Just In
- 3 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
- 7 hrs ago কোন ডাবে বেশি জল, বাইরে থেকে দেখে বুঝবেন কী ভাবে?
- 10 hrs ago গাধার দুধের আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা, জানলে চমকে উঠবেন আপনিও
- 12 hrs ago রুক্ষ-শুষ্ক চুল নিয়ে চিন্তা? জেনে নিন চুলের যত্নে গ্লিসারিনের অবিশ্বাস্য় ভূমিকা
Don't Miss
মাইগ্রেনের ব্যাথায় কি খুব কষ্ট পাচ্ছেন? তাহলে দয়া করে কাজে লাগান এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলিকে!
এই প্রবন্ধে এমন কিছু সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হল যা মাইগ্রেনের কষ্ট কমাতে কিন্তু দারুন কাজে আসে।
পরিসংখ্যান বলছে সারা বিশ্বে এই মুহূর্তে যে যে রোগগুলি দাপিয়ে বেরাচ্ছে তাদের মধ্যে মাইগ্রেনের স্থান ৩ নম্বরে। আর ভারতে প্রায় ৫ জনের মধ্যে ১ জন এই রোগের শিকার। তাহলে বুঝতেই পারছেন তো পরিস্থিতিটা মোটেও ভাল নয়। তাই তো এই প্রবন্ধে এমন কিছু সহজ ঘরোয়া পদ্ধতি সম্পর্কে আলোচনা করা হল যা মাইগ্রেনের কষ্ট কমাতে দারুন কাজে আসে।
তাহলে আর অপেক্ষা কেন, চলুন কী কী পদ্ধতিকে কাজে লাগালে এক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যায়, জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে...
১. ক্যামোমিল চা:
এই পানীয়টিতে উপস্থিত পলিফেনল এবং ফ্ল্যাভোনয়েড আদতে এক ধরনের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র যে কোনও ধরনের যন্ত্রণাকে নিমেষে কমিয়ে ফেলে। তাই তো মাইগ্রেন অ্যাটাকের প্রকোপ কমাতে ক্যামোমিল চা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। তাই এবার থেকে মাথা যন্ত্রণা কমাতে পেনকিলার নয়, কাজে লাগানে এই বিশেষ পানীয়টিকে। দেখবেন উপকার মিলবে চোখের পলক পরার আগে।
২. তিসি বীজ:
আপনার কি মাঝে মধ্যেই মাথায় যন্ত্রণা হয়? তাহলে আজ থেকেই এই ঘরোয়া পদ্ধতিটিকে কাজে লাগাতে শুরু করে দিন। আসলে তিসি বীজে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের প্রদাহ কমিয়ে মাথার যন্ত্রণার প্রকোপকে একেবারে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে চলে আসে। ফলে ধীরে ধীরে কষ্ট কমতে শুরু করে।
৩. আদা:
একটা বাটিতে পরিমাণ মতো জল নিয়ে তাতে অল্প করে আদার গুঁড়ো মিশিয়ে সেই জলটা কম করে ১০ মিনিট ফোটান। সময় হয়ে গেলে জলটা কাপে ঢেলে চায়ের মতো করে সেটি পান করুন। এমনটা করলেই দেখবেন মাইগ্রেনের লক্ষণ কমতে শুরু করবে।
৪. পিপারমেন্ট তেল:
বেশ কিছু স্টাডিতে দেখা গেছে মাইগ্রেন অ্যাটাকের সময় কপালে অল্প পরিমাণে পিপারমেন্ট তেল লাগিয়ে যদি মাসাজ করতে পারেন, তাহলে এক্ষেত্রে দারুন উপকার পাওয়া যায়। আসলে এই তেলটি লাগানো মাত্র মস্তিষ্কের চারিদিকে থাকা পেশিদের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। ফলে যন্ত্রণা কমতে সময় লাগে না।
৫. বরফ শেক দিন:
মাথা যন্ত্রণা মাত্রা ছাড়ালে কয়েকটি বরফের টুকরো নিয়ে একটা কাপড়ে বেঁধে কপালে এবং ঘারে শেক দিন। কয়েক মিনিট এমনভাবে শেক দিলে দারুন আরাম পাবেন।
৬. কফি পান জরুরি:
শরীরের প্রদাহ কমিয়ে মাইগ্রেনের যন্ত্রণাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে ক্যাফিনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। তাই এবার থেকে যখনই মাথায় যন্ত্রণা হবে, অল্প করে কফি খেয়ে নেবেন। তাহলেই দেখবেন যন্ত্রণা একেবারে ছু-মান্তার হয়ে যাবে। প্রসঙ্গত, বেশি মাত্রায় শরীরে ক্যাফিনের প্রবেশ একেবারেই ভাল নয়। তাই তো দিনে ১-২ কাপের বেশি খফি না খাওয়াই ভাল।
৭. ল্যাভেন্ডার তেল:
একটা বড় বাটিতে ৫-৬ কাপ জল ঢেলে সেই জলটা ফুটিয়ে নিন। তারপর তাতে ৫-৬ ফোঁটা ল্যাভেন্ডার তেল মিশিয়ে সেই জলটার ভাব নিতে থাকুন। এমনটা করলেই দেখবেন মাইগ্রনের কষ্ট কমে যেতে শুরু করবে। আরেক ভাবে ল্যাভেন্ডার তেলকে কাজে লাগাতে পারেন। অল্প করে এই তেলটা নিয়ে কপালে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করুন। এতেও সমান উপকার পাবেন।
৮. বাজরার আটা:
এতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা শরীরে প্রদাহ কমানোর মধ্যে দিয়ে মাইগ্রেনের কষ্ট কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই যারা মাইগ্রেনের যন্ত্রণায় কাবু, তারা আজ থেকেই নিজেদের ডায়েটে বাজরার আটাকে অন্তর্ভুক্ত করুন। দেখবেন বেশ উপকার পাবেন।
৯. তুলসি পাতা:
তুলসি পাতায় উপস্থিত বেশ কিছু কার্যকরি উপাদান পেশিতে রক্তসরবরাহ বাড়িয়ে দিয়ে মাইগ্রেনের যন্ত্রণা কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে কয়েক ফোঁটা তুলসি পাতার তেল নিয়ে মাথায় মাসাজ করলেই দারুন উপকার পাওয়া যায়।