For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

এইচ১ এন১ ভাইরাসের থেকে বাঁচার ঘরোয়া দাওয়াই!

ইতিমধ্যেই আমাদের দেশে এইচ১ এন১ ভাইরাসের কারণে মারা গেছেন প্রায় ৬০০-এর বেশি মানুষ।

By Nayan
|

যত শেষের দিকে এগচ্ছে তত যেন এবছরটা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। একদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ, অন্যদিকে সোয়াইন ফ্ল-এর দাপটে ক্রমাগত বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। ইতিমধ্যেই আমাদের দেশে এইচ১ এন১ ভাইরাসের কারণে মারা গেছেন প্রায় ৬০০-এর বেশি মানুষ, যেখানে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১২,৪৬০। প্রসঙ্গত, গতবছর একই সময়ে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল কম-বেশি ১৭৮৬।

এবার নিশ্চয় বুঝতে পারছেন যে পরিস্থিতিটা মোটেও আর স্বাভাবিক নেই। প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুফাঁদ যেন আমাদের গ্রাস করার অপেক্ষায় রয়েছে। আর সবথেকে ভয়ের বিষয় হল এবছর এই ভাইরাসের কোপ বেশি মাত্রায় পরেছে কম বয়সিদের উপর। পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েক মাস আগে পর্যন্ত এইচ১ এন১ ভাইরাসের কারণে যত জন আক্রান্ত হয়েছেন, তাদের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশেরই বয়স ২০-২৫ এর মধ্যে। শুধু তাই নয়, এই বয়সিদের মধ্যে মৃত্য়ুর হারও সবথেকে বেশি। তাই বন্ধুরা সাবধান হওয়ার সময় এসে গিয়েছে। সময় থাকতে থাকতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিন, নাহলে কিন্তু বেজায় বিপদ!

এখন প্রশ্ন হল, এইচ১ এন১ ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচবেন কিভাবে? এক্ষেত্রে কতগুলি ঘরোয়া পদ্ধতি দারুনভাবে কাজে আসতে পারে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে, এই প্রবন্ধে আলোচিত প্রাকৃতিক উপাদানগুলি সোওয়াই ফ্ল থেকে বাঁচাতে দারুন কাজে আসে। তাই আপনি যদি না চান আপনার ঠিকানা হোক কোনও হাসাপাতালের বিছানা, তাহলে এই প্রবন্ধটি পড়ে ফেলা মাস্ট!

এক্ষেত্রে সাধারণত যে যে ঘরোয়া উপাদানগুলি বিশেষভাবে সাহায্য করে থাকে, সেগুলি হল...

১. তুলসি পাতা:

১. তুলসি পাতা:

যে কেনও ভাইরাসের আক্রমণ থেকে বাঁচতে প্রথম যে কাজটা করতে হয়, তা হল নিজের রোগ প্রতিরোধক সৈনিকদের শক্তিশালী করে তোলা। আর এই কাজটি দারুনভাবে করে থাকে তুলসি পাতা। প্রতিদিন সকালে যদি পাঁচটা করে তুলসি পাতা খাওয়া যায়, তাহলে নিমেষে ইমিউনিটি লেভেল বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে শুধু ইনফ্লয়েঞ্জা ভাইরাস নয়, যে কোনও ধরনের জীবাণুই শরীরে বাসা বাঁধার সুযোগ পায় না।

২. গুলঞ্চ:

২. গুলঞ্চ:

চিকিৎসা পরিভাষায় টিনোসপোরা কার্ডিফোলিয়া নামে পিরিচিত এই গাছটি সোয়াইন ফ্ল ভাইরাসের প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এক ফুট লম্বা গুলঞ্চের শাখা নিয়ে তার সঙ্গে ৫-৬ টা তুলসি পাতা একসঙ্গে গরম জলে ফুটিয়ে যদি সেই জলটা পান করা যায়, তাহলে এইচ১ এন১ ভাইরাস থেকে অনেকাংশেই দূরে থাকা সম্ভব হয়। এখন প্রশ্ন হল কিভাবে বানাবেন এই পানীয়টি? এক্ষেত্রে দুটি প্রকৃতিক উপাদানকে কম করে ১৫-২০ মিনিট জলে ফোটানোর পর জলটা ছেঁকে নিতে হবে। তারপর সেই জলে পরিমাণ মতো গোলমরিচ এবং সন্ধক লবন মিশিয়ে হালকা গরম থাকা অবস্থায় পান করলে উপকার মিলবে।

