Just In
- 16 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 17 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 21 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 22 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
মমতা ব্যানার্জির পর ডেঙ্গুর ফাঁদে এবার সৌরভ গাঙ্গুলি!
কয়েক সপ্তাহ আগে ডেঙ্গু সম্পর্কিত ভুঁয়ো রিপোর্ট প্রকাশকে কেন্দ্র করে তুলকালাম হয়েছিল সারা রাজ্য় জুড়ে।
কয়েক সপ্তাহ আগে ডেঙ্গু সম্পর্কিত ভুঁয়ো রিপোর্ট প্রকাশকে কেন্দ্র করে তুলকালাম হয়েছিল সারা রাজ্য় জুড়ে। সে সময় স্বয়ং মুখ্য়মন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুলেছিল বিরোধী পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষ, এমনকী এই নিয়ে কেন্দ্র পর্যন্ত গড়িয়েছিল জল। এবার সেই একই ফাঁদে ফেঁসেছেন "প্রিন্স অব কলকাতা"!
গত ১৯ নভেম্বর সৌরভর গাঙ্গুলির বেহালার বাসভবন থেকে ডেঙ্গুর লার্ভা পাওয়া গেছে বলে জানানো হয় কলকাতা পৌরসভার তরফ থেকে। সে সময়ই সারা বাড়ি পরিষ্কার করে নেওয়ার পরামর্শও দেওয়া হয়। কিন্তু সে সাবধান বাণীকে একেবারেই যে তোয়াক্কা করেনি গাঙ্গালি পরিবারে, তার প্রমাণ মেলে ঠিক দুদিন পরে, ২১ নভেম্বর। ওই দিন পৌরসভার কর্মীরা তার প্রাসাদপম বাড়িতে খোঁজ চালিয়ে পুনরায় ডেঙ্গুর লার্ভা উদ্ধার করেন। এর পর পরই ভারতীয় ক্রিকেট টিমের প্রাক্তন অধিনায়ককে নোটিশ পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেয় পৌরসভা। প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন ধরে সৌরভ গাঙ্গুলির বড়দা স্নেহাশিস গাঙ্গুলি ডেঙ্গু ফিবারে আক্রান্ত হয়ে কলকাতার এক নামি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাই শুধু বেহালাবাসীদের নয়, সমগ্র রাজ্যবাসীদের সাবধান হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। কারণ রাজ্যের ডেঙ্গু পরিস্থিত যে এখনও বদলায়নি, তা এই ঘটনা থেকে আরেকবার প্রমাণ হয়ে গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকার উপায় কী? এক্ষেত্রে অ্যাডিস মশার আক্রমণ থেকে বাঁচতে দেহের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে মারাত্মক শক্তিশালী করে তোলা ছাড়া আর কোনও উপায় আছে বলে তো মনে হয় না। আর এই কাজটি করবেন কিভাবে, সে সম্পর্কে জানাতে আজ বোল্ডস্কাই বাংলার পাঠকদের বিশেষ কিছু পরামর্শ দিতে চলেছেন যোগ গুরু বাবা রামদেব। তাঁর মতে এই প্রবন্ধে আলোচিত ঘরোয়া পদ্ধতিগুলি শুধু দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলবে না, সেই সঙ্গে ডেঙ্গুর রোগের চিকিৎসাতেও বিশেষ ভূমিকা নেবে। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে যে যে প্রকৃতিক উপাদানগুলি সাহায্য করতে পারে, সেগুলি হল...
১. গুলঞ্চ:
একাধিক আয়ুর্বেদ গ্রন্থে এই প্রকৃতিক উপাদানটিকে অমৃত বলে বিবেচিত করা হয়েছে। আর কেনই বা করা হবে না বলুন, প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধি গুলঞ্চ পাতা যদি নিয়মিত সেবন করা যায়, তাহলে যে শুধু ডেঙ্গু ফিবার দূরে থাকে, তা নয়। সেই সঙ্গে ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিস, বদ-হজম, অ্যাংজাইটি এবং অ্যাস্থেমার মতো রোগও ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে নিজেকে এবং পরিবারের বাকি সদস্যদের সুস্থ রাখতে নিয়মিত গুলঞ্চ পাতা খেতে ভুলবেন না যেন!
২. অ্যালো ভেরা:
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ইমিউনিটি বাড়ানো, সব কাজেই এই প্রাকৃতিক উপাদানটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, প্রকৃতিক অ্যান্টিবায়েটিক হিসেবেও অ্যালো ভেরার ভূমিকাকে অস্বীকার করা সম্ভব নয়। সেই কারণেই তো ডেঙ্গু রোগের আক্রমণ থেকে বাঁচতে রামদেব বাবা অ্যালো ভেরা জেলের উপর ভরসা রাখার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এখন প্রশ্ন হল, অ্যালো ভেরা জেলকে কাজে লাগানো হবে কিভাবে? রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলতে সরাসরি অ্যালো ভেরা জেল খেতে পারেন অথবা স্যালাডে মিশিয়েও গ্রহণ করতে পারেন।
২. হুইট গ্রাস:
ফাইবার, ভিটামিন এবং মিনরেল সমৃদ্ধ এই প্রকৃতিক উপাদানটি শরীরকে ভিতর থেকে শক্তিশালী করে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার শরীর ভিতর থেকে তরতাজা হয়ে উঠলে ডেঙ্গু কেন, কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষার সাহস পায় না। প্রসঙ্গত, হজম ক্ষমতার উন্নতিতে এবং প্লেট লেট কাউন্ট বাড়াতেও হুইট গ্রাস সাহায্য করে থাকে।
৩. তুলসি:
পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি আনার পাশপাশি শরীরকে নানাবিধ রোগের হাত থেকে বাঁচাতেও তুলসি পাতা বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটির অন্দরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য উপকারি উপাদান ইমিউন সিস্টেমকে এতটা শক্তিশালী করে তোলে যে ডেঙ্গু ভাইরাস কোনও ভাবেই কামড় বাসতে পারে না। এখানেই শেষ নয়, তুলসি পাতা যে কেবল ডেঙ্গুর মার থেকেই বাঁচায়, এমন নয়। এই প্রকৃতিক উপাদানটি ক্যান্সার রোগেকে দূরে রাখতে, ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়াতে, ডায়াবেটিসের চিকিৎসায় এবং জ্বরের প্রকোপ থেকে বাঁচাতেও নানাভাবে সাহায্য করে থাকে।
৫. ডুমুর:
ব্লাড প্রেসারকে নিযন্ত্রণে রাখার পাশপাশি ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখতে এবং হর্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে ডুমুর ফলের ভূমিকাকে কোনও ভাবেই অস্বীকার করা সম্ভব নয়। আর এখন তো একথাও প্রমাণিত হয়ে গেছে যে ডেঙ্গু ভাইরাসকে মারতেও এই ফলটি সাহায্য করে। তাই বেহালাবাসীরা সুস্থ থাকতে আজই চৌরাস্তা বাজারে না হয় ঠাকুরপুকুর বাজারে গিয়ে ডুমুর ফলের খোঁজ লাগান। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ফলটিই পারে আপনাদের রোগমুক্ত রাখতে।
৬. কিশমিশ:
এতে উপস্থিত ভিটামিন, ইলেকট্রোলাইট এবং মিনারেল শরীরকে ভিতর এবং বাইরে থেকে এতটা শক্তিশালী করে তোলে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে আসতে পারে না। সেই সঙ্গে দেহের অন্দরে ক্যান্সার সেলের জন্ম আটকাতে, অ্যালার্জিকে দূরে রাখতে এবং রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত এক মুঠো করে কিশমিশ খেলে ভাইরাল ফিবার এবং অটো-ইমিউন ডিজিজে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
৭. পেঁপে পাতা:
ডেঙ্গুর চিকিৎসায় পেঁপে পাতার কোনও বিকল্প নেই। শুধু তাই নয়, শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে জোড়দার করে তোলার পাশাপাশি প্লেট লেট কাউন্ট বাড়াতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই শুধু ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসায় নয়, মশাবাহীত এই রোগটিকে দূরে রাখতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত পেঁপে পাতার রস নিয়মিত পান করলে ম্যালেরিয়া এবং চিকুনগুনিয়া রোগও দূরে থাকতে বাধ্য হয়।
উপরে আলোচিত প্রকৃতিক উপাদনগুলি ছাড়াও ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসায় বাবা রামদেব আরেকটি জিনিসের উপর খুব ভরসা রাখেন, তা হল জল। যোগ গুরুর মতে প্রচুর মাত্রায় জল খেলে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। তাই তো বন্ধুরা সুস্থ থাকতে আজ থেকেই দিনে ৩-৪ লিটার জল পান শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে।