Just In
মাঝে মধ্যে চকোলেট খান তো?
যেসব চকোলেটে কোকোর মাত্রা বেশি থাকে, এমন চকোলেট খেলে ইনসুলিনের উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার সুযোগই পায় না।
মাঝে মাঝে ছোট বেলায় ফিরে গেলে কিন্তু শরীরটা বেঁচে যাবে। মানে! কী আবোল-তাবোল বোকছেন মশাই। বয়স বেড়ে গেলে কী আর তা কমানো যায়! ঠিক কথা, কমানো যায় না। কিন্তু ছোট বেলার কিছু কিছু অভ্যাস ফিরিয়ে আনা যায় তো! যেমন ধরুন চকোলেট খাওয়ার অভ্যাস। গবেষণা বলছে প্রতিদিন অল্প করে ডার্ক চকোলেট খেলে একাধিক মারণ রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। ফলে আয়ু বৃদ্ধি পায় চোখে পরার মতো।
আসলে ডার্ক চকোলেটে উপস্থিত কোকো নামক উপাদানটি শরীরের একাধিক উপকারে লেগে থাকে। যেমন ধরুন...
১. ডায়াবেটিস রোগকে দূরে থাকে:
সম্প্রতি একটি গবেষণায় দেখা গেছে, যেসব চকোলেটে কোকোর মাত্রা বেশি থাকে, এমন চকোলেট খেলে ইনসুলিনের উৎপাদন বেড়ে যায়। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার সুযোগই পায় না। আসলে কোকোতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা বিটা সেলের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি ইনসুলের উৎপাদন বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে ডায়াবেটিস ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না।
২. পুষ্টির ঘাটতি দূর হয়:
বেশি মাত্রায় কোকো দিয়ে বানানো ১০০ গ্রাম ডার্ক চকোলেটে প্রায় ১১ গ্রাম ফাইবার, দিনের চাহিদার ৬৭ শতাংশ আয়রন, দিনের চাহিদার ৫৮ শতাংশ ম্যাগনেসিয়াম, দৈনিক চাহিদার ৮৯ শতাংশ কপার এবং প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম, জিঙ্ক এবং সেলেনিয়াম রয়েছে। এই সবকটি উপাদান শরীরের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে ব্রেনের কর্মক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে। তাই তো প্রতিদিন কম করে ১০০ গ্রাম করে ডার্ক চকোলেট খেলে শরীর নিয়ে ভাবার আর কোনও প্রয়োজনই পরে না।
৩. ক্যান্সার প্রতিরোধক:
ডার্ক চকোলেটে উপস্থিত প্রচুর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরের অন্দরে লুকিয়ে থাকা ক্ষতিকর টক্সিকদের টেনে টেনে দেহের বাইরে নিয়ে আসে। ফলে টক্সিক উপাদানের প্রভাবে ক্যান্সার সেলের জন্ম নেওয়ার আশঙ্কা অনেক কমে যায়। প্রসঙ্গত, ডার্ক টকোলেটে রয়েছে পলিফেনল, ফ্লেবানল, ক্য়াটাচিন সহ একাধিক শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৪. ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখে:
চকোলেটে ফ্লেভোনল নামে একটি উপাদান রয়েছে, যা এন্ডোথেলিয়াম, মানে আর্টারির আবরণে নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করে। এই গ্যাসটি আর্টারির স্ট্রেস কমানোর পাশাপাশি রক্তচাপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ বাড়াতেও ডার্ক চকোলেট বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৫. হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়:
বেশ কিছু গবেষণায় দেখে গেছে নিয়মিত ডার্ক চকোলেট খাওয়ার অভ্যাস করলে রক্তে বাজে কোলেস্টরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। অন্যদিকে ভাল কোলেস্টেরলের পরিমাণ বাড়ায়। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে নানাবিধ হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও অনেকাংশে হ্রাস পায়। তাই পরিবারে যদি হার্টের রোগের ইতিহাস থাকে, তাহলে সময় থাকতে থাকতে ছোট বেলার মতো চকোলেটের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতান, দেখবেন উপকার পাবেন।
৬. ব্রেন ফাংশনের উন্নতি ঘঠে:
বেশি মাত্রায় কোকো দিয়ে বানানো চকোলেট খেলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের সরবরাহ বেড়ে যায়। ফলে কগনেটিভ ফাংশনের উন্নতি ঘটার কারণে স্মৃতিশক্তি, মনোযোগ এবং বুদ্ধির বিকাশ ঘঠে। আসলে কোকোতে উপস্থিত ক্যাফিন এবং থিয়োব্রোমাইন এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।