Just In
- 14 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 15 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 18 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 20 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
কেন চিকিৎসকেরা প্রতিদিন চেরির জুস খেতে বলছেন জানেন?
ন্যাশনাল হেলথ পোর্টালে কখনও ঢুঁ মেরেছেন? যদি মারতেন তাহলে জানতে পারতেন আমাদের দেশে মানুষর বেশে প্যাঁচার সংখ্যা কেমন হারে বাড়ছে।
ন্যাশনাল হেলথ পোর্টালে কখনও ঢুঁ মেরেছেন? যদি মারতেন তাহলে জানতে পারতেন আমাদের দেশে মানুষর বেশে প্যাঁচার সংখ্যা কেমন হারে বাড়ছে।
মানে! কি বলতে চাইছেন একটু খোলসা করুন তো। আরে মশাই কম বয়স থেকেই জ্যাক মা, বিল গেটস এবং আম্বানির মতো লাইফস্টাইল পাওয়ার স্বপ্ন নিয়ে চাকরিতে যোগ দেওয়া যুবসমাজ অতিরিক্ত মাত্রায় টাকা কামানোর চক্করে অফিসে এতটাই চাপ নিয়ে ফলছে যে বেশিরভাগই ভুগতে শুরু করছে অনিদ্রা বা ইনসমনিয়ায়। ফলে সারা দিন অফিস, আর রাতে প্যাঁচার মতে জেগে থেকে তারা গোনার কাজ করেই কেটে যাচ্ছে দিনের পর দিন। আর এমনটা হওয়ার কারণে কম বয়সেই শরীরে এসে বাসা বাঁধছে ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ সহ একের পর এক ফার্স্ট গ্রেডেড রোগ। ফলে ৫০ পেরতে না পেরতেই বেশিরভাগেