হওয়া মাত্র যে শুধু হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা কমে, তা নয়, সেই সঙ্গে শরীরের বাকি অঙ্গের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

২. বুদ্ধি বাড়ে:

২. বুদ্ধি বাড়ে:

অষ্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক এই বিষয়ে গবেষণা চালাতে গিয়ে লক্ষ করেছিলেন যারা নিয়মিত সাঁতার কাটেন, তাদের মোটর স্কিলের উন্নতি ঘটে। ফলে ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে মনোযোগ এবং বুদ্ধিও বাড়তে শুরু করে।

৩. ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ায়:

৩. ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ায়:

আপনি কি অ্যাস্থেমায় ভুগছেন? তাহলে সাঁতার শেখার ব্যাপারে ভাবতে পারেন। কারণ একাধিক স্টাডি একথা প্রমাণ করেছে যে সাঁতার কাটার সময় ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়তে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অ্যাস্থেমার প্রকোপ কমে যায়। সেই সঙ্গে নাক ডাকার সমস্যাও একেবারে বাগে চলে আসে।

৪. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়:

৪. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত সাঁতার কাটলে শরীরে উপকারি কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে কমে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাও। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কমে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা। তাই তো পরিবারে যদি হার্টের রোগের ইতিহাস থাকে, তাহলে সাঁতার শিখতে ভুলবেন না যেন!

৫. প্রদাহ কমায়:

৫. প্রদাহ কমায়:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত সাঁতার কাটলে হার্টের পেশির ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কর্মক্ষমতার উন্নতি ঘটে। সেই সঙ্গে শারীরিক প্রদাহ হ্রাস পাওয়ার কারণে অথেরোস্ক্লেরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।

৬. পেশীর শক্তি বৃদ্ধি পায়:

৬. পেশীর শক্তি বৃদ্ধি পায়:

মাত্র ৩০ মিনিট সাঁতার কাটলেই সারা শরীরের পেশীর শক্তি বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে পেটের চর্বিও কমতে শুরু করে। সেই কারণেই তো বিশেষজ্ঞরা সাঁতারকে সবথেকে কার্যকরী অ্যারোবিক এক্সারসাইজ হিসেবে বিবেচিত করে থাকেন।

৭. আয়ু বৃদ্ধি পায়:

৭. আয়ু বৃদ্ধি পায়:

যেমনটা প্রথমেই আলোচনা করা হয়েছিল ১০০ বছর বাঁচতে সাঁতারের থেকে ভাল আর কোনও শরীরচর্চা হতে পারে না। কারণ নিয়মিত সাঁতার কাটলে হঠাৎ মৃত্যুর অশঙ্কা প্রায় ৫০ শতাংশ কমে যায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জীবনের দৈর্ঘ বাড়ে।

৮. শরীরের সচলতা বাড়ে:

৮. শরীরের সচলতা বাড়ে:

খেয়াল করে দেখবেন সাঁতার কাটার সময় বেজায় হা এবং পা ছুড়তে হয়, সেই সঙ্গে সারা শরীরকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যেতে হয়। তাই তো নিয়মিত সাঁতার কাটলে শরীরে সচলতা চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পায়। শুধু তাই নয়, সাঁতার কাটার সময় প্রতি মুহূর্তে শরীরকে মারাত্মক স্ট্রেচ করতে হয়। যে কারণে শারীরিক বৃদ্ধিতেও কোনও ঘাটতি থাকে না।

৯. ওজন হ্রাস পায়:

৯. ওজন হ্রাস পায়:

১০ মনিট দৌড়ালে যেখানে কম-বেশি ১০০ ক্যালরি বার্ন হয়, সেখানে একই সময় সাঁতার কাটলে প্রায় ১৫০ ক্যালরি বার্ন হয়ে থাকে। ফলে ওজন কমতে থাকে তড়তড়িয়ে। তবে নিয়মিত সাঁতার কাটতে হবে, না হলে কিন্তু সেভাবে সুফল পাবেন না।

১০. স্ট্রেস এবং ডিপ্রেশন কমে:

১০. স্ট্রেস এবং ডিপ্রেশন কমে:

সাঁতার কাটার সময় মস্তিষ্কে এন্ডোরফিন নামে একটি হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। এই হরমোনটিকে চিকিৎসকেরা "ফিল গুড" হরমোন বলে থাকেন। কারণ এন্ডোরফিনের মাত্রা শরীরে বৃদ্ধি পেলে মন খুশি হয়ে যায়। তাই তো স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদ কমাতে চিকিৎসকেরা সাঁতার কাটার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এখানেই শেষ নয়, সাঁতার আরও নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। যেমন ধরুন, সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা অনুসারে সাঁতার কাটার সময় হিপোকম্পাস নিউরোজেনেসিস নামে একটি ঘটনা ঘটে থাকে। এই সময় স্ট্রেসের কারণে মস্তিষ্কের যে ক্ষতি হয়েছে, তার শুশ্রুষা হতে থাকে। ফলে মন-মেজাজ একেবারে চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত শরীরের প্রতিটি অঙ্গকে কর্মক্ষম রাখতে কী করা যেতে পারে জানা আছে? শরীরচর্চা করলে কেমন হয়? বটে! করা যেতেই পারে। কিন্তু তাতে ১০০-এর কোটা পেরনো যাবে কি? মনে হয় না। তাহলে উপায়!

Swimming is one of the most popular sports in the world. Why do you swim? For the health benefits of swimming to your lungs and heart? For the opportunity to be with some of friends at the swimming pool? As well as being fun, this kind of sport is a great way to help people keep fit, stay healthy, and even make friends. Swimming is a healthy activity that you could follow for a lifetime. Explore 10 major health and mental benefits of swimming daily in this article now to improve your overall health naturally.
Story first published: Wednesday, January 31, 2018, 15:19 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion