Just In
আপনিও কি ঘুমের মধ্যে মারাত্মক নাক ডাকেন? এই ৫ উপায় মেনে চললে বন্ধ হবে নাক ডাকা!
ঘুমের মধ্যে নাক ডাকার সমস্যা অনেকেরই রয়েছে। এক্ষেত্রে যিনি নাক ডাকেন তিনি বিশেষ টের পান না, ফলে তাঁর ঘুমের তেমন সমস্যাও হয় না। কিন্তু পাশে শুয়ে থাকা মানুষটির ঘুম ভঙ্গ হয় এই বিকট শব্দে।
নাক ডাকার সমস্যাকে হেলাফেলা করা একেবারেই ঠিক নয়। এর নেপথ্যে থাকতে পারে শরীরের অতিরিক্ত ওজন, নাকে কোনও ধরনের ব্লক থাকলে, নাকের হাড়ের কোনও সমস্যা থাকলে, সর্দি লাগা, ফুসফুসের সমস্যা, ইত্যাদি। আবার নেশাজাতীয় দ্রব্য সেবন কিংবা শোওয়ার ধরনের জন্যও আপনি নাক ডাকতে পারেন। তবে বেশ কিছু উপায় অবলম্বন করলে নাক ডাকার সমস্যা থেকে দূর হতে পারে। দেখে নিন সেগুলি কী কী -
ঘুমানোর অবস্থান পরিবর্তন করুন
গবেষণায় দেখা গেছে, সম্পূর্ণ চিত হয়ে না শুয়ে ডান বা বাঁয়ে কাত হয়ে শোওয়ার অভ্যাস করলে নাক ডাকার সমস্যা অনেকটাই কমে যায়।
হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন
যাঁদের নাক বন্ধ বা সর্দি হয়েছে, তাঁদের নাক ডাকার সম্ভাবনা থাকে। আর, শুষ্ক আবহাওয়ায় এই সমস্যা আরও খারাপ হতে পারে। তাই শোওয়ার ঘরের তাপমাত্রা আর্দ্র রাখার চেষ্টা করুন। এর জন্য আপনার রুমে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন।
শোওয়ার আগে স্টিম নিন
ঠিক মতো ঘুম না হলে এবং শরীরে দুর্বলতা ও ক্লান্তি থাকলে নাক ডাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। তাই প্রতি রাতে ঘুমানোর আগে স্টিম নিন, এতে নাক ডাকা বন্ধ হতে পারে।
ঘুমানোর সময় মাথা একটু উঁচুতে রাখুন
উপরের শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে গেলেই নাক ডাকার সমস্যা দেখা দেয়। গবেষণায় দেখা গেছে, ঘুমানোর সময় মাথাটা একটু উঁচুতে রাখলে অবস্ট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া রোগীদের শ্বাসনালী বন্ধ হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ হতে পারে।
ওজন কমান
অত্যধিক ওজনের কারণে নাক ডাকার সমস্যা হয়। মোটা মানুষদের গলায় ও ঘাড়ে বাড়তি কিছু টিস্যু থাকে, যে কারণে এঁদের শ্বাসপ্রশ্বাসের রাস্তা ছোটো হয়ে যায়। অনেক সময় দেখা গেছে, ওজন কম করলে বা বাড়তি মেদ ঝরিয়ে ফেললে নাক ডাকা বন্ধ হয়ে যায়।
উপরিউক্ত উপায়গুলি ছাড়াও, শরীরচর্চা এবং প্রচুর জল পানের পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। ঘুমের দুই-তিন ঘণ্টা আগে থেকে চা, কফি পান এড়িয়ে চলুন। এছাড়াও, ধূমপান, মদ্যপান, মশলা ও তেলযুক্ত খাবার খাওয়া বন্ধ করুন।