For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

সুস্থভাবে বাঁচতে চাইলে নিয়মিত পালং শাক খেতেই হবে!

পালং শাকে উপস্থিত একাধিক উপকারি ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। সেই সঙ্গে স্কিন ক্যান্সার রোধে এবং সার্বিকভাবে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে

By Nayan
|

হাতের কাছে রয়েছে মহৌষধি। তবু আমরা পোঁ-পা করে ছুটছি হাসপাতালে। খরচ করে হাজার ৫০০-১০০০ টাকা, কমছে তবে গিয়ে দুঃখ-কষ্ট!

কবে যে আমরা খরচ বাঁচিয়ে সুস্থ থাকতে শিকবো জানা নেই। প্রকৃতি আমাদের ঝুলিতে শক্তিশালী সব ওষুধপত্র ঢেলে দিয়েছে। তবু সেদিকে কারও খেয়াল নেই। সবাই নকল ওষুধ খেয়ে চাঙ্গা হতে চাইছে। আরে মশাই অ্যালোপ্যাথি মেডিসিনে রোগ সারে ঠিকই, কিন্তু সেই সঙ্গে শরীরে ছোট-খাট ক্ষতিও তো কম হয় না। কারণ সব ওষুধেরই কম বেশি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। কিন্তু দেখুন প্রকৃতির ডিসপেনসারিতে থাকা একটা ওষুধেও কোনও খারাপ উপাদান নেই। উল্টে রোগও সারে দ্রুত। তাই তো বলি, ছাড়ুন এবার অ্যালোপ্যাথি, পরিবর্তে নজর ফেরান ঘরোয়া পদ্ধতির দিকে। তাতে দেখবেন শরীরও চাঙ্গা থাকবে, পকেটও খালি হবে না।

নিশ্চয় ভাবছেন হঠাৎ করে ঘরোয়া ঔষধি নিয়ে এত কথা বলছি কেন, তাই তো? উত্তর পাবেন। তবে তার আগে বলুন তো আপনারা পালং শাক খান কিনা? আসলে কি জানেন এই কদিন আগে বিশ্বব্যাপী একটি গবেষণা করা হয়েছিল। তাতে প্রমাণ মিলেছে পালং শাকের শরীরে রয়েছে নানান উপকারি উপদান, যা দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে, পেশিকে শক্তিশালী করে তুলতে এবং হার্ট অ্যাটাক আটকাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, আরও একাধিক রোগের চিকিৎসাতেও পালং শাক নিজের খেল দেখিয়ে থাকে।

এবার বলুন তো পালং শাকের মতো এমন কোনও অ্যালোপ্যাথি ওষুধ আছে, যা এক সঙ্গে এত কাজে আসে? এবার নিশ্চয় বুঝেছেন কেন এতক্ষণ ধরে প্রকৃতির হাতে তৈরি ঔষধির বিষয়ে এত গলা ফাটাচ্ছিলাম!

কম-বশি সব গবেষণাতেই দেখা গেছে মস্তিষ্ক থেকে হার্ট হয়ে শরীরের ছোট-বড় সব অঙ্গকেই সুস্থ রাখতে পালং শাক নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। যেমন ধরুন...

১. ত্বককে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা প্রদান করে:

১. ত্বককে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা প্রদান করে:

পালং শাকে উপস্থিত একাধিক উপকারি ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে। সেই সঙ্গে স্কিন ক্যান্সার রোধে এবং সার্বিকভাবে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে।

২. স্ট্রোকের আশঙ্কা কমায়:

২. স্ট্রোকের আশঙ্কা কমায়:

লুটেইন নামে একটি বিশেষ উপাদানের সন্ধান পাওয়া যায় পালং শাকের শরীরে। এই উপাদানটি ব্লাড ভেসেলের অন্দরে কোলেস্টেরল জমার হার কমিয়ে দেয়। ফলে স্বাভাবিকবাবেই স্ট্রোক, অ্যাথেরোস্কেলোসিস এবং হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা কমে।

৩. পেশির শক্তি বাড়ায়:

৩. পেশির শক্তি বাড়ায়:

জার্নাল অব কার্ডিওভাসকুলার নার্সিং- এ প্রকাশিত এক রিপোর্ট অনুসারে পালং শাকের অন্দরে লুকিয়ে থাকা নানা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হার্টের পেশির কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি সারা শরীরজুড়ে ছড়িয়ে থাকা অন্যান্য পেশির শক্তি বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে একদিকে যেমন হাইপারলিপিডেমিয়া, হার্ট ফেলিওর এবং করোনারি হার্ট ডিজিজের আশঙ্কা কমে, তেমনি শরীরও সার্বিকভাবে চাঙ্গা হয়ে ওটে।

৪. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:

৪. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:

পটাশিয়াম, ফলেট এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই শাকটি যদি প্রতিদিন খাওয়া যায় তাহলে মস্তিষ্কের বিশেষ কিছু অংশ এতটাই শক্তিশালী হয়ে ওঠে যে স্মৃতিশক্তি মারাত্মকভাবে বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে পটাশিয়ামের দৌলতে মনোযোগও বৃদ্ধি পায়।

৫.ক্য়ান্সারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখে:

৫.ক্য়ান্সারের মতো মারণ রোগকে দূরে রাখে:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে পালং শাকে উপস্থিত ফলেট, টেকোফেরাল এবং ক্লোরোফিলিন নামক নানাবিধ উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর ক্যান্সার সেলের জন্ম আটকে দেয়। ফলে কোনওভাবেই এই মারণ রোগ ধারে কাছে আসতে পারে না। প্রসঙ্গত, ব্লাডার, প্রস্টেট, লিভার এবং লাং ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করতেও এই শাকটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

৬. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:

৬. হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:

অ্যামাইনো অ্যাসিড হল এমন একটি উপাদান, যা মেটাবলিজম রেট বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে হজম ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর এই অ্যামাইনো অ্যাসিড প্রচুর মাত্রায় রয়েছে পালং শাকে। এবার নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন এই শাকটি নিয়মিত খেলে কী হতে পারে!

৭. চোখের ক্ষমতা বাড়ায়:

৭. চোখের ক্ষমতা বাড়ায়:

পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে বিটা-ক্যারোটিন, লুটেইন এবং জ্যান্থিন, যা রেটিনার ক্ষমতা বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, এই শাকটি ভিটামিন এ-এর ঘাটতি পূরণ তো করেই, সেই সঙ্গে আই আলসার এবং ড্রাই আইয়ের মতো সমস্যা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়।

৮. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে:

৮. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে:

আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে পলং শাকে রয়েছে বিপুল পরিমাণে পটাশিয়াম। এই খনিজটি শরীরে প্রবেশ করা মাত্র সোডিয়াম বা নুনের ভারসাম্য ফিরে আসে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, পালং শাকে থাকা ফলেটও ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

Read more about: রোগ শরীর
English summary

কম-বশি সব গবেষণাতেই দেখা গেছে মস্তিষ্ক থেকে হার্ট হয়ে শরীরের ছোট-বড় সব অঙ্গকেই সুস্থ রাখতে পালং শাক নানাভাবে সাহায্য করে থাকে। যেমন ধরুন...

The health benefits of spinach include skin care, improved eyesight, healthy blood pressure, stronger muscles, prevention of age-related macular degeneration (AMD), cataracts, atherosclerosis, heart attacks, neurological benefits, bone mineralization, anti-ulcerative and anti-cancerous benefits, healthy fetal development, and boosted growth for infants.
Story first published: Thursday, January 4, 2018, 16:47 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion