Just In
প্রসবের পরে ভেজাইনাল পেন কমাতে ঘরোয়া চিকিৎসা
প্রসবের পরে ভেজাইনায় খুব যন্ত্রণা হচ্ছে? তাহলে এক্ষুনি চোখ রাখুন এই প্রবন্ধে।
আপনার কি সবে সবে বাচ্ছা হয়েছে? তার উপর আবার নরমাল ডেলিভার! তাহলে তো নিশ্চয় মাঝে মধ্য়েই ভেজাইনায় প্রচণ্ড যন্ত্রণা হয়। তাই না?
গর্ভাবস্থা এবং তৎপরবর্তি বাচ্চার এই পৃথিবীতে আসার ঘটনা একজন মায়ের কাছে খুবই স্পশাল। তবে এই সময় মায়েদের শরীরে কিছু পরিবর্তন আসে। ফলে দেখা দেয় নানা শারীরিক অসুবিধা। তাই বলে সবারই যে একই ধরনের অসুবিধা দেখা দেবে, এমন নয় কিন্তু! যেমন কারও কারও প্রেগনেন্সির সময় মারাত্মক পিঠে যন্ত্রণা হয়। আবার কারও এই ধরনের লক্ষণই দেখা যায় না। আবার প্রেগনেন্সির পরে কোনও কোনও মায়ের যেমন ভেজাইনাল পেন হয়। সবারই যে এমনটা হয়, তা নয় যদিও। মূলত নরমাল ডেলিভারি বা স্বাভাবিক প্রসব যাদের হয়, তাদেরই কেবলমাত্র ভেজাইনায় যন্ত্রণা হওয়ার মতো লক্ষণ দেখা যায়। আসলে নরমাল প্রসবের সময় মায়েদের ভেজাইনার মধ্য়ে দিয়ে বাচ্চাকে বার করে আনা হয়। ফলে ভেজাইনার দেওয়াল অনেকটাই প্রসারিত হয়ে যায়। ফলে সে জায়গায় অনেক ক্ষতের সৃষ্টি হয়। আর এমনটা হলে যন্ত্রণা যে হবেই তা বলে দেওয়ার নয়।
এই প্রবন্ধে যে ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে আলোচনা করা হল তা এই ধরনের ভেজাইনার যন্ত্রণা কমাতে দারুন কাজে আসে।
উপকরণ:
১.
জিরা
পাউডার-
১
চামচ
২.
আদার
জুস-
২
চামচ
৩.
গরম
জল-
হাফ
কাপ
এই ঘরোয়া চিকিৎসাটা ভেজাইনার যন্ত্রণা কমাতে দারুন কাজে আসে। তবে প্রতিদিন কিন্তু এই চিকিৎসা চালাতে হবে, না হলে কিন্তু তেমন ফল পাওয়া যাবে না। সেই সঙ্গে আরও কয়েকটি বিষয় নতুন মায়েদের মনে রাখতে হবে। যেমন- ভেজাইনা সব সময় পরিষ্কার রাখবেন। আর যদি দেখেন ভেজাইনা থেকে প্রায়ই রক্ত ক্ষরণ হচ্ছে, তাহলে কিন্তু সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। ফেলে রাখলে কিন্তু বিপদ!
আদায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লমেটরি উপাদান। ফলে এটি ভেজাইনার ফোলা ভাব কমায়। অন্য়দিকে, জিরা পাউডারে থাকে কিউমিনালডিহাইড নামে একটি এনজাইম, যা ভেজাইনার প্রদাহ এবং ফোলাভাব কমাতে দারুন কাজে আসে।
কীভাবে
বানাবেন
এই
ঘরোয়া
ওষুধটি?
১.
একটা
কাপে
পরিমাণ
মতো
উপকরণগুলি
মেশান।
২.
ভালো
করে
নারান
যাতে
দুটি
উপাদান
একে
আপরের
সঙ্গে
ভালো
করে
মিশে
যায়।
৩.
আপনার
পথ্য়
কিন্তু
তৈরি।
৪.
প্রতিদিন
ব্রেকফাস্টের
পর
এই
মিশ্রনটি
খেলে
দেখবেন
যন্ত্রণা
অনেকটাই
কমে
যাবে।
প্রসঙ্গত,
যত
দিন
না
যন্ত্রণা
কমছে,
ততদিন
মিশ্রনটি
খাওয়া
বন্ধ
করবেন
না
যেন!