Just In
- 7 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 8 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 11 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 13 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
নতুন বছরে রোগমুক্ত জীবন পেতে বন্ধু বানিয়েই ফেলুন ব্রকলিকে!
ক্রসিফেরাসল পরিবারের এই জনপ্রিয় সদস্যটিকে নিজের পরিবেরের একজন বানালে আগামী দিনে যে চিকিৎসকের মুখ দেখতে হবে না সে কথা হলফ করে বলতে পারি।
ক্রসিফেরাসল পরিবারের এই জনপ্রিয় সদস্যটিকে নিজের পরিবেরের একজন বানালে আগামী দিনে যে চিকিৎসকের মুখ দেখতে হবে না সে কথা হলফ করে বলতে পারি। আসলে এই সবজির অন্দরে উপস্থিত একাধিক শক্তিশালী উপাদান নানাভাবে শরীরের গঠনে সাহায্য করে থাকে, তেমনি নানাবিধ জটিল রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন থাকে।
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে পুষ্টিগুণের দিক থেকে বাকি অনেক সবজিকে পিছনে ফেলে দিয়েছে ব্রকলি। কারণ এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, কে, ডায়াটারি ফাইবার, ফলেট, পটাশিয়াম, সেলেনিয়াম, ভিটামিন এ, ম্যাঙ্গানিজ, ট্রাইপটোফেন, ভিটামিন বি৬ এবং ফসফরাস। এখানেই শেষ নয়, ব্রকলির অন্দরে বেশ কিছু ইউনিক অর্গেনিক কম্পাইন্ডেরেও খোঁজ পাওয়া যায়। যেমন ধরুন- ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট গ্লকোসিনোলেট, ফ্লবোনয়েড প্রভৃতি। এইসবকটি উপাদান কীভাবে শরীরের কাজে লাগে জানেন?
১. ক্যান্সার রোগকে প্রতিরোধ করে:
সহজ কথায় ক্যান্সার রোগকে নিকাশ করতে প্রকৃতির তৈরি সবথেকে শক্তিশালী ওষুধ হল ব্রকলি। কারণ এই সবজিটির অন্দরে উপস্থিত ভাটামিন সি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা ক্যারোটিন, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক, ভিটামিন এ এবং সি শরীরে থেকে ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদের খুঁজে খুঁজে বের করে দেয়। ফলে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। প্রসঙ্গত, ব্রেস্ট, ইউটেরাস, লাং, কলোন, লিভার, কিডনি এবং ইনটেস্টটাইনের ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করতেও এই সবজিটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, ব্রকলির অন্দরে থাকা বেশ কিছু অ্যামাইনো অ্যাসিডও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২. শরীরকে বিষ মুক্ত করে:
ব্রকলির অন্দরে থাকা ভিটামিম সি, সালফার এবং বেশ কিছু অ্যামাইনো অ্যাসিড শরীরে প্রবেশ করার পর রক্তে উপস্থিত ফ্রি রেডিকালদের বের করে দেয়। ফলে রক্ত এত পরিশুদ্ধ হয়ে ওঠে যে একাধিক রোগ ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগ পায় না। যেমন ধরুন ফোঁড়া, চুলকানি, অর্থ্রাইটিস, গাউট, একজিমা প্রভৃতি। প্রসঙ্গত, রক্তে উপস্থিত ইউরিক অ্যাসিডকে শরীর থেকে বের করে দিয়ে জয়েন্ট পেনের হাত থেকে বাঁচাতেও ব্রকলি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩. ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়:
স্কিনকে উজ্জ্বল এবং প্রাণবন্ত করে তুলতে প্রতিদিনের ডায়েটে ব্রকলির অন্তর্ভুক্তি মাস্ট! কারণ এই সবজিটির অন্দরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিটা-ক্যারোটিন, ভিটামিন সি, বি কমপ্লেক্স, ই, এ, কে এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড ত্বকের ভিতরে জমতে থাকা টক্সিক উপাদানদের বের করে দেয়। সেই সঙ্গে কোলাজেনের উৎপাদন এতটা বাড়িয়ে দেয় যে স্কিন উজ্জ্বল এবং প্রাণচ্ছ্বল হয়ে ওঠে। প্রসঙ্গত, বলিরেখা কমিয়ে ত্বকের বয়স কমাতেও এই উপাদানগুলি সাহায্য করে থাকে।
৪. সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির হাত থেকে রক্ষা করে:
গ্লকোরাফেনিন নামক একটি শক্তিশালী ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে ব্রকলির অন্দরে, যা আমাদের ত্বকের উপর এমন একটি বর্ম তৈরি করে ফেলে যে অতি বেগুনি রশ্মির কোনও প্রভাবই পরে না স্কিনের উপর। প্রসঙ্গত, বায়ু দূষণের কারণে ওজন স্তর ফুঁটো হতে শুরু করে করেছে, যে কারণে অতির মাত্রায় আলট্রাভায়োলেট রশ্মির প্রবেশ ঘটছে বায়ু মন্ডলে। এমন পরস্থিতিতে ব্রকলির মতো সবজি খাওয়ার প্রয়োজন যে বেড়েছে সে বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।
৫.নানাবিধ পেটের রোগের চিকিৎসায় কাজে লাগে:
গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় কি জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে? তাহলে বন্ধু আজ থেকেই এই সবজিটি খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার মিলবে। কারণ ব্রকলিতে থাকা ডায়েটারি ফাইবার একদিকে যেমন পাচক রসের ক্ষরণ বাড়িয়ে দিয়ে হজম ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তেমনি কনস্টিপেশনের মতো সমস্যা কামতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। প্রসঙ্গত, ব্রকলির মধ্যে আরেকটি খনিজ থাকে, যা স্টমাক ফাংশনের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা নিয়ে থাকে। কোন খনিজের কথা বলছি তাই ভাবছেন তো? খনিজটি নাম হল ম্যাগনেসিয়াম।
৬. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়:
অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের পাশাপাশি ব্রকলিতে উপস্থিত ফাইবার, বিটা-ক্যারোটিন, ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড এবং উপকারি ভিটামিনেরা রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ফেলে। সেই সঙ্গে ব্লাড প্রেসারকেও নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে থাকে না বললেই চলে। প্রসঙ্গত, এই সবজিটিতে থাকা পটাশিয়ামও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এই খনিজটি সারা শরীরে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহ বাড়িয়ে দেয়। ফলে হার্টের পাশপাশি অন্যান্য ভাইটাল অর্গেনেদের কর্মক্ষমতা বাড়তে সময় লাগে না।
৭. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়:
ব্রকলির অন্দরে থাকা জিয়াক্সেথিন, বিটা-অন্যান্য, ভিটামিন এ, সি, ই, বি কমপ্লেক্স এবং ফসফরাস একদিকে যেমন ম্যাকুলার ডিজেনারেশন রোধ করে, তেমনি ছানির মতো রোগকে দূরে রাখতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সম্প্রতি একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছিল। তাতে এমনটা দাবি করা হয়েছিল যে আমাদের দেশে অন্ধত্বের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনে ছানির রোগ অন্যতম বড় কারণ। এমন পরিস্থিতিতে ব্রকলি কতটা ভরসা যোগাতে পারে, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না।