Just In
৫০ এই যোম রাজের দেখা পেতে চান না তো? তাহলে এই ঘরোয়া ওষুধটিকে সঙ্গী বানান!
আচ্ছা কেউ বলতে পারেন, আয়ু কীভাবে বাড়ানো যায়? আরে এ কেমন প্রশ্ন! এই উত্তর জানা থাকলে তো সবারই আয়ু ১০০ ছুঁই ছুঁই হত, তাই না! আমি কিন্তু জানি এই প্রশ্নের উত্তর। কিন্তু এত সহজে যে বলব না। আপনাদের যদি সত্যিই সেঞ্চুরি হাঁকানোর ইচ্ছা থাকে তাহলে চোখ রাখতে হবে এই লেখায়।
কথায় বলে যে ওষুধটা একবার কাজে দিয়েছে, সে বারে বারে কাজে দেবে। তাহল ভাবুন আজ থেকে প্রায় ১৫০০ বছর আগে থেকে যে আয়ুর্বেদিক ওষুধটি নিজের খেল দেখিয়ে চলেছে সেটি কতটাই না কার্যকরি হবে। তাই তো এই প্রবন্ধে হাজার বছর আগের সেই মহৌষধিটির বিষয়ে আলোচনা করা হল, যা নিয়মিত খেলে ছোট থেকে বড়, কোনও রোগই আপনার ১০০ মিটারের মধ্যে আসতে পারবে না। সেই সঙ্গে প্রতিটি অঙ্গের কর্মক্ষমতা এতটাই বাড়বে যে হাসতে হাসতে ১০০ ছুঁতে পারবেন।
এই ওষুধটি বানাতে প্রয়োজন পরবে রসুন এবং মধুর। এই দুটি উপকরণ মিশিয়ে তৈরি হবে সুস্থ থাকার সেই মক্ষম দাওয়াই। কয়েক মাস নিয়ম করে খালি পেটে এই ওষুধটি খেলেই দেখবেন ফল মিলতে শুরু করেছে। আসলে খালি পেটে মধু এবং রসুনের এই মিশ্রনটি খেলে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। ফলে এতদিকে যেমন ওজন কমে, তেমনি খাবারে উপস্থিত সমস্ত পুষ্টিকর উপাদান শরীরে কাজে লাগতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
এক্ষেত্রে রসুন কী কাজে লাগে?
খাবারের স্বাদ বাড়ানোর পাশাপাশি এই প্রাকৃতিক উপাদনটি আরও নানা কাজে লেগে থাকে, যেমন...
১. রক্ত পরিশুদ্ধ হয়:
রসুন পাকস্থলীতে পৌঁছানো মাত্র গ্যাস্ট্রিক জুসের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে শরীরে আয়রণের ঘাটতি কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে রক্তাল্পতার মতো সমস্যাও দূর হয়। শুধু তাই নয়, রসুনে উপস্থিত ভিটামিন এবং খনিজ রক্তে জমে থাকা ক্ষতিকর উপদানদের শরীর থেকে বের করে দেয়। ফলে একাধিক রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়। সেই সঙ্গে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রাও কমতে শুরু করায় হার্টের স্বাস্থ্য়ের উন্নতি ঘটে।
২.ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পায়:
রসুনে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ত্বকের সৌন্দর্য তো বাড়ায়ই, সেই সঙ্গে ব্রণ সহ একাধিক স্কিন ডিজিজের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৩.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:
সংক্রমণের হাত থেকে বেঁচে থাকতে চান? তাহলে এই ঘরোয়া ওষুধটি খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন। কারণ এতে উপস্থিত রসুন আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে এতটাই শক্তিশালী করে তোলে যে ব্যাকটেরিয়া, ফাঙ্গাস সহ নানাবিধ জীবাণুর প্রকোপ কমতে শুরু করে।
মধু কীভাবে শরীরের গঠনে সাহায্য করে?
শরীররের সচলতা বজায় রাখতে মধুর কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। সেই সঙ্গে এটি শরীরের আরও নানা কাজে লাগে। যেমন-
১. প্রদাহ কমায়:
আপনার কি মাইগ্রেনের সমস্যা রয়েছে? তাহলে প্রতিদিন মধু খাওয়া শুরু করুন,দেখবেন রোগ একেবারে ছুমন্তর হয়ে গেছে। আসলে মধুতে উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান প্রদাহ বা যন্ত্রণা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২. এনার্জির ঘাটতি দূর করে:
সকালে উঠেই খালি পেটে অল্প করে মধু খাওয়া শুরু করুন। দখবেন সারা দিনে ক্লান্তি ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারবে না।
ওষুধটি বানানোর পদ্ধতি:
উপকরণ:
১. রসুন- ১২ টা কোয়া
২. মধু- ১ কাপ (৩৩৫ গ্রাম)
৩. ১ টা মাঝারি মাপের শিশি
বানানোর পদ্ধতি:
১. রসুনের কোয়াগুলি ভাল কর কেটে নিন।
২. শিশিতে এবার পরিমাণ মতো মধু ঢেলে নিন।
৩. রসুনের কোয়াগুলি মধুর সঙ্গে মেশান।
৪. বোতলের মুখটা আটকে ছায়া জায়গায় রেখে দিন।
৫. ১ সপ্তাহ কেটে গেলে ওই শিশি থেকে এক চামচ করে মিশ্রনটি নিয়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খাওয়া শুরু করুন। দখবেন আর কোনও দিন ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন পরবে না।