Just In
- 46 min ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 2 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
- 2 hrs ago সূর্যগ্রহণের সময় ঘটবে মা দুর্গার আগমন, তবে কি গ্রহণকালে পড়বে মায়ের পূজায় বাধা?
- 17 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
আচার ফাঙ্গাসমুক্ত রাখবেন কীভাবে? রইল কিছু সহজ উপায়
আচার খেতে কে না ভালোবাসে। শেষপাতে আচার মুখের স্বাদ বদলে দেয়। বিশেষ করে, শীতের দুপুরে রোদে বসে আচার খাওয়ার একটা আলাদাই মজা। কিন্তু অনেকসময়েই চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায় বছরভর আচার ভালো রাখা যায় কী করে। শীতের সময় কোনও সমস্যা না হলেও বর্ষা আসতে না আসতেই আচারে ফাঙ্গাস লেগে যায়। সাধারণত টক জাতীয় ফলমূলে জল বা বাতাসের উপস্থিতিতে ইস্ট বা ছত্রাক জন্মায়। নষ্ট করে দেয় স্বাদ। কষ্ট করে খেটেখুটে বানানো আচার খারাপ হয়ে যায়। তবে কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করে খুব সহজেই দীর্ঘদিন আচার ফাঙ্গাসমুক্ত রাখা যাবে। দেখে নিন কিছু টিপস -
জল ঝরিয়ে শুকিয়ে নিন
যে জিনিসের আচার বানাবেন সেগুলো ধোওয়ার পর ভালো করে জল ঝরিয়ে শুকিয়ে নিতে হবে। খুব ভালো হয় যদি সূর্যের আলোয় কিছুক্ষণ রেখে দেওয়া যায়।
তেল
আচার ভালো রাখার জন্য বেশি তেল ব্যবহার করতে হবে। দেখতে হবে আচারের ওপরে তেলের একটা আস্তরণ যেন থাকে। তেল আচারে বাতাস ঢুকতে বাধা দেয়। এতে অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায় এবং ব্যাকটেরিয়া টিকতে পারে না। তেল যদি কম থাকে তাহলে পরে তেল গরম করে আচারে মিশিয়ে দিতে পারেন।
নুন
প্রিজারভেটিভ হিসেবে কাজ করে নুন। এটি স্বাদ ও গন্ধ অটুট রাখে এবং আচার সুস্বাদু করে তোলে। সঠিক মাত্রায় নুন না পড়লে আচারে ব্যাকটেরিয়া বাসা বাঁধতে পারে এবং তা নষ্ট হয়েও যেতে পারে।
রান্নায় নুন-লঙ্কা বেশি পড়ে গেছে? এই পদ্ধতির মাধ্যমে সহজেই ফেরাতে পারবেন খাবারের স্বাদ!
হিং ও হলুদ
হলুদ, মেথি পাউডার এবং হিং-ও খুব ভালো প্রিজারভেটিভ হিসেবে কাজ করে।
সোডিয়াম বেনজোয়েট
অ্যাসিড ও সোডিয়াম বেনজোয়েট দিলে আচার দীর্ঘদিন ভালো থাকে। লবণ, চিনি, ভিনিগার, মশলা দিয়ে তৈরি আচার কয়েক বছর পর্যন্ত ভাল থাকে।
কাঁচের পাত্র
আচার সংরক্ষণ করার জন্য সবসময় কাঁচের পাত্র ব্যবহার করা উচিত। প্লাস্টিকের জারে আচার রাখলে তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। তবে যে পাত্রে আচার রাখবেন সেটি ভালো করে ধুয়ে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।
সূর্যের আলো
প্রতিদিন অন্তত এক ঘণ্টা যদি আচারের বয়াম সূর্যের আলোয় রাখতে পারেন তাহলে ফাঙ্গাস লাগার ভয় অনেকটাই কমে যায়।
ফ্রিজে সংরক্ষণ
ফ্রিজে আচার রাখলে তা দীর্ঘদিন ভালো থাকে। ঠান্ডা জায়গায় ফাঙ্গাস লাগতে পারে না। তবে অনেকেই ফ্রিজে রেখে আচার খাওয়া পছন্দ করেন না। সেক্ষেত্রে বাকি টিপসগুলো মানতে পারেন।
পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে কেঁদেকেটে একশা? চোখের জল আটকাতে অনুসরণ করুন এই পদ্ধতিগুলি
কাঠের খুন্তি
আচার বানানোর সময় স্টিলের বদলে কাঠের খুন্তি দিয়ে রান্না করুন। তাহলে আচার ভালো থাকবে।
ছোট জায়গায় আচার রাখুন
খুব ভালো হয় যদি ছোট জায়গায় আলাদা আলাদা করে আচার রাখেন। প্রতিদিনের খাওয়ার জন্য একটি ছোট জায়গায় আচার রাখুন আর বাকিটা বড় জায়গায় রেখে দিন। বারবার আচারের জার না খোলাই ভালো। আচারে কখনও হাত লাগাবেন না। যে চামচে করে আচার বের করবেন দেখে নেবেন সেটাতে যেন জল না লেগে থাকে।
ছোট ছোট এই টিপসগুলো মেনে চললে সারাবছর আচার খাওয়ার মজা নিতে পারবেন!