Just In
মহিলাদের বারে বারে প্রস্রাব চাপার সমস্যা কমাতে ঘরোয়া চিকিৎসা
মহিলাদের বারে বারে প্রস্রাব চাপার সমস্যা কমাতে ঘরোয়া চিকিৎসা
জীবনের কোনও না কোনও সময়ে মহিলাদের এই অসুবিধা হয়েই থাকে। কিন্তু কেন? সেই নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করা হবে এই প্রবন্ধে। দিনে ৪-৫ বার প্রস্রাব করা মোটই অস্বাভাবিক নয়। তবে তার থেকে বেশি বার হলেই কিন্তু চিন্তার। বিশেষত যদি দিনে ৭ বার প্রস্রাব করার প্রয়োজন পরে এবং এই কারণে যদি রাতের ঘুম ব্য়হত হয়, তাহলে তো যত শীঘ্র সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
আধুনিক নানাবিধ চিকিৎসার মাধ্য়মে এই অসুবিধাকে দূর করা যায় ঠিকই। তবে কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা আছে যা এক্ষেত্রে দারুন কাজে আসে। আপনিও কি এমন অসুবিধার শিকার। তাহলে আর অপেক্ষা না করে এক্ষুনি পড়ে ফেলুন এই প্রবন্ধটি।
ব্লাডার যদি প্রয়োজনের অতিরিক্ত কাজ করা শুরু করে দেয় তাহলেই বারে বারে প্রস্রাব চাপার মতো অসুবিধা দেখা দেয়। নানা কারণে এমনটা হতে পারে। যেমন- অ্যালকোহল সেবন, ক্যাফিন, ডায়াবেটিস, ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন, পেলভিক রিজিয়ানে কোনও অসুবিধা, কিছু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রয়া প্রভৃতি।
ঘরোয়া চিকিৎসা কীভাবে বারেবারে প্রস্রাব চাপার অসুবিধাকে কমিয়ে ফেলতে পারে, তা নিয়েই আলোচনা করা হল বাকি প্রবন্ধে।
১. চেরি:
প্রতিদিন এটি খেলে বারে বারে প্রস্রাব চাপার অসুবিদা অনেকটাই কমে য়ায়। চেরিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, যা ব্লাডারের অস্বাভাবিকতাকে যেমন কমায়, তেমনি কনস্টিপেশনের সমস্য়াকেও নিয়ন্ত্রণে আনে।
২. সেদ্ধ পালং শাক:
এতে রয়েছে নানা রকমের পুষ্টিকর উপাদান, যা এই ধরনের রোগ সারাতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা নেয়। এমনকী রাতের বেলা প্রস্রাব চাপার অসুবিধাকে কমিয়ে ফেলতেও পালং শাকের কোনও বিকল্প নেই। ডাবের জলে পালং শাক চুবিয়ে খেলেও একই কাজ হয়।
৩. মেথি বীজ:
বারে বারে প্রস্রাব চাপার অসুবিধা কমাতেই শুধু নয়, যে কোনও ধরনের ইউরিনারি ডিজঅর্ডার সারাতে মেথি বীজ দারুন কাজে আসে। প্রসঙ্গত, বারংবার প্রস্রাব চাপার সমস্য়া একবার কমে যাওয়ার পর পুনরায় যাতে না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে এটি। তাই তো বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, এমন ধরনের অসুবিধায় যেকটি ঘরোয়া চিকিৎসা আছে, তার মধ্য়ে সবথেকে বেশি কার্য়করী হল এই পদ্ধতিটি।
৪. তিল বীজ:
এতে রয়েছে শরীরের জন্য় প্রয়োজনীয় ফাইবার, মিনারেল, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন, যা বারংবার প্রস্রাবের বেগ চাপা কমায়।
৫. সেদ্ধ ছোলা:
ছোলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পলিফোনোলস, আয়রন এবং ক্য়ালসিয়াম। এগুলি ব্লাডারের কাজকে স্বাভাবিক করে বারে বারে প্রস্রাব চাপার অসুবিধাকে কমিয়ে ফেলে।
৬. ডালিম:
ডালিমের কোয়াগুলি নিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এটি খেলে প্রায় সব ধরনের ইউরিনারি প্রবলেম কমে যায়। এতে রয়েছে নানা ধরনের ভিটামিন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা ব্লাডারের প্রদাহ হ্রাস করে। ফলে স্বাভাবিক ভাবেই আর বারংবার প্রস্রাব পায় না। প্রসঙ্গত, রাতে একাধিক বার ইউরিন চাপার অসুবিধা কমাতেও এটি দারুন কাজে আসে।
৭. ক্র্যানবেরি:
এতে রয়েছে অ্যান্টি-ব্য়াকটেরিয়াল প্রপাটিজ, যা ইউরিনারি ট্রাক্ট ইনফেকশন এবং বারে বারে প্রস্রাব চাপার সমস্য়া কমাতে দারুন কাজে আসে।
৮. কুমড়োর বীজ:
ফ্য়াটি অ্যাসিড, প্রস্টেট এবং ব্লাডারকে ভালো রাখতে সাহায্য় করে। আর একথা তো সবারই জানা যে ব্লাডার যদি সুস্থ থাকে তাহলে বারংবার প্রস্রাব পাওয়ার সমস্য়া হয়ই না। কুমড়োর বীজে প্রচুর পরিমাণে ফ্য়াটি অ্যাসিড রয়েছে। তাই এমন সমস্য়া হলে খাওয়া শুরু করতে পারেন এটি।