Just In
- 2 hrs ago কাঠফাটা গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করবে এই ফলগুলি!
- 3 hrs ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 20 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
- 20 hrs ago গরম থেকে বাঁচতে দেদার খাচ্ছেন ডাবের জল? ডেকে আনছেন না তো বড় বিপদ!
Don't Miss
শীতকালে সুস্থ থাকতে এই মশলাগুলি খাওয়া মাস্ট!
ডিসেম্বর থেকে মার্চ, বছরের এই কয়েকটা মাস প্রচন্ড তাপ প্রবাহের হাত থেকে সমগ্র বঙ্গসমাজ নিস্থার পেলেও ঠান্ডাকালে অন্য সব সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। এই যেমন ধরুন ঘরে ঘরে হ্যাঁচ্চো...
ডিসেম্বর থেকে মার্চ, বছরের এই কয়েকটা মাস প্রচন্ড তাপ প্রবাহের হাত থেকে সমগ্র বঙ্গসমাজ নিস্থার পেলেও ঠান্ডাকালে অন্য সব সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে। এই যেমন ধরুন ঘরে ঘরে হ্যাঁচ্চো....খুকখুক কাশি তো আছেই। সেই সঙ্গে আরও সব জটিল-কুটিল রোগের আক্রমণে জীবন দুর্বিসহ হয়ে ওঠে। এই কারণেই তো শীতকালকে ডাক্তারেরা লক্ষ্মী মাস বলে থাকেন! কিন্তু একটা উপায় আছে, যা মেনে চললে ঠান্ডাও উপভোগ করতে পারবেন, এদিকে শরীরও চাঙ্গা থাকবে। ফলে পকেট হাল্কা হওয়ার আশঙ্কাও কমবে।
কী সেই উপায়? বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে এমন বেশ কিছু ভারতীয় মশলা আছে, যা নিয়মিত খাওয়া শুরু করলে ঠান্ডার পরশ গায়ে লাগলেও তার থেকে শরীরের কোনও ক্ষতি হওয়ার তেমন কোনও আশঙ্কা থাকে না। তাই তো হাজার বছরের পুরানো সব আয়ুর্বেদ গ্রন্থ থেকে খুঁজে খুঁজে সেই সব মশলার একটা লিস্ট, এই প্রবন্ধে তুলে ধরা হল আপনাদের জন্য। তাই বন্ধুরা এবছর শীতকালটাকে যদি স্মৃতির মণিকোঠায় সাজিয়ে রাখতে চান, তাহলে একবার এই প্রবন্ধে চোখ রাখা মাস্ট!
এক্ষেত্রে যে যে মশলাগুলি শরীরকে শীতের ছোবল থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে থাকে, সেগুলি হল...
১. জাফরান:
অমূল্য এই প্রকৃতিক সম্পদটিকে যদি এই শীতকালে কাজে লাগাতে পারেন, তাহলে শরীর নিয়ে আর কোনও চিন্তাই থাকবে না দেখবেন। আসলে এর মধ্যে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান, মিনারেল এবং ভিটামিন শরীরকে ভিতর থেকে এতটাই শক্তিশালী করে তলে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে আসতে পারে না। এক্ষেত্রে সামান্য পরিমাণে জাফরান দুধে গুলে যদি নিয়মিত খেতে পারেন, তাহলে তো কোনও কথাই নেই!
২. হলুদ:
একাধিক প্রাচীন পুঁথি অনুসারে প্রায় হাজার বছর ধরে নানা রোগের চিকিৎসায় কাজে লাগানো হচ্ছে এই মশলাটিকে। আর কেন লাগানো হবে নাই বা বলুন! অধুনিক গবেষণা বলছে হলুদে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদান শুধু সর্দি-জ্বর নয়, আরও সব রোগের খপ্পর থেকে বাঁচাতেও সাহায্য করে থাকে। প্রসঙ্গত, রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তুলে সার্বিকভাবে রোগ মুক্ত জীবনের পথকে প্রশস্থ করতেও হলুদের কানও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
৩. মেথি:
অ্যান্টিভাইরাল প্রপাটিজে পরিপূর্ণ এই প্রকৃতিক উপাদানটি প্রতিদিন যদি গ্রহণ করতে পারেন, তাহলে এই শীতে শরীর খারাপ হওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকবে না। সেই সঙ্গে কমবে ভাইরাল ফিবার, গলায় ব্যথা এবং সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও। এক্ষেত্রে রাতে শুতে যাওয়ার আগে পরিমাণ মতো মেথি বীজ নিয়ে জলে ভিজিয়ে রাখতে হবে। পরদিন সকালে উঠে সেই জল পান করলে মিলবে দারুন উপকার।
৪. জায়ফল:
বিরিয়ানি থেকে মটন কারি, সবেতেই অবাধ বিচরণ করা এই মশলাটি যে শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায়, এমন নয়, সেই সঙ্গে শরীরকে চাঙ্গা রাখতেও নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। কীভাবে? জায়ফলের অন্দরে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, এক কাপ গরম দুধে অল্প করে জায়ফল গুঁড়ো, এবং মধু মিশিয়ে খেলে এক্ষেত্রে দারুন উপাকার পাওয়া যায়।
৫. দারচিনি:
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজে পরিপূর্ণ এই মশলাটি একদিকে যেমন খাবারের স্বাদকে বাড়িয়ে তোলে, তেমনি শীতকালে শক্তিশালী হয়ে ওঠা নানা ব্যাকটেরিয়া এবং জীবাণুর হাত থেকে শরীরকে রক্ষা করে। এক কথায় দারচিনি দেহের চারিদিকে এমন লক্ষণ রেখা টেনে দেয় যে কোনও রোগের পক্ষেই সেই রেখা পেরনো সম্ভব হয়ে ওঠে না।
৬. গোল মরিচ:
সারা শীতকালটা সুস্থ থাকতে চান নাকি? উত্তর যদি হ্যাঁ হয়, তাহলে ভুলেও রোজের ডায়েট থেকে গোলমরিচকে বাদ দেবেন না যেন! কারণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পরিপূর্ণ এই মশলাটি হজম প্রক্রিয়ার যেমন উন্নতি ঘটায়, তেমন শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকেও শক্তিশালী করে তোলে। ফলে শরীর খারাপ হওয়ার কোনও আশঙ্কাই থাকে না।
৭. লবঙ্গ:
শীতকালে শরীরের যত্নে যে যে মশলাগুলি বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে, লবঙ্গ তার মধ্যে অন্যতম। আসলে এই মশলাটির শরীরের থরে থরে সাজানো থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি, অ্যান্টিসেপটিক এবং পেন রিলিভিং প্রপাটিজ। এই উপাদানগুলি নানাভাবে শরীরকে রোগমুক্ত রাখতে সাহায্য করে থাকে। তাই তো নিয়মিত খাবারের সঙ্গে এই প্রকৃতিক উপাদানটি মিশিয়ে খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞরা।
৮. এলাচ:
আকারে ছোট হলে কী হবে, গুণে এই মশলাটি অনেককেই পিছনে ফেলে দিতে পারে কিন্তু! সেই কারণেই তো সারা শীতকালজুড়ে এলাচ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। আসলে এমনটা করলে শরীরে পুষ্টিকর খনিজে ভরে ওঠে। সেই সঙ্গে ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের ঘাটতিও মেটে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ইমিউনিটি এতটা বেড়ে যায় যে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমে।