For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

ওয়ার্ল্ড এগ ডে: রোজের ডায়েটে ঠিক ৩ টে সেদ্ধ ডিম থাকা মাস্ট কেন জানা আছে?

গতকাল ছিল ওয়ার্ল্ড এগ ডে। তাই তো এই দিনটিকে সামনে রেখে আরও একবার চিকিৎসক মহল ডিমের পক্ষে সাওয়াল করা শুরু করেছেন।

|

গতকাল ছিল ওয়ার্ল্ড এগ ডে। তাই তো এই দিনটিকে সামনে রেখে আরও একবার চিকিৎসক মহল ডিমের পক্ষে সাওয়াল করা শুরু করে দিয়েছেন। আর কেন করবেন নাই বা বলুন! বেশ কিছু স্টাডি অনুসারে ডিমের অন্দরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, মিনারেল, সেই সঙ্গে রয়েছে প্রোটিন এবং আরও এমন অনেক উপকারি উপাদান, যা শরীরের প্রতিটি অংশকে শক্তিশালী করে তুলতে বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে। তাই তো বলি বন্ধু, গুজবে কান না দিয়ে নিয়মিত ২-৩ টে করে ডিম সেদ্ধ খাওয়া শুরু করুন, দেখবেন নানাবিধ উপকার পাবেই পাবেন! তবে ইচ্ছা হলে চিকিৎসেকর পরামর্শও নিয়ে নিতে পারেন!

এত দূর পড়ার পর নিশ্চয় আপনাদের জানতে ইচ্ছা করছে রোজের ডেয়েটে ডিমকে জায়গা করে দিলে কী কী উপকার মিলতে পারে, কি তাই তো? তাহলে আর আপেক্ষা কেন, চলুন পড়ে ফেলা যাক বাকি প্রবন্ধটা। প্রসঙ্গত, নিয়মিত ডিম খাওয়া শুরু করলে সাধারণ যে যে উপকারগুলি মেলে, সেগুলি হল...

১. পেশির ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

১. পেশির ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত ডিম খাওয়া শুরু করলে শরীরে প্রোটিনের মাত্রা এতটাই বৃদ্ধি পায় যে পেশির ক্ষমতা বাড়তে সময় লাগে না। এই কারণেই তো যারা নিয়মিত শারীরিক কসরত করেন, তাদের ডিম খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

২. ভাবী মায়েদের জন্য উপকারি:

২. ভাবী মায়েদের জন্য উপকারি:

প্র্যাগন্যান্সির সময় অনেক মায়ের শরীরেই নানাবিধ রোগ বাসা বেঁধে বসে। তবে এমনটা হওয়া থেকে মায়ের শরীরকে বাঁচানো যায় কিন্তু, যদি নিয়মিত ডিম খাওয়া যায় তো। আসলে বেশ কিছু স্টাডি অনুসারে ভাবী মায়েরা যদি প্রতিদিন ডিম খান, তাহলে তাঁদের শরীরে স্পাইনা বিফিদা নামক একটি উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে কোনও রোগই মায়ের শরীরের ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না, বিশেষত কনজেনিটাল ডিসেবেলিটির মতো সমস্যা দূরে থাকে। সেই সঙ্গে বাচ্চার শরীরও চাঙ্গা হয়ে ওঠে।

৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে ডিমের অন্দের উপস্থিত সেলেনিয়াম দেহের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে এতটা শক্তিশালী করে তোলে যে, কোনও ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়, সেই সঙ্গে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। প্রসঙ্গত, ব্রেকফাস্টে যদি একটার জায়গায় দুটো করে ডিম খাওয়া যায়, তাহলে বেশি উপকার মেলে।

৪. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়:

৪. ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়:

শুনতে আজব লাগলেও একথা ঠিক যে প্রতিদিনের ডায়েটে ২-৩ টে ডিম জায়গা করে নিলে শরীরে এত মাত্রায় ভিটামিন এবং মিনারেলের প্রবেশ ঘটে যে তার প্রভাবে ত্বকের অন্দরে জমে থাকা ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানেরা সব বেরিয়ে যেতে শুরু করে। ফলে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, বিশেষজ্ঞদের মতে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা যখন শক্তিশালী হয়ে ওঠে তখনও কিন্তু ত্বকের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে। আর যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে নিয়মিত ২-৩ টে করে ডিম খাওয়া শুরু করলে রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী হয়ে উঠতে সময় লাগে না।

৫. প্রোটিনের ঘাটতি মেটে:

৫. প্রোটিনের ঘাটতি মেটে:

ডিমে উপস্থিত অ্যালবুমিন নামে এক ধরনের প্রোটিন পেশির গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এনার্জি বৃদ্ধির পাশাপাশি শরীরের অভ্যন্তরীণ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্যও সকাল সকাল ডিম খাওয়াটা জরুরি। প্রসঙ্গত, যারা সকালে নিয়মিত শরীরচর্চা করেন, তারা ডিম খেতে ভুলবেন না যেন! এমনটা করলে দেখবেন একাধিক রোগ আপনার ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না।

৬. ওজন কমতে শুরু করে:

৬. ওজন কমতে শুরু করে:

একেবারেই ঠিক শুনেছেন। ডিম খেলে ওজন বাড়ে না। বরং কমে! পেনিংটন বায়োমেডিকাল রিসার্চ সেন্টারের করা এক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে সকাল সকাল ডিম খেলে দিনের অনেকটা সময় পর্যন্ত ক্ষিদে পায় না। ফলে খাওয়ার পরিমাণ কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে শরীরে মাত্রাতিরিক্ত ক্যালরি জমার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। ফলে স্বাভাবিকবাবেই ওজন কমতে শুরু করে। তাই যারা ওবেসিটির সমস্যায় ভুগছেন, তারা নিয়ম করে ব্রেকফাস্টে ডিম খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার পাবেন। প্রসঙ্গত, পোচ অথবা সেদ্ধ ডিম খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তাতে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

৭. এনার্জির ঘাটতি দূর হয়:

৭. এনার্জির ঘাটতি দূর হয়:

সকাল ঘুম থেকে ওঠার পর ঠিক কোনও জিনিসটার বেশি করে প্রয়োজন পরে বলুন তো? আরে মশাই এনার্জির! একেবারেই ঠিক। তাই তো দাঁত মাজার পর টপ করে একটা ডিম সেদ্ধ খেয়ে নিতে হবে। তাহলেই দেখবেন ক্লান্তি তো দূর হবেই, সেই সঙ্গে কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পাবে। আসলে ডিমে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং অন্যান্য পুষ্টিকর উপাদান নিমেষে দেহের প্রয়োজনীয় জ্বালানির চাহিদা পূরণ করে। ফলে শরীরের চনমনে হয়ে উঠতে একেবারে সময়ই লাগে না।

৮. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

৮. মস্তিষ্কের ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়:

বুদ্ধির জোর বারাতে কে না চায় বলুন! আপনিও যদি সেই দলে থাকেন, তাহলে কাল সকাল থেকেই ডিম খাওয়া শুরু করুন। আসলে ডিমে উপস্থিত বেশ কিছু পুষ্টিকর উপাদান মস্তিষ্কের ক্ষমতা মারাত্মক বাড়িয়ে দেয়। ফলে একদিকে যেমন বুদ্ধির বিকাশ ঘটে, তেমনি স্মৃতিশক্তি এবং মনোযোগও বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, ডিমে কোলিন নামে একটি উপাদান থাকে, যা এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৯. খিদে মেটে:

৯. খিদে মেটে:

ব্রেকফাস্টে দুটো ডিমের অমলেট বা পোচ খেয়ে দেখুন তো কী হয়! দেখবেন দুপুরের আগে ক্ষিদে পাওয়ার নামই নেবে না। তাই যাদের সকাল সকাল অফিসে বেরতে হয়, তারা ব্রেকফাস্ট না করার পরিবর্তে দুটো ডিম সেদ্ধ খেয়ে বেরিয়ে পরুন। তাহলেই দেখবেন কেল্লাফতে! এমনটা করলে শরীরের অন্দরে ভাঙন তো ঘটবেই না, উল্টে ক্ষিদের জ্বালা কমবে এবং পুষ্টির ঘাটতি দূর হবে।

১০. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে:

১০. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে:

ডিমে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, লুটিন এবং জিয়েক্সসেনথিন নামে বেশ কিছু উপকারি উপাদান দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ছানি হওয়ার আশঙ্কাও কমায়।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

Incredible Health Benefits of Boiled Eating Eggs - World Egg Day

Here we provide a nutritional breakdown for eggs, an in-depth look at their possible health benefits, tips on how to incorporate more eggs into your diet, and the potential health risks of consuming them.
Story first published: Saturday, October 13, 2018, 13:17 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion