Just In
- 11 hrs ago এপ্রিল মাসে ৪ গ্রহের স্থান পরিবর্তন, রাজযোগ ও সৌভাগ্যে ফুলে ফেঁপে উঠবে এই রাশির জাতকরা, দেখুন
- 12 hrs ago আপনার কি ক্রমাগত কান চুলকাচ্ছেন? অজান্তেই ডেকে আনচ্ছেন বড় বিপদ
- 15 hrs ago মসুর ডাল খেতে ভালোবাসেন? কিন্তু অতিরিক্ত খেলে হতে পারে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া!
- 17 hrs ago অনলাইন গেমে বাচ্চারা ঘরকুঁনো! জানেন কি স্বাস্থ্যের জন্য় কতটা উপকারি আউটডোর গেম?
Don't Miss
আবসাদের চিকিৎসা করুন ঘরোয়া পদ্ধতিতে
আবসাদ হল সেই বিষ যা ধীরে ধীরে মানুষকে শেষ করে দেয়। তাই এমন কোনও অসুবিধা হলেই সাবধান হন। প্রয়োজনে ভরসা রাখতে পারেন ঘরোয়া চিকিৎসার উপরও।
আবসাদের চিকিৎসা করুন ঘরোয়া পদ্ধতিতে
বর্তমান জেট যুগে স্ট্রেস হল আমাদের রোজকার সঙ্গী। তাই তো যত স্ট্রেস বাড়ছে, তত বৃদ্ধি পাচ্ছে আবসাদে আক্রান্তের সংখ্য়া। তবে আবসাদ যে কেবল মাত্র স্ট্রেস থাকলেই হয়, এমনটা ভেবে নেওয়ার কিন্তু কোনও কারণ নেই। সহজ কথায় যা কিছুই আমাদের দুঃখ বাড়ায়, তা সবই আবসাদের কারণ। সর্বোপরি, কিছু ক্ষেত্রে আবসাদে আক্রান্ত হওয়ার পিছনে জেনেটিক কারণ এবং কিছু রোগও দায়ী থাকে।
আবসাদে আক্রান্ত হলে সাধারণত কী কী লক্ষণ দেখা যায়? এসব ক্ষেত্রে সাধারণত রক্তচাপ কমে যাওয়া, দুর্বল লাগা, সব সময় মন খারাপ থাকা, সারা শরীরে যন্ত্রণা অনুভূত হওয়া, ক্লান্তি এবং ধৈর্য কমে যাওয়ার মতো সমস্য়া দেখা দিতে পারে। এই ধরনের লক্ষণ দেখা দিলেই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াটা জরুরি। না হলে সমস্য়া হাতের বাইরে চলে যাওয়ারও আশঙ্কা থেকে যায়।
এবার চলুন আলোচনা করা যাক আবসাদ কমাতে পারে এমন ঘরোয়া চিকিৎসা প্রসঙ্গে।
ভিটামিন- বি
এমন ধরনের সমস্য়া হলেই ভিটামিন- বি সমৃদ্ধ খাবার, যেমন- দানা শস্য়, ডিম, মরিচ, পালং শাক, চিজ, টার্কি, মাছ প্রভৃতি খান বেশি করে। আসলে মস্তিষ্ক যদি বিশেষ ধরনের কিছু কেমিকাল তৈরি করতে সক্ষণ হয় তাহলে আমাদের মন ভালো থাক। আর এইসব খাবার সেই কেমিকাল তৈরিতে সাহায্য় করে।
শতমূলী:
প্রতিদিন অল্প করে শতমূলী গাছের মূল থেকে বানানো পাউডার খান। এটি মস্তিষ্ক এবং নার্ভাস সিস্টমকে শান্ত রাখতে সাহায্য় করে।
গ্রিন টি:
দিনে একবার কী দুবার এই চা খান। আপনার মন ভালো রাখতে এটি দারুন কাজে দেবে দেখবেন।
তরমুজ
এই ফলটি একসঙ্গে দুটি কাজ করে। একদিকে ডিপ্রেশন হওয়ার আশঙ্কা কমায়, অন্য়দিকে অবসাদের লক্ষণগুলিকে হ্রাস করতেও সাহায্য় করে।
আপেল:
একটা আপেল, সঙ্গে মধু মেশানো এক গ্লাস দুধ যদি খেতে পারেন তাহলে দুর্বলতা হ্রাস পাবে। আর একথা তো সাবারই জানা যে শরীর যদি চাঙ্গা থাকে, তাহলে কোনও দিক থেকেই অবসাদ থাবা বসাতে পারে না।
এলাচ:
একটা এলাচ থেঁতো করে চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে পান করুন। এর গন্ধ এবং স্বাদ আপনার মুড ক্ষণিকে ঠিক করে দেবে।
গোলাপ চা:
গরম জলে গোলাপ পাপড়িগুলিকে বয়েল করুন। তারপর জলটা ছেকে নিয়ে পান করুন। দেখবেন অবসাদ কেমন দূরে পালাচ্ছে।
কলা:
এই ফলটা খেলেই মস্তিষ্কে সেরোটনিনের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলে আমাদের মন ভালো হতে শুরু করে। তাই যখনই দেখবেন মন খারাপ হচ্চে কয়েকটা কলা খেয়ে নিতে ভুলবেন না যেন!
কাজুবাদাম:
নার্ভাস সিস্টেমকে স্টিমুলেট করার পাশাপাশি এনার্জি বাড়িয়ে অবসাদ কমাতে কাজুবাদাম দারুন কাজে আসে। তাই এমন কোনও অসুবিধা হলেই কিছু সময় অন্তর অন্তর এক মুঠো করে কাজুবাদাম মুখে ফেলুন, দেখবেন কেমন নিমেষেই চাঙ্গা হয়ে যাচ্ছেন আপনি।
জায়ফল:
এক চামচ আমলা রসের সঙ্গে এক চিমটে জায়ফলের গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন। দেখবেন ভালো লাগবে। তবে বারে বারে এই মিশ্রন খাবেন না যেন!
পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান:
যতটা সময় পাবেন পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানোর চেষ্টা করবেন। এই অভ্য়াস স্ট্রেস কমাতে দারুন কাজে আসে।
প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন:
যদি দেখেন পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাচ্চে, তাহলে সময় নষ্ট না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। এমনটা করলে আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে পারবেন।