Just In
মাসিকের সময় পেটে অসহ্য যন্ত্রণা হয়? ভরসা রাখুন ঘরোয়া টোটকায়!
মাসিকের সময় অসহ্য যন্ত্রণার অভিজ্ঞতা অধিকাংশ মহিলারই রয়েছে। সাধারণত মাসিকের প্রথম দিনে তলপেটে অসহ্য যন্ত্রণা হয়, আর সেই ব্যথা ছড়িয়ে পড়ে কোমর, ঊরু ও পা পর্যন্ত। অনেকের আবার স্তনেও ব্যাথা হয়। রক্তক্ষরণের চেয়ে এই ব্যাথা কাবু দেয় মহিলাদের।
তাই ঋতুস্রাবের সময় এলেই সবচেয়ে বেশি ভয় থাকে ব্যথা নিয়ে। অনেকের ক্ষেত্রে এই যন্ত্রণা কয়েক ঘণ্টায় কমে যায়। কিন্তু অনেকের ক্ষেত্রে এই ব্যথা কিছুতেই কমতে থাকে না। বরং বাড়তেই থাকে। তাই আজকের এই আর্টিকেলে চটজলজি মাসিকের ব্যথা কমানোর কয়েকটা টোটকা এনেছি আমরা। আসুন দেখে নেওয়া যাক -
১) তিলের তেলের ম্যাসাজ
এটি একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় ঘরোয়া প্রতিকার। তিলের তেলে মূলত লিনোলিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ এবং এতে প্রদাহ বিরোধী এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের বৈশিষ্ট্য বর্তমান। আয়ুর্বেদ অনুসারে মাসিকের সময় তিলের তেল দিয়ে তলপেটে ম্যাসাজ করলে, এটি মাসিকের যন্ত্রণা প্রশমিত করতে সহায়তা করে।
২) মেথির জল
বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের মতানুসারে, এই মেথি বীজ মাসিকের যন্ত্রণা প্রশমিত করতে কিন্তু অত্যন্ত কার্যকর। মাসিকের যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে ১২ ঘন্টা পর্যন্ত মেথি বীজ জলে ভিজিয়ে রাখুন এবং তারপর সেই জল পান করুন, আর দেখুন জাদু। তাছাড়া এটি লিভার, কিডনি এবং বিপাকের জন্যও অত্যন্ত ভালো। আবার মেথি বীজ কিন্তু ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও অত্যন্ত সহায়ক।
৩) গরম সেঁক
মাসিকের ব্যথা নিবারণের জন্য এটি হল সবথেকে বেশি জনপ্রিয় ঘরোয়া প্রতিকার। গবেষণায় দেখা গেছে যে, তলপেটে গরম সেঁক দিলে এটি জরায়ুর সংকোচনকারী পেশীগুলিকে শিথিল করতে সহায়তা করে। এক্ষেত্রে গরম জলের বোতল কিংবা হিটিং প্যাডের মাধ্যমে গরম সেঁক দেওয়া যেতে পারে। তাছাড়া গরম জলে স্নান করাও মাসিকের যন্ত্রনা প্রশমিত করতে, যথেষ্ট কার্যকর।
৪) ব্যায়াম
গবেষণায় দেখা গেছে যে, ব্যায়াম মাসিকের যন্ত্রণা প্রশমিত করতে কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। হালকা ব্যায়াম করলে মূলত পেলভিক অঞ্চলের সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় এবং এটি প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিন প্রতিরোধ করতে এন্ডোরফিন হরমোন নিঃসরণ করে। তাই বিভিন্ন বিশেষজ্ঞরা ঋতুস্রাবের সময় যোগাসন, যেমন প্রাণায়াম এবং শবাসন করতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই ধরনের ব্যায়াম গুলি ব্যথা কমানোর পাশাপাশি শরীরকে শিথিল করতেও সহায়তা করে।
৫) আদা ও গোলমরিচের চা
মাসিকের যন্ত্রণা প্রশমিত করতে, এটি অত্যন্ত উপকারী ঘরোয়া প্রতিকার হিসেবে পরিচিত। আয়ুর্বেদেও এর উল্লেখ লক্ষ্য করা যায়। আদা মূলত কার্যকরভাবে পিরিয়ডের ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। এটি প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনের মাত্রা কমায়, অনিয়মিত মাসিককে নিয়মিত করে এবং ক্লান্তির বিরুদ্ধে লড়াই করতেও সহায়তা করে।শুকনো আদা, গোলমরিচ এবং সামান্য চিনি ভালো করে ফুটিয়ে নিলেই তৈরি এই পানীয়টি।
৬) জিরার চা
মাসিকের ব্যথা কমাতে জিরার চা দুর্দান্ত কার্যকর। জিরাতে মূলত শিথিল করার বৈশিষ্ট্য রয়েছে। তাছাড়া এতে অ্যান্টি-স্পাসমোডিক এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুনও বর্তমান। যা প্রত্যক্ষভাবে ব্যথা নিবারণে সহায়ক।
৭) ক্যামোমাইল চা
জার্নাল অফ এগ্রিকালচার অ্যান্ড কেমিস্ট্রিতে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, ক্যামোমাইল চা তে ব্যথা উপশমকারী বৈশিষ্ট্য বর্তমান। এটি জরায়ুকে শিথিল করতে এবং প্রোস্টাগ্ল্যান্ডিনের উৎপাদন হ্রাস করতে অত্যন্ত সহায়ক।