For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

শরীরের মারাত্মক কোনও ক্ষতি হোক এমনটা না চাইলে পুজোর কদিন রাত জাগতে যাবেন না যেন!

|

একি কথা! পুজো মানেই তো ভুরিভোজ, সঙ্গে দেদার ঠাকুর দেখা। আর রাত্রে চন্দন নগরের আলো বাহারি লাইটিং গায়ে মেখে কাঠি রোল খেতে খেতে, ফোস্কা পায়ে ঠাকুর দেখেনি যারা, তাদের তো জীবন বৃথা ভায়া!

সত্যি! একেবারে খাঁটি কথা বলেছেন! তবে বন্ধু রাত জেগে মজা তো করবেন, সে নয় ঠিক আছে! কিন্তু শরীরটার কথা না ভাবলে যে বিপদ! মানে, রাত জেগে ঠাকুর দেখার সঙ্গে শরীরের ভাল-মন্দের কি সম্পর্ক মশাই?

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে টানা কয়েকদিন রাত জাগলে শরীর ভিতর থেকে ভাঙতে শুরু করে। ফলে এমন সব রোগ ঘাড়ে চেপে বসে যে আয়ু কমে চোখে পরার মতো। শুধু তাই নয়, মাত্রাতিরিক্তি খাওয়া-দাওয়া, সঙ্গে রাত জাগা লেজুড় হলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ভয়ও থাকে। তাই সাবধান বন্ধু সাবধান!

এতদূর পড়ার পর নিশ্চয় জানতে ইচ্ছা করছে রাত জাগার সঙ্গে কী কী রোগের সম্পর্কে রয়েছে, কি তাই তো? তাহলে আর অপেক্ষা কেন, চোখ রাখা যাক বাকি প্রবন্ধে...!

১.উচ্চ রক্তচাপের মতো মারণ রোগ ঘারে চেপে বসে:

১.উচ্চ রক্তচাপের মতো মারণ রোগ ঘারে চেপে বসে:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে টানা ২-৩ দিন ঠিক করে না ঘুমলে শরীরের অন্দরে এমন কিছু পরিবর্তন হতে শুরু করে যে তার প্রভাবে রক্তচাপ বাড়তে শুরু করে। আর এমন পরিস্থিতিতে দ্রুত যদি ব্লাড প্রেসারকে নিয়ন্ত্রমে নিয়ে আসা না যায়, তাহলে শরীরের যে মারাত্মক ক্ষতি হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা বাড়ে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তাই সাবধান বন্ধু সাবধান!

২. ওজন বাড়ে চোখে পরার মতো:

২. ওজন বাড়ে চোখে পরার মতো:

২০১৪ সালে হওয়া একটি স্টাডিতে দেখা গেছে টানা কয়েকদিন ৬ ঘন্টার থেকে কম সময় ঘুমলে ওজন বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। কারণ ঘুম কম হলে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষিদে বাড়তে থাকে। আর বেশি মাত্রায় খেলে যে স্বাভাবিকভাবেই ভাবে ওজন বৃদ্ধির পথ প্রশস্ত হয়, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে! আর ওজন যখন মাত্রা ছাড়ায়, তখন স্বাভাবিকভাবেই একে একে শরীরে এসে বাসা বাঁধে ডায়াবেটিস ,কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপ এবং হার্টের রোগের মতো নন-কমিউনিকেবল ডিজিজ। তাই তো বলি বন্ধু, ওবেসিটির মতো মারণ পরিস্থিতির খপ্পরে পরতে যদি না চান, তাহলে পুজোর কটা দিন রাত জাগার প্ল্যান বানাতে যাবেন না যেন!

৩. ঘুম কম হলেই ব্রেন পাওয়ার কমে যেতে শুরু করে:

৩. ঘুম কম হলেই ব্রেন পাওয়ার কমে যেতে শুরু করে:

আমরা যখন ঘুমোই তখন আমাদের মস্তিষ্ক নিজেকে রিজুভিনেট করতে থাকে। সেই সঙ্গে সারা দিন ধরে চোখের সামনে ঘটে যাওয়া নানা ঘটনা এবং তথ্য ব্রেনে স্টোর করার কাজটাও এই সময় ঘটে থাকে। তাই তো ঠিক মতো ঘুম না হলে প্রথমেই স্মৃতিশক্তির উপর প্রভাব পরে। সেই সঙ্গে কগনিটিভ ফাংশন কমে যাওয়ার কারণে মনোযোগ এবং বুদ্ধি কমে যাওয়ার মতো ঘটনাগুলিও ঘটে থাকে। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে আমাদের কোনও কিছু শেখার ক্ষমতার সঙ্গে ঘুমের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই তো ঠিক মতো ঘুম না হলে এই ক্ষমতাও কমে যেতে শুরু করে। তাই সাবধান!

৪. আয়ু কমে চোখে পরার মতো:

৪. আয়ু কমে চোখে পরার মতো:

প্রায় দশ হাজার ব্রিটিশ ছাত্রের উপর করা এক গবেষণায় দেখা গেছে যারা ৫ ঘন্টা বা তার কম সময় ঘুমায়, তাদের হঠাৎ করে মৃত্যু হওয়ার আশঙ্কা সাধারণ মানুষদের তুলনায় কয়েক গুণ বেড়ে যায়। আসলে যেমনটা আগেও আলোচনা করা হয়েছে যে ঘুমের সঙ্গে হার্ট এবং ব্রেনের স্বাস্থ্যের সরাসরি যোগ রয়েছে। তাই তো ঘুম ঠিক মতো না হলে শরীরেই সবথেকে দুটি ভাইটাল অঙ্গ দুর্বল হয়ে যেতে শুরু করে। আর এমনটা হতে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই আয়ু চোখে পরার মতো কমে যায়।

৫. মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে:

৫. মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে:

২০০৫ সালে হওয়ার বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গিয়েছিল দিনের পর দিন ঠিক মতো ঘুম না হলে ধীরে ধীরে মস্তিকের অন্দরে ফিল গুড হরমোনের ক্ষরণ কমে যেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ডিপ্রেশন এবং অ্যাংজাইটির মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। তাই হাজারো চাপের মাঝেও মনকে যদি চাঙ্গা রাখতে চান, তাহলে ভুলেও ঘুমের সঙ্গে আপোস করবেন না যেন!

৬. সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়:

৬. সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়:

একাধিক কেস স্টাডিতে দেখা গেছে মাসের পর মাস ঠিক মতো ঘুম না হলে ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের বিশেষ কিছু অংশ এতটাই ক্লান্ত হয়ে পরে যে ঠিক মতো কাজ করে উঠতে পারে না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কম সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। সেই সঙ্গে কেরিয়ারে দ্রুত উন্নতি করার সম্ভাবনাও হ্রাস পায়। তাই প্রফেশনাল জীবনে যদি একের পর এক শৃঙ্গ জয় করতে চান, তাহলে ঘুমের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতাতে ভুলবেন না যেন!

৭. ত্বকের সৌন্দর্য কমে:

৭. ত্বকের সৌন্দর্য কমে:

দিনের পর দিন ঠিক মতো ঘুম না হলে কর্টিজল নামক স্ট্রেস হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যেতে শুরু করে। ফলে একদিকে যেমন মন-মেজাজ খিটখিটে হয়ে যা, সেই সঙ্গে ত্বকের অন্দরে কোলাজেনের মাত্রা কমতে শুরু করার কারণে সৌন্দর্যও হ্রাস পায়। তাই যদি না চান যে কম বয়সেই ত্বক বুড়িয়ে যাক, তাহলে ঘুমের মাত্রা কমানোর কথা ভুলেও ভাববেন না!

৮. হার্টের মারাত্মক ক্ষতি হয়:

৮. হার্টের মারাত্মক ক্ষতি হয়:

একাধিক গবেষণার পর এই বিষয়ে আর কোনও সন্দেহ নেই যে ঘুমের সঙ্গে হার্টের স্বাস্থ্যের সরাসরি যোগ রয়েছে। সেই কারণেই তো চিকিৎসকেরা দৈনিক কম করে ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানর পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আসলে এমনটা না করলে ধীরে ধীরে হার্ট দুর্বল হয়ে যেতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হার্ট ফেলিওর, ইরেগুলার হার্ট বিট সহ আরও নানাবিধ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

Health Risks of Lack of Sleep During Durga Puja

If you’ve ever spent a night tossing and turning, you already know how you’ll feel the next day — tired, cranky, and out of sorts. But missing out on the recommended 7 to 9 hours of shut-eye nightly does more than make you feel groggy and grumpy. The long term effects of sleep deprivation are real. It drains your mental abilities and puts your physical health at real risk. Science has linked poor slumber with all kinds of health problems, from weight gain to a weakened immune system.
Story first published: Monday, October 15, 2018, 10:14 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion