Related Articles
-
এই মশলাগুলি আপনার ওজন তো কমাবেই সেই সঙ্গে একাধিক মারণ রোগের থেকেও দূরে রাখবে
-
আপনি কি খুব না ডাকেন? তাহলে খাওয়া শুরু করুন এই ঘরোয়া ওষুধটি
-
পুদিনা আম পান্না
-
এই গরমে আপেল এবং দরচিনি দিয়ে বানানো সরবত খাওয়া জরুরি কেন?
-
চটজলদি পেটের চর্বি কমাতে চান? তাহলে খাওয়া শুরু করুন এই পানীয়টি
-
(ছবি) পিঠ ও কোমর ব্যথা কমানোর সেরা পানীয়
ঠিক মতো ঘুম না হলে সুস্থভাবে বেঁচে থাকা সম্ভব নয়
পর্যাপ্ত পরিমাণে রাতের ঘুম না হলেই শরীর খারাপ হতে শুরু করে। কারণ যখন আমরা ঘুমই, তখন আমাদের শরীরের অন্দরে সারাদিন ধরে যে আঘাত লেগেছে, তার চিকিৎসা চলে। সেই সঙ্গে মস্তিষ্ক এবং শরীরের একাধিক অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ একটু আরাম করার সুযোগ পায়। তাই তো দৈনিক ৬-৮ ঘন্টা না ঘুমলে ধীরে ধীরে কর্মক্ষমতা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে লিভার, হার্ট, কিডনি এবং একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে গিয়ে ঠিকানা হয় শুধু হাসপাতালের বিছানা। আপনিও কি চান আপনার জীবন এমন হয়ে উঠুক? নিশ্চয় চান না? তাহলে এখন প্রশ্ন, ঠিক মতো ঘুমনোর জন্য কী করা উচিত?
অস্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার কারণে মানসিক চাপ সহ মনের অস্বস্তি এমন মাত্রায় পৌঁছেছে যে শান্তি মনে ঘুম আসা কঠিন হয়ে উঠেছে। এই অবস্থায় অনেকেই ঘুমের ওষুধের প্রতি আসক্ত হয়ে পরছেন। তাতে ঠিক মতো ঘুম হচ্ছে ঠিকই, কিন্তু সেই সঙ্গে শরীরের উপরে এইসব ঘুমের ওষুধের যে কু-প্রভাব পরছে, তারফলে শরীরের ভাল হওয়ার জায়গায় খারাপ হচ্ছে বেশি। তাহলে ফিরে যাওয়া যাক সেই প্রথম প্রশ্নে। কী করলে কোনও রকমের ঘুমের ওষুধ ছাড়াই ঠিক মতো ঘুম চলে আসবে? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে একবার চোখ রাখতেই হবে এই প্রবন্ধে। কারণ এই লেখায় এমন একটি ঘরোয়া ওষুধ সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যা নিয়মিত খেলে ঘুমের কোটা পূরণে কোনও অসুবিধাই হয় না।
তাহলে অপেক্ষা কিসের। চলুন আর সময় নষ্ট না করে জেনে নেওয়া যাক কীভাবে দুধ, মধু এবং ভ্য়ানিলার নির্জাস মিশিয়ে বানাতে হয় এই ওষুধটি।
১. দুধ:
এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় প্রোটিন এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড, যা সেরোটনিন এবং মেলাটনিন হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। প্রসঙ্গত, এই দুটি হরমোনের ক্ষরণ যত বেশি হয়, তত ভাল ঘুম আসে।
২. মধু:
মেলাটোনিন হরমোনের উৎপাদন বাড়াতে মধুর কোনও বিকল্প নেই বললেই চলে। তাই তো এই ওষুধটি মধু ছাড়া বানানো একপ্রকার সম্ভবই নয়।
৩. ভ্যানিলা নির্জাস:
একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে ভ্যানিলার গন্ধে মস্তিষ্ক খুব শান্ত হয়ে যায়। মানসিক চাপ এবং অন্যান্য নানা করণে মস্তিষ্কে যে উদ্বেগ তৈরি হয়ে, তা প্রশমনে এই উপাদনটি দারুন কাজে আসে। আর একবার মস্তিষ্ক ঠান্ডা হলে গেলে ঘুম আসতে কোনও অসুবিধাই হয় না।
ওষুধটি বানানোর পদ্ধতি:
১. এক কাপ দুধ নিয়ে ফুটিয়ে নিন।
ওষুধটি বানানোর পদ্ধতি:
২. এবার ফোটান দুধটা একটা গ্লাসে ঢেলে নিয়ে তাতে এক চামচ মধু এবং ভ্যানিলার নির্জাস মিশিয়ে নিন।
ওষুধটি বানানোর পদ্ধতি:
৩. ভাল করে দুধটা নারান, যাতে উপকরণগুলি ঠিক মতো মিশে যেতে পারে। মিশ্রনটি তৈরি হয়ে গেলে গরম গরম খেয়ে ফেলুন। দেখবেন ১ মিনিটের মধ্যে ঘুম চলে এসেছে।