Just In
- 15 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 16 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 19 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 21 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
Don't Miss
নিয়মিত সবুজ শাক-সবজি খাওয়া উচিত কেন জানেন?
প্রকৃতির সৃষ্টি এই পাওয়ার হাউজেরা নিয়মিত আপনার প্লেটে জায়গা না করে নিলে মস্তিষ্ক তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তার ক্ষমতা কমতে শুরু করে।
প্রকৃতির সৃষ্টি এই পাওয়ার হাউজেরা নিয়মিত আপনার প্লেটে জায়গা না করে নিলে মস্তিষ্ক তার প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায় না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তার ক্ষমতা কমতে শুরু করে। বিশেষত স্মৃতিশক্তি কমে যেতে শুরু করে চোখে পরার মতো। তাই তো কম বয়সেই যদি স্মৃতিলোপের শিকার হতে না চান, তাহলে সবুজ শাকসবজি খেতে ভুলবেন না যেন!
কিন্তু শাক-সবজির সঙ্গে স্মৃতিশক্তি বাড়া-কমার কী সম্পর্ক মশাই? সম্পর্কটা যে বেশ গভীর, তা সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণাতেই প্রমাণ হয়ে গেছে। পরীক্ষাটি চলাকালীন গবেষকরা লক্ষ করেছিলেন নিয়মিত যারা শাক-সবজি খেয়ে থাকেন, তাদের মস্তিষ্কের বয়স, যারা শাকসবজি খান না, তাদের থেকে প্রায় ১১ বছর কমে যায়। সহজ কথায় ব্রেন পাওয়ার এতটা বৃদ্ধি পায় যে বয়স বাড়লেও কগনেটিভ ফাংশন কমে যাওয়ার আশঙ্কা একেবারে থাকে না বললেই চলে। আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটির মধ্যে থাকা উপকারি ভটামিন এবং মিনারেলরা এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তবে রোজের ডায়েটে সবজির অন্তর্ভুক্তি ঘটালে যে কেবল স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়, এমন নয়, সেই সঙ্গে আরও অনেক শারীরিক উপাকারও মেলে। যেমন ধরুন...
১. শরীরের বয়স কমে:
যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে সবজি শাকসবজি কেবল মস্তিষ্ককে চাঙ্গা রাখে না, সেই সঙ্গে সমগ্র শরীরের উপরও বয়সের ছাপ পরতে দেয় না। ফলে খাতায় কলমে বয়স বাড়লেও শরীর এবং তার অন্দরে ফিট করা নানাবিধ অঙ্গের কর্মক্ষমতার উপর কোনও প্রভাবই পরে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই আয়ু বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, মার্কিন গবেষকদের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে আম বাঙালি সাধারণত যে যে সবজিগুলি খেয়ে থাকেন, তার মধ্যে ভিটামিন কে প্রচুর মাত্রায় থাকে। এই ভিটামিনটি হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২. খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়:
আমাদের দেশে হার্টের রোগ বৃদ্ধি পাওয়ার পিছনে যে যে কারণগুলি দায়ি থাকে, তার মধ্যে অন্যতম হল শাক-সবজি খাওয়া থেকে বিরত থাকা। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বেশি মাত্রায় সবজি খেলে রক্তে জমতে থাকা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। প্রসঙ্গত, শরীরে উপস্থিত কোলেস্টেরলকে কাজে লাগিয়ে লিভার, বাইল অ্যাসিড তৈরি করে থাকে। এই উপাদানটি শরীরকে সচল রাখতে নানাভাবে সাহায্য করে। কিন্তু যখনই কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। তখনই কোনও ধরনের বিপদ হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই সুস্থভাবে বাঁচতে শরীরে যাতে কোলেস্টেরলের মাত্রা কোনও ভাবে না বাড়ে, সেদিকে খেয়াল রাখা উচিত।
৩. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়:
সবুজ শাক-সবজিতে উপস্থিত লুটেইন এবং জিয়েক্সেথিন নামক দুটি উপাদান দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, জোড়ালো আলোর কারণে যাতে চোখের কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে এই প্রকৃতিক উপাদানগুলি। তাই তো যাদের দিনের বেশিরভাগ সময়ই কম্পিউটার বা ডিজিটাল স্ক্রিনের সমানে কাজ করতে হয়, তারা নিয়মিত সবুজ শাক-সবজি খেতে ভুলবেন না যেন!
৪. শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়ায়:
বেশ কিছু কেস স্টাডিতে দেখা গেছে রোজের ডায়েটে শাক-সবজির মতো খাবার থাকলে দেহের অন্দরে ভিটামিন এবং মিনারেলের ঘাটতি দূর হয়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের সচলতা চোখে পারার মতো বাড়তে শুরু করে। সেই সঙ্গে দেহের অন্দরে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণও বাড়ে, যা শরীর জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করে। ফলে ক্লান্তিবোধ দূর হতে সময় লাগে না।
৫. হাড়ের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটে:
বয়সের সঙ্গে সঙ্গে হাড়ের ক্ষমতা, বিশেষত জয়েন্টর ক্ষমতা কমতে শুরু করে। আর এই ঘটনাটি ঘটতে থাকে ৩০-এর পর থেকেই। তাই তো এই বয়সের পর থেকে শাক-সবজির সঙ্গে বন্ধুত্ব করা মাস্ট! কারণ এই প্রাকৃতিক উপাদানটির অন্দরে উপস্থিত ক্যালসিয়াম, হাড়ের শক্তি বাড়ায়, সেই সঙ্গে জয়েন্টের সচলতাও এমন বাড়িয়ে তোলে যে কোনও ধরনের হাড়ের রোগ ধারে কাছে ঘেঁষার সুযোগ পায় না।
৬. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে:
জার্নাল অব দা আমেরিকান ডায়েটিক অ্যাসোসিয়েশনে প্রকাশিত এক স্টাডি অনুসারে প্রচুর মাত্রায় শাক-সবজি খেলে শরীরের অন্দরে এমন পরিবর্তন হতে শুরু করে যে ক্যান্সার কোষ জন্ম নেওয়ার সুযোগই পায় না। বিশেষত, কলোন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। তাই এই মারণ রোগটিকে যদি দূরে রাখতে হয়, তাহলে ভুলেও রোজের ডায়েট থেকে সবুজ শাক-সবজিকে বাদ দেওয়া চলবে না।
৭. ওজন হ্রাসে সাহায্য করে:
একাদিক গবেষণায় দেখা গেছে সবুজ-শাকসবজিতে উপস্থিত নানাবিধ উপকারি উপাদান মানব শরীরে প্রবেশ করার পর ফ্যাট সেলেদের গলাতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে এক বাটি সবজি খেলে বহুক্ষণ ক্ষিদে পায় না। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে গিয়ে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কা একবারে কমে যায়। তাই নতুন বছরে যদি ওজন কমানের বিষয়ে বদ্ধপরিকর হন, তাহলে রোজের ডায়েটে সবুজ শাক-সবজিকে রাখতে ভুলবেন না যেন!