৩. কপপুর:

৩. কপপুর:

ছোট ট্যাবলেটের আকারের কপপুর যদি মাসে ১-২ বার খাওয়া যায়, তাহলে এক্ষেত্রে দারুন উপকার মিলতে পারে। আসলে জলের সঙ্গে মিশিয়ে কপপুর খাওয়া শুরু করলে শরীরের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে থাকে যে রোগ ভোগের আশঙ্কা হ্রাস পায়। তবে এক্ষেত্রে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে ভুলেও প্রতিদিন কপপুর খাওয়া চলবে না। মাসে একবার কী দুবার খেলেই উপকার মিলবে।

৪. রসুন:

৪. রসুন:

প্রতিদিন সকালে খালি পেটে দু-কোয়া রসুন, হালকা গরম জলের সঙ্গে খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা মারাত্মক বৃদ্ধি পায়, ফলে সোয়াইন ফ্লতে আক্রন্ত হওয়ার আশঙ্কা অনেকাংশেই হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, রসুন কেবল মাত্র ভাইরাসের আক্রমণ থেকেই বাঁচায় না, সেই সঙ্গে হার্টকে সুস্থ রাখতে এবং শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫. গরম দুধ:

৫. গরম দুধ:

দুধে অ্যালার্জি নেই তো? তাহলে প্রতিদিন রাতে শুতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস হলকা গরম দুধে অল্প করে হলুদ মিশিয়ে পান করা শুরু করুন। দেখবেন ভাইরাসের আক্রমণ থেকে তো বাঁচবেনই, সেই সঙ্গে আরও নানাবিধ জটিল রোগ থেকেও দূরে থাকা সম্ভব হবে।

৬. অ্যালোভেরা:

৬. অ্যালোভেরা:

প্রতিদিন এক চামচ অ্যালোভেরা জেল জলের সঙ্গে গ্রহণ করলে ত্বকের সৌন্দর্য যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি বাতের ব্যথাও কমে। এখানেই শেষ নয়, একাধিক গবেষণায় একথা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত হয়ে গেছে যে অ্যালোভেরা জেল আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়াতে দারুন কাজে আসে। ফলে এই প্রকৃতিক উপাদানটিকে সঙ্গে রাখলে স্বাভাবিকভাবেই নানাবিধ ভাইরাস ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।

৭. প্রাণায়াম:

৭. প্রাণায়াম:

শুনতে একটু আজব লাগছে, কি তাই তো? কিন্তু বিশ্বাস করুন, নিয়মিত প্রণায়াম করার অভ্যাস করলে নাক, গলা এবং ফুসফুসের কর্মক্ষমতা যেমন বৃদ্ধি পায়, তেমনি শরীরের সার্বিক সচলতাও বাড়ে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সুস্থ জীবনের পথ প্রশস্ত হয়। প্রসঙ্গত, নিয়মিত জগিং বা দৌড়ালেও একই উপকার পাওয়া যায়।

৮. সাইট্রাস ফল:

৮. সাইট্রাস ফল:

এই ধরনের ফলে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়িয়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। প্রসঙ্গত, কমলা লেবু, লেবু এবং মৌসাম্বি লেবুকে সাধারণত সাইট্রাস ফল হিসেবে গণ্য করা হয়ে থাকে।

Read more about: রোগ শরীর
English summary

যত শেষের দিকে এগচ্ছে তত যেন এবছরটা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে। একদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ, অন্যদিকে সোয়াইন ফ্ল-এর দাপটে ক্রমাগত বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে বাঁচাতে কাজে লাগান এই প্রবন্ধটিকে!

Here are some easy steps you can take to tackle a flu virus of any kind, including swine flu. It is not necessary to follow all the steps at once. You can pick and choose a combination of remedies that suit you best. However, if you are already suffering from flu, these measures can help only up to an extent.
X
Desktop Bottom Promotion