For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

আমৃত্যু ক্লিয়োপেট্রার মতো সুন্দরি হয়ে থাকতে চান কি?

প্রকৃতিক উপাদানের সাহায্যে ত্বকের বয়সকে বাস্তবিকই আটকে দাওয়া সম্ভব। কিন্তু কী সেই প্রকৃতিক উপাদান?

By Nayan
|

ঘড়ির কাঁটা টিক টিক করে যত এগচ্ছে, তত কিন্তু আমরা বুড়ো হয়ে যাচ্ছি। বুড়ো হচ্ছে আমাদের ত্বকও। তাই তো সুইট সিক্সটিন-এ যেমন প্রাণচ্ছ্বল ত্বক ছিল, তা কিন্তু ৩০ থাকবে না। কিন্তু যদি বলি একদল বিজ্ঞানীরা এমনটাও দাবি করছেন যে একটি প্রকৃতিক উপাদানের সাহায্যে ত্বকের বয়সকে বাস্তবিকই আটকে দাওয়া সম্ভব, তাহলে কি বলবেন?

সত্যিই কি এমনটা করা সম্ভব? একেবারেই। সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত মাশরুম খাওয়ার অভ্যাস করলে ত্বকের বয়সের কাঁটা এগতেই পারে না। ফলে আমৃত্যু ত্বক সুন্দর এবং প্রাণচ্ছ্বল রাখার স্বপ্ন পূরণে আর কোনও বাঁধাই থাকে না। প্রসঙ্গত, পেনসিলভেনিয়া স্টেট ইউনির্ভাসিটির গবেষকদের করা এই গবেষণায় জানতে পারা গেছে মাশরুমের অন্দরে থাকা বিশেষ ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অ্যান্টি এজিং প্রপাটিজ হিসেবে কাজ করে ফলে। শরীরে এই দুটি উপাদানের মাত্রা যত বৃদ্ধি পেতে থাকে, তত ত্বকের বয়স কমতে থাকে। সেই সঙ্গে বলিরেখা এবং বয়স সম্পর্কিত নানাবিধ স্কিন প্রবলেমও ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। তবে এখানেই শেষ নয়, ত্বকের সৌন্দর্য ধরে রাখার পাশাপাশি আরও অনেক উপকারে লাগে মাশরুম। যেমন ধরুন...

১. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়:

১. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়:

মাশরুমের শরীরে মজুত থাকা ফাইবার এবং উপকারি এনজাইম শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে ধীরে ধীরে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরল বা এল ডি এল মাত্রা কমতে শুরু করে। অন্যদিকে বাড়তে শুরু করে উপকারি কোলেস্টেরলের মাত্রা। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে কমে অ্যাথেরোস্কেলেরোসিস, হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কাও।

২. অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমায়:

২. অ্যানিমিয়ার প্রকোপ কমায়:

শরীরে আয়রনের পরিমাণ কমতে শুরু করলে লহিত রক্ত কণিকার উৎপাদনে বাঁধা আসতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অ্যানিমিয়ার প্রকোপ বাড়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। এমন পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে মাশরুমের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ এই প্রকৃতিক উপাদানটি আয়রনে ঠাসা। ফলে অ্যানিমিক রোগীদের নিয়ম করে মাশরুম খাওয়ালে রোগের প্রকোপ কমতে সময়ই লাগে না।

৩. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে:

৩. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে:

মাশরুমের অন্দরে বিটা-গ্লকেন এবং লাইনোলিক অ্যাসিড নামে দুটি উপাদান থাকে, যা শরীরে প্রবেশ করার পর কার্সিনোজেনিক গ্রোথ হতে দেয় না। সেই সঙ্গে শরীর থেকে টক্সিক উপাদানদেরও বের করে দেয়। ফলে ক্যান্সার রোগ ধারে কাছেও আসতে পারে না। প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছরে আমাদের দেশে যে হারে ক্যান্সার রোগের প্রকোপ বেড়েছে, তাতে মাশরুমের মতো অ্যান্টি-কার্সিনোজেনিক খাবার খাওয়ার প্রয়োজন যে বেড়েছে, তাতে কোনও সন্দেহ নেই।

৪. ডায়াবেটিস রোগকে দূরে রাখে:

৪. ডায়াবেটিস রোগকে দূরে রাখে:

পরিবারে সুগার রোগের ইতিহাস আছে নাকি? যদি থাকে তাহলে রোজের ডায়েটে মাশরুমের অন্তর্ভুক্তি মাস্ট! কারণ এতে থাকা প্রকৃতিক ইনসুলিন শরীরে প্রবেশ করার পর রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে শুরু করে। ফলে ডায়াবেটিস রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে। তবে এখানেই শেষ নয়, একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে মাশরুম, লিভার, প্যানক্রিয়াস এবং অন্যান্য এন্ডোক্রনিক গ্ল্যান্ডের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৫. হাড়কে শক্তপোক্ত করে:

৫. হাড়কে শক্তপোক্ত করে:

ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে নিয়মিত এই প্রকৃতিক উপাদানটি খেলে ধীরে ধীরে হাড়ের গঠনে উন্নতি ঘটতে শুরু করে। সেই সঙ্গে নানাবিধ হাড়ের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও হ্রাস পায়। তাই তো বুড়ো বয়সে গিয়ে যদি জয়েন্টের ব্যথায় কাবু হতে না চান, তাহলে এখন থেকেই মাশরুমের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতে শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন।

৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে:

৬. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে:

আর্গোথিয়োনাইন নামক বিশেষ এক ধরনের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মজুত রয়েছে মাশরুমে। এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্টটি ইমিউনিটি বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর একবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে গেলে কোনও রোগের পক্ষেই আর শরীরকে আক্রমণ করা সম্ভব হয় না। ফলে সুস্থ জীবনের পথ প্রশস্ত হয়। প্রসঙ্গত, মাশরুমের মধ্যে থাকা প্রকৃতিক অ্যান্টিবায়োটিক নানাবিধ সংক্রমণের আশঙ্কা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৭. রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখে:

৭. রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখে:

নানা কারণে রক্তচাপ কি খুব ওঠানামা করছে? তাহলে তো মাশাই মাশরুমের সঙ্গই আপনার বন্ধুত্ব করার সময় এসে গেছে। কারণ মাশরুমে উপস্থিত পটাশিয়াম, শরীরের অন্দরে সোডিয়ামের ভারসাম্য ঠিক রাখার মধ্যে দিয়ে ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

Read more about: রোগ শরীর
English summary

প্রকৃতিক উপাদানের সাহায্যে ত্বকের বয়সকে বাস্তবিকই আটকে দাওয়া সম্ভব। কিন্তু কী সেই প্রকৃতিক উপাদান?

Consuming mushrooms on a regular basis can help fight ageing reveals a new study. The study conducted by researchers at Pennsylvania State University dubbed mushrooms to be the highest known single source of the antioxidants ergothioneine and glutathione, which are both associated with anti-ageing properties.
X
Desktop Bottom Promotion