For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

লাল চাই কি আদৌ স্বাস্থ্যকর!

কালো চায়ের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। এই উপাদানটি ক্যান্সার রোধে দারুনভাবে সাহায্য করে থাকে।

By Swaity Das
|

জিনিস পত্রের দাম এত বাড়চে কেন মশাই? দেশটা কেনই বা উচ্ছন্নে যাচ্ছে? আচ্ছা ভারতীয় ক্রিকেট দলে কাকে নিলে সব দল জুজু হয়ে যেতে পারে? এই ধরণের নানারকম উদ্ভট প্রশ্ন কি আপনাকে খুব ভাবাচ্ছে? অথচ কাউকে মনের কথা বলে উঠতে পারছেন না? তাহলে তো বাড়ি থেকে চটজলদি বেরিয়ে সামনের চায়ের দোকানে চলে যান। গম্ভীর আলোচনার স্রোতে বেসে যে কখন হাবড়া থেকে হোয়াইট হাউসে পৌঁছে যাবেন, টেরও পাবেন না। কি ভাবছেন? হেয়ালি করছি? একদম না। রাজনীতি থেকে রান্না, খেলাধূলা থেকে চাকরি, সব নিয়েই গোল টেবিল বৈঠকের ঠেক তো চায়ের দোকানই। তাই হাতে চায়ের কাপ মানেই সব সমস্যা সমাধানের মহাপ্রসাদ।

সত্যি বলতে কি, চা খাওয়ার জন্য কোনও কারণের দরকার পড়ে না আড্ডা প্রিয় বাঙালির। হাতে এক কাপ চা মানেই তো আমেজ। তবে কোন পদ্ধতিতে চা খাচ্ছেন, সেটা কিন্তু বেশ বড় বিষয়। যেমন, আমরা অনেকেই দুধ চা খাই, আবার অনেকে কালো চা বা লিকার চা খেতে ভালবাসেন। তাই তো বোল্ডস্কাইয়ে আজকের আলোচনার বিষয় হল কালো বা লিকার চা।

সারা পৃথিবী জুড়ে বহু জায়গায় চা চাষ করা হয়ে থাকে। ভারতবর্ষের দার্জিলিং,আসাম, কেরালা এবং নীলগিরির চা তো পৃথিবী বিখ্যাত। চায়ের রূপও অনেক। যেমন- গ্রিন টি, সাদা বা হোয়াইট টি, উলং, কালো বা ব্ল্যাক টি। সবথেকে মজার বিষয় হল, এই সব ধরণের চাই আসে একটি গাছ থেকে। যার নাম ক্যামেলিয়া সিনেসিস। তৈরি করার পদ্ধতির ওপর নির্ভর করে চায়ের চরিত্র। এর মধ্যে কালো চা সবথেকে বেশি অক্সিডাইজড করা হয়ে থাকে। প্রথমে চায়ের কাঁচা পাতা শুকিয়ে নেওয়া হয়। তারপর হাতের দ্বারা গুঁড়ো করে, রোদে শুকিয়ে কালো চা তৈরি করা হয়। এর সুগন্ধ চায়ে আলাদা তেজ নিয়ে আসে।

প্রসঙ্গত, কালো চা অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া একদমই উচিত নয়। কারণ কালো চায়ের মধ্যে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যাফেইন থাকে। আর ক্যাফেইন খুব বেশী শরীরে প্রবেশ করা একদমই উচিত নয়। যদিও মেপে খেলে এই চা শরীরের নানারকম সমস্যা দূর করতে পারে কিন্তু!
চিকিৎসকদের মতে গ্রিন টি-এর আদর্শ বিকল্প হতে পারে লিকার চা। কারণ এটি শরীরের জন্য খুবই ভাল। তবে কালো চা দিনে একবারের থেকে বেশি খাওয়া উচিত নয় বলে মনে করে চিকিৎসক মহল।

তাহলে আর অপেক্ষা কেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক, লিকার চা পান করলে কী কী উপকার মিলতে। এক্ষেত্রে সাধারণত যে যে সুফল পাওয়া যায়, সেগুলি হল...

১. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে:

১. ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখে:

কালো চায়ের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট। যেমন- থিয়াফ্লেভিন, থিয়ারাবিজিনস এবং ক্যাটেচিন্স। এই উপাদানগুলি ক্যান্সার রোধে দারুনভাবে সাহায্য করে থাকে।

২. এনার্জির ঘাটতি দূর করে:

২. এনার্জির ঘাটতি দূর করে:

থিয়োফিলিন এবং ক্যাফেইন থাকার কারণে এই ধরনের চা খেলে এনার্জির ঘাটতি দূর হয়। সেই সঙ্গে শরীরও তরতাজা হয়ে ওঠে। তাই তো অফিস থেকে ফিরে এক কাপ গরম গরম লিকার চা পানের পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা।

৩. কোষের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়:

৩. কোষের কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায়:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে লিকার চায়ে উপস্থিত বেশ কিছু কার্যকরি উপাদান কোষেদের পুষ্টি যোগাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ডিএনএ-এর যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেদিকেও খেয়াল রাখে।

৪. হার্ট চাঙ্গা হয়ে ওঠে:

৪. হার্ট চাঙ্গা হয়ে ওঠে:

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে কালো চায়ে উপস্থিত অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আমাদের হৃদযন্ত্রকে ভাল রাখতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফলে এই পানীয়টি নিয়মিত খেলে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি আথেরোস্কেলেরসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।

৫. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে:

৫. ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে:

কালো চা পানে রক্তে শর্করার মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে ডায়াবেটিস রোগ মাত্রা ছাড়া চেহারা নেওয়ার সুযোগই পায় না। শুধু তাই নয়, একাধিক গবেষণা অনুসারে রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতেও এই পানীয়টি সাহায্য় করে থাকে। তাহলে একবার ভাবুন, এক পেয়ালা চায়ের কত ক্ষমতা!

৬. হাড় শক্তপোক্ত হয়:

৬. হাড় শক্তপোক্ত হয়:

কালো চায়ের মধ্যে উপস্থিত ফাইটোকেমিক্যালস হাড়কে শক্ত রাখতে সাহায্য করে। ফলে বুড়ো বয়সে গিয়ে অস্টিওপোরোসিসের মতো রোগ হওয়ার সম্ভাবনা কমে।

৭. মনোযোগ বৃদ্ধি পায়:

৭. মনোযোগ বৃদ্ধি পায়:

কালো চায়ে উপস্থিত উপকারি অ্যামিনো অ্যাসিড, মস্তিষ্কের অন্দরে এমন কিছু রদবদল করে যে ব্রেনের কিছু বিশেষ অংশ খুব অ্যাকটিভ হয়ে ওঠে। যে কারণে মনোযোগ খুব বৃদ্ধি পায়।

৮. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে:

৮. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে:

কালো চায়ের মধ্যে অ্যালকেলেমিন নামে একটি অ্যান্টিজেন রয়েছে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে একাধক রোগকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকাপালন করে থাকে।

Read more about: রোগ শরীর
English summary

কালো চায়ে রয়েছে অতিরিক্ত পরিমাণে ক্যাফেইন। তাই এই পানীয়টি খাওয়া কি আদৌ উচিত?

Black tea (just like green tea) is plucked from a plant called camellia sinensis. The leaves of black tea, are steeped such that it can give a dark colour when used as a beverage. Also, the leaves are mature dry and processed such that it has a dark colour. Black tea has extremely low caffeine content, which is great for circulation.
Story first published: Friday, September 8, 2017, 17:28 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion