Just In
- 5 hrs ago ত্বকের জেল্লা ফেরাতে ম্যাজিকের মত কাজ করবে চালের জল, কীভাবে দেখুন
- 9 hrs ago কোন ডাবে বেশি জল, বাইরে থেকে দেখে বুঝবেন কী ভাবে?
- 12 hrs ago গাধার দুধের আশ্চর্যজনক স্বাস্থ্য উপকারিতা, জানলে চমকে উঠবেন আপনিও
- 14 hrs ago রুক্ষ-শুষ্ক চুল নিয়ে চিন্তা? জেনে নিন চুলের যত্নে গ্লিসারিনের অবিশ্বাস্য় ভূমিকা
Don't Miss
বিছানায় ছারপোকা নেই তো?
গবেষণায় দেখা গেছে ছারপোকা কামড়ালে কারও কারও মারাত্মক ধরনের অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন হয়।
যেই তাকাই অমনি নেই! এদিকে সারা শরীর ফুলে যাচ্ছে। চাকা চাকা লাল দাগ। যেমন জ্বালা, তেমনি চুলকানি। বার কতক রোদে দিয়েছিলাম বিছানাটাকে। কোনও লাভ হয়নি। উল্টে আক্রমণের ধার যা বেড়েছে, তাতে মনে হচ্ছে ব্যটাদের সংখ্যা বেড়েছে বই কমেনি। রাসায়নিক থেকে প্রাকৃতিক, সব কিছু করে ফেলেও মুক্তি মিলছে না ছাড় পোকার হাত থেকে। এদিকে একটা রিপোর্টে পড়ে তো হৃদপিন্ড মুখে আসার জোগার!
কী রিপোর্ট? একটি আন্তর্জাতির জার্নালে সম্প্রতি একটি গবেষণা পত্র প্রকাশিত হয়েছে। তাতে দাবি করা হয়েছে দীর্ঘদিন যদি কেউ ছাড় পোকার কামড় খেতে থাকে, তাহলে একাধিক জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা চোখে পরার মতো বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে শারীরের কর্মক্ষমতা এবং আয়ুও কমে। আসলে রাতের অন্ধকারে আমাদের শরীর আক্রমণ করা এই পোকাটা রক্ত খেতে খেতে এমন কিছু ক্ষতিকর উপাদান শরীরে ঢুকিয়ে দেয় যে নানাবিধ রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়। যেমন...
১. অ্যালার্জি:
গবেষণায় দেখা গেছে ছারপোকা কামড়ালে কারও কারও মারাত্মক ধরনের অ্যালার্জিক রিঅ্যাকশন হয়। সেক্ষেত্রে ব্লাড প্রেসার কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শ্বাস কষ্টও বাড়তে শুরু করে। এই ধরনের পরিস্থিতিতে ঠিক সময়ে যদি চিকিৎসা শুরু করা না হয়, তাহলে কষ্ট মাত্রা ছাড়া আকার নিতে পারে। তাই তো যাদের অ্যালার্জির ধাত রয়েছে তারা এইসব ক্ষেত্রে অতিরিক্ত সাবধান থাকবেন।
২. সংক্রমণ:
একেবারেই ঠিক শুনেছেন, খয়েরি রঙের এই ছোট্ট পোকাটির কারণে মারাত্মক ধরনের সংক্রমণ হতে পারে। আসলে ছারপোকা কামড়ানোর পর ক্ষত স্থানে মারাত্মক চুলকাতে শুরু করে। ফলে চুলকাতে চুলকাতে যদি একবার কেটে যায়, তাহলে সে জায়গা দিয়ে একাধিক ক্ষতিকর জীবাণু শরীরে প্রবেশ করার সুযোগ পেয়ে যায়। আর এমনটা হওয়া মাত্র শরীরের অন্দরে সংক্রমণ মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে।
৩. শ্বাস কষ্ট:
ঘরের যে জায়গায় ছারপোকারা বাসা বাঁধে, সেখানকার হাওয়া-বাতাসে এত বিষ ছড়িয়ে যায় যে তা যদি একবার শ্বাসের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে যায় তাহলেই কেলো! এক্ষেত্রে মারাত্মকভাবে শ্বাস কষ্ট হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, চিকিৎসকদের মতে যারা অ্যাজমা রোগে ভুগছেন, তাদের আশেপাশে যদি এমন পোকাদের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়, তাহলে রোগের প্রকোপ আরও বেড়ে যায়।
৪. একাকিত্ব:
খেয়াল করে দেখবেন সবারই মনে ছারপোকাদের নিয়ে একটা ভয় রয়েছে। পাছে বাড়িতে-জামাকাপড়ে ছড়িয়ে যায়, তাই কেউই এমন বাড়িতে যেতে চান না যেখানে ছারপোকর রাজত্ব রয়েছে। তাহলে ভাবুন, যাদের বাড়িতে এমন পোকা রয়েছে তারা কতটাই না একাকিত্ব ভোগেন, যা ধীরে ধীরে শরীর এবং মনের উপর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলে থাকে।
৫. ইনসমনিয়া:
সারা রাত কামড় খেলে ঘুম আসবে কীভাবে মশাই! তাই তো ছাড় পোকাদের থেকে দূরে থাকাটা একান্ত প্রয়োজন। না হলে প্রথমে ঘুম ছুটবে। তারপর তার লেজুড় হয়ে একাধিক রোগ শরীরে এসে বাসা বাঁধবে। কারণ পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর ভাঙতে শুরু করে। সেই সঙ্গে প্রায় প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের কর্মক্ষমতা কমতে শুরু করবে।
৬.অ্যানিমিয়া:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে যারা দীর্ঘদিন ধরে ছাড় পোকার কামড় খেয়ে আসছেন তাদের শরীরে লহিত রক্ত কণিকার মাত্রা কমতে শুরু করে। ফলে রক্তাল্পতা বা অ্যানিমিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বৃদ্ধি পায়। আসলে বেড বাগের মূল খাবারই হল রক্ত। এবার ভাবুন এক সঙ্গে লক্ষাধিক ছাড় পোকা আপনার শরীরের নানা অংশ থেকে লিটার লিটার রক্ত খেয়ে চলেছে। এমনটা হওয়ার পর শরীরে রক্ত বাঁচবে?
৭. অ্যাংজাইটি:
সরাসরি যোগ নেই বটে, তবু সম্পর্কটাকে উপেক্ষা করাও সম্ভব নয়। বেশ কিছু কেস স্টাডি অনুসারে ছারপোকার প্রতিনিয়ত আক্রমণের কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে শরীরের অন্দরে বেশ কিছু পরিবর্তন হওয়ার কারণে স্ট্রেস এবং অ্যাংজাইটি লেভেলও বাড়ে। এবার বুঝতে পেরেছেন তো আকারে ছোট হলেও কতটা ক্ষতি করে থাকে এই পোকাটি। তাই তো ছারপোকাকে কখনই হলকা ভাবে নেওয়া উচিত নয়!