Just In
- 17 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 17 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 20 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 23 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
রাতে রুটি খাওয়া কি আদৌ উচিত?
কোন খাবারটা স্বাস্থ্যকর, কোনটা নয়, সে সম্পর্কে হওয়া একাধিক গবেষণায় রুটি সম্পর্কে যে তথ্য উঠে এসেছে তা বাস্তবিকই চমকপ্রদ, যা পড়তে পড়তে রুটি সম্পর্কে আপনার ধরণাটাই বদলে যাবে
রুটি খেলে নাকি পেট পরিষ্কার হয়। রুটি খেলে নাকি ওজন বাড়ে না। এমনকী রুটি খেলে নাকি বদহজমও হয় না। এই সব ধরণাগুলি কি আদৌ ঠিক? নাকি আসল সত্যিটা আমরা কেউই জানি না?
কোন খাবারটা স্বাস্থ্যকর, কোনটা নয়, সে সম্পর্কে হওয়া একাধিক গবেষণায় রুটি সম্পর্কে যে তথ্য উঠে এসেছে তা বাস্তবিকই চমকপ্রদ, যা পড়তে পড়তে রুটি সম্পর্কে আপনার ধরণাটাই যে বদলে যাবে, সে সম্পর্ক কোনও সন্দেহ নেই! তাহলে আর অপেক্ষা কেন! চলুন খোঁজ লাগানো যাক রুটির নানা অজানা দিক সম্পর্কে। সেই সঙ্গে খোঁজ লাগানোর চেষ্টা করা যাক রুটি খাওয়া আদৌ স্বাস্থ্যকর কিনা, সে সম্পর্কেও।
১. শরীরকে চাঙ্গা করে:
গমের রুটি খাওয়া অভ্যাস করলে শরীরের কোনও ক্ষতি তো হয়ই না, উল্টে অনেক উপকার পাওয়া যায়। আসলে গমের অন্দরে থাকা ফাইবার এবং অন্যান্য উপকারি উপদান শরীরে প্রবেশ করার পর পুষ্টির ঘাটতি তো দূর করেই, সেই সঙ্গে নানাবিধ রোগ ভোগের আশঙ্কাও কমায়।
২. এনার্জির ঘাটতি দূর করে:
অফিসে সেই সকাল থেকে এত কাজের চাপ যে মাথা তুলতে পারেননি। ফলে এনার্জি লেভেল একেবারে তলানিতে এসে ঠেকেছে? তাহলে তো বন্ধু লাঞ্চে রুটি খাওয়া মাস্ট! কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে গম দিয়ে বানানো রুটির অন্দরে থাকা কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার এবং প্রোটিন নিমেষ ক্লান্তি দূর করে এনার্জির ঘাটতি মেটাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩. হজমের উন্নতি ঘটে:
গমের রুটিতে থাকা ফাইবার প্রায় সব ধরনের পেটের রোগের প্রকোপ কমানোর পাশাপাশি হজম ক্ষমতার উন্নতিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে পাচক রসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দিয়ে বদহজম এবং গ্যাস অম্বলের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। তাই যদি জিজ্ঞাস করেন যে রাতে রুটি খাওয়া উচিত কিনা? তাহলে উত্তর হবে অবশ্যই উচিত!
৪. কনস্টিপেশনের প্রকোপ দূর করে:
একাধিক কেস স্টাডি করে জানা গেছে নিয়মিত গমের রুটি খাওয়ার অভ্যাস করলে শরীরে ফাইবারের মাত্রা এত মাত্রায় বৃদ্ধি পায় যে কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগ সারতে একেবারে সময়ই লাগে না। তবে এক্ষেত্রে একটা বিষয় জেনে রাখা প্রয়োজন যে গমের রুটি যতটা উপকারি, বাজরার রুটি কিন্তু অতটা উপকারি নয়, তাই এই ধরনের রুটি যতটা সম্ভব কম খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
৫. ওজন কমায়:
অতিরিক্ত ওজনের কারণে যদি খুব চিন্তায় থাকেন, তাহলে আজ থেকেই রাত্রে ভাতের জায়গায় রুটি খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। কারণ রুটি কেলে শরীরে ক্যালরির মাত্রা খুব একটা বাড়ে না। সেই সঙ্গে রুটি যেহেতু তাড়াতাড়ি হজম হয়ে যায়, তাই মেদ বৃদ্ধির আশঙ্কাও হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। ফলে বারে বারে খাওয়ার প্রবণতা কমে। আর একথা তো সবারই জানা আছে যে কম খেলে ওজনও বাড়ে না, বরং কমে!
৬. ক্যান্সারেরর মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে গমের রুটির অন্দরে থাকা ভিটামিন ই, ফাইবার এবং সেলেনিয়াম শরীরে ক্যান্সার সেলেদের জন্ম নিতে দেয় না। সেই সঙ্গে টিউমারের সম্ভাবনাও কমায়।
আর কোনও সন্দেহ নেই নিশ্চয় যে গমের রুটি বাস্তবিকই একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। তাই সকাল হোক কী রাত, যে কোনও সময়েই রুটি খাওয়া চলতে পারে।