Just In
হলুদ দিয়ে বানানো চা খান নি কখনও নিশ্চয়?
হলুদ চা পান করলে শরীরে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জয়েন্ট পেন এবং প্রদাহ কমতে শুরু করে।
চাকাটা ঘুরছে। ঘুরেই চসেছে। আর যত ঘুরছে তত সময়ের রথ সামনের দিকে এগিয়ে চলেছে। তবু উতিহাসের ছায়া থেকে কি আমরা বেরিয়ে আসতে পারছি? মনে তো হয় না।
ইতিহাসের জীবাষ্মের উপরই বর্তমানের ইমারত দাঁড়িয়ে থাকে। তাই তো অতীতকে মুছে ফেললে বর্তমানের মূল্য যে কমে, সে কথা তাবড় বিশ্ব মেনে নিয়েছে। সেই কারণেই তো এক সময়ে আয়ুর্বেদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া আধুনিক সমাজ ধীরে ধীরে ভরসা ফিরে পাচ্ছে হাজার বছরেরে পুরানো এই চিকিৎসা বিদ্যার উপরে। আর এই ভরসা যে নেহাতই ভুল সিদ্ধান্ত নয়, তা আরেকবার প্রমাণ করবে এই প্রবন্ধ।
চা তো আমরা সবাই খাই। কেউ লাল চা, তো কেউ দুধ! কিন্তু কখনও হলুদ দিয়ে বানানো চায়ের স্বাদ পরখ করে দেখেছেন নাকি? যদি করতেন, তাহলে হয়তো অ্যালোপ্যাথি মেডিসিনের উপর এতটা ভরসা করতেন না। কেন জানেন...
১. আর্থ্রাইটিসের কষ্ট কমে:
সকাল-বিকাল মিলিয়ে দু-কাপ হলুদ চা পান করলে শরীরে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটারি উপাদানের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই জয়েন্ট পেন এবং প্রদাহ কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, হলুদে কার্কিউমিন নামে একটি উপাদানের সন্ধান পাওয়া যায়। এই উপাদানটি যে কোনও ধরনের যন্ত্রণা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২. স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে:
হলুদে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর উপাদানদের শরীরে থেকে বার করে দেয়। ফলে ব্রেন সেল ড্যামেজের আশঙ্কা কমে। অন্যদিকে কার্কিউমিন মস্তিষ্কের বিশেষ কিছু অংশের ক্ষমতা এতটা বাড়িয়ে দেয় যে স্মৃতিশক্তি লোপ পাওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। সেই সঙ্গে বুদ্ধির জোরও বাড়তে থাকে।
৩.ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে:
ন্যাশনাল ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের প্রকাশ করা রিপোর্ট অনুসারে হলুদে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ, শরীরে যাতে ক্যান্সার সেল জন্ম নিতে না পারে সেদিকে খেয়াল করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ক্যান্সার রোগ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। এবার নিশ্চয় বুঝতে পরেছেন হলুদ চা খাওয়া কতটা প্রয়োজন।
৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়:
একাধিক পুষ্টিকর উপাদানে সমৃদ্ধ হলুদ দিয়ে বানানো চা খেলে শরীরের অন্দরে বেশ কিছু পরিবর্তন হতে থাকে, যার প্রভাবে ধীরে ধীরে রোগ প্রতিরোধ করার ক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। ফলে রোগমুক্ত জীবন পাওয়ার স্বপ্ন একেবারে হাতের মুঠোয় চলে আসে।
৫. খারাপ কোলেস্টরলের মাত্রা কমায়:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে হলুদে উপস্থিত কার্কিউমিন রক্তে জমতে থাকা এল ডি এল বা খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। ফলে স্বাভাবিভাবেই হার্টের কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। আসলে শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা যত কমতে শুরু করে, তত হার্টের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও কমে। সেই সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের সম্ভাবনাও হ্রাস পায়।
কিভাবে বানাতে হবে টার্মারিক টি?
১. ৩-৪ কাপ জল ফুটিয়ে নিন প্রথমে।
২. জলটা ফটতে শুরু করলে তাতে ২ চামচ হলুদ গুঁড়ো মেশান।
৩. হলুদ মেশানোর পর কম করে ৫-১০ মিনিট জলটা নারাতে থাকুন।
৪. সময় হয়ে গেলে জলটা ছেঁকে নিন।
৫. এবার অল্প করে মধু, লেবুর রস এবং দুধ মিশিয়ে নিন।
৬. আপনার হলুদ চা তৈরি। এবার গরম গরম পান করুন।