For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

ডায়াবেটিস ক্যাপিটাল ইন্ডিয়া: ৩০-এর পরে ডায়াবেটিসের মতো রোগকে দূরে রাখতে এই নিয়মগুলি মেনে চলতেই হবে

হে লাগামহীন যুবসমাজ, কম করে ৫০ অবধি সুস্থভাবে যদি বাঁচতে চান, তাহলে একবার এই প্রবন্ধে চোখ রাখাটা জরুরি।

|

এদেশে এখন প্রায় ৫০ মিনিয়ান মানুষ ডায়াবেটিসের রোগের শিকার, যার বেশিরভাগেরই বয়স ৫০-এর নিচে। আর এই তথ্যটি যে একেবারেই উড়িয়ে দেওয়ার নয়, তা ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশন এবং আই সি এম আর-এর রিপোর্ট দেখলেই পরিষ্কার হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির পিছনে কারণ কী যদি জানতে চান, তাহলে উত্তরে বলতে হয় বন্ধু এমন অবস্থার পিছনে অনেক কারণ দায়ি। যার অন্যতম যদি অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা হয়, তাহলে শরীরচর্চার অভাব, ঠিক মতো খাওয়া-দাওয়া না করা, অনেক রাত পর্যন্ত জাগা, ওবেসিটি প্রভৃতি আরও কারণও এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো ডায়াবেটিসকে প্রথম সারির লাইফস্টাইল ডিজিজ হিসেবে বিবেচিত করে থাকেন চিকিৎসক মহল।

এখন প্রশ্ন হল, এমন অবস্থায় শরীর বাবাজি যাতে এমন রোগের খপ্পরে না পরে, তার জন্য কী করা যেতে পারে? এই প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা চালানো হবে এই প্রবন্ধে। তাই তো বলি হে লাগামহীন যুবসমাজ, কম করে ৫০ অবধি সুস্থভাবে যদি বাঁচতে চান, তাহলে একবার এই প্রবন্ধে চোখ রাখাটা জরুরি। কারণ এই লেখায় এমন কিছু সহজ নিয়ম সম্পর্কে আলোচনা করা হবে, যা মেনে চললে শত চেষ্টা করেও ডায়াবেটিস শরীরকে বাগে আনতে পারবে না। সেই সঙ্গে আরও নানাবিধ রোগও দূরে থাকতে বাধ্য হবে। প্রসঙ্গত, জীবনযাত্রার সঙ্গে যেহেতু এই রোগের সরাসরি যোগ রয়েছে, তাই যে কোনও নিয়ম মানা শুরু করার আগে জীবন শৈলীতে পরিবর্তন আনাটা জরুরি। না হলে কিন্তু কোনও উপকারই পাবেন না। তাই ঘুম থেকে খাওয়া-দেওয়া, এইসব ছোটখাট বিষয়গুলির দিকে আগে নজর দিতে হবে। সেই সঙ্গে মেনে চলতে যে নিয়মগুলি, সেগুলি হল...

১. প্রতিদিন বাদাম খাওয়া জরুরি:

১. প্রতিদিন বাদাম খাওয়া জরুরি:

এতে উপস্থিত আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট, প্রোটিন এবং একাধিক ভিটামিন, শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে একদিকে যেমন খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে, তেমনি ইনসুলিনের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।

২. কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার কম খেতে হবে:

২. কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার কম খেতে হবে:

ভাতের মতো কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার বেশি করে খেলে শরীরে হঠাৎ করে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। কারণ কার্বোহাইড্রেট শরীরে প্রবেশ করার পর দেহ তাকে ভেঙে চিনিতে রূপান্তরিত করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সুগার লেভেল মাত্রা ছাড়ায়। সেই কারণেই তো পরিবারে ডায়াবেটিস রোগের ইতিহাস থাকলে ভাত খেতে মানা করেন চিকিৎসকেরা।

৩. প্রতিদিন বার্লি খাওয়া মাস্ট:

৩. প্রতিদিন বার্লি খাওয়া মাস্ট:

এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, যা দীর্য সময় পেট ভরিয়ে রাখে। সেই সঙ্গে শর্করার মাত্রা যাতে ঠিক থাকে, সেদিকেও খেয়াল রাখে। তাই তো ডায়াবেটিকদের এই খাবারটি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

৪. ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি যেন না হয়:

৪. ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি যেন না হয়:

শরীরে এই ভিটামিনটির ঘাটতি দেখা দিলে ইনসুলিন রেজিসটেন্সের আশঙ্কা থাকে। আর এমনটা হলে রক্ত সুগারের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। তাই আজ থেকেই ভিটামিন- ডি সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- মাছ, দুধ, কমলা লেবুর রস, সোয়া দুধ এবং ডিম খাওয়া শুরু করুন। প্রয়োজনে চিকিৎসকের সঙ্গে একবার এই বিষয়ে পরামর্শ করে নিতে পারেন।

৫. প্রতিদিন হাঁটতে হবে:

৫. প্রতিদিন হাঁটতে হবে:

প্রতিদিন সকালে এবং বিকালে ১৫ মিনিট করে হাঁটলেই দেখবেন সুগার লেভেল নর্মাল হয়ে যাবে। তাই ডায়াবেটিকদের এই একটি বিষয়ে নজর রাখতে হবে। ভুলে গেলে চলবে না যে শরীরচর্চার সঙ্গে এই রোগের বাড়া-কমা অনেকাংশেই নির্ভর করে।

৬. ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে:

৬. ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি করে খেতে হবে:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে বেশি মাত্রায় ফাইবার রয়েছে এমন খাবার বেশি মাত্রায় খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সেই সঙ্গে হজম ক্ষমতার যেমন উন্নতি ঘটে, তেমনি ওজনও কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, ডাল, ব্রকলি, স্প্রাউট, জাম, অ্যাভোকাডো, হোল হুইট পাস্তা এবং ওটস মিলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে।

৭. মেথি খাওয়া জরুরি:

৭. মেথি খাওয়া জরুরি:

প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস গরম দুধে ১ চামচ মেথি পাউডার মিশিয়ে খাওয়া শুরু করুন। অল্প দিনেই দেখবেন ডায়াবেটিস একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। কারণ মেথিতে উপস্থিত বিশেষ কিছু উপাদান দ্রুত শর্করার মাত্রা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৮. সবুজ শাক-সবজি:

৮. সবুজ শাক-সবজি:

যেসব সবজিতে স্টার্চের পরিমাণ কম রয়েছে, তেমন সবজি বেশি করে খেলে রক্তে সুগারের মাত্রা কমতে শুরু করে। এক্ষেত্রে পালং শাক, কর্নফ্লাওয়ার, লেটুস প্রভৃতি দারুন কাজে আসে।

৯. অ্যালো ভেরা, সঙ্গে হলুদ:

৯. অ্যালো ভেরা, সঙ্গে হলুদ:

পরিমাণ মতো হলদ গুঁড়োর সঙ্গে অ্যালো ভেরা জুস, অল্প করে তেজপাতা এবং জল মিশিয়ে একটা পানীয় বানিয়ে ফেলুন। প্রতিদিন রাতে খাবারের আগে এই পানীয়টি খেলে ডায়াবেটিস একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

১০. রোজের ডায়েটে ফল থাকতে হবে:

১০. রোজের ডায়েটে ফল থাকতে হবে:

জুস না খেয়ে ফল খাওয়া শুরু করুন। আসলে ফল খেলে শরীরে যে পরিমাণ ফাইবার যায়, তার থেকে অনেক কম যায় জুস খেলে। আর একথা তো সবাই জানেন যে শরীরে ফাইবারের পরিমাণ যত বাড়বে, তত নানাবিধ রোগ দূরে থাকবে। সেই সঙ্গে কমবে শর্করার মাত্রাও।

১১. দৈনিক ৩-৪ লিটার জল খেতে হবে:

১১. দৈনিক ৩-৪ লিটার জল খেতে হবে:

রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিক রাখতে বেশি করে জল খেতে হবে। কারণ শরীরে জলের পরিমাণ যত কমবে, তত কিন্তু পরিস্থিত হাতের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়বে। তাই ডায়াবেটিকদের এই বিষয়টি মাথায় রাখা একান্ত প্রয়োজন।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

How to Control Diabetes: 10 Tips to Maintain Blood Sugar Level

Living a diabetic life is a challenge. You need to constantly monitor your diet and ensure that your blood sugar level is well under control. One of the major diseases affecting millions and millions of people in the country today, diabetes is life-long and deadly. It is a condition when the hormone called insulin that is produced by the pancreas is unable to break down glucose into energy, and as such, the blood sugar level increases in the body. What one eats plays a crucial role for diabetics, and monitoring it constantly along with following regular meal schedule ca help tremendously. Physical activity is a must too to ensure that insulin is utilized by the body.If you have been diagnosed with diabetes and looking for all sorts of ways to keep a check on your blood sugar level, here are some common and uncommon tips on how to control sugar:
Story first published: Friday, June 8, 2018, 17:10 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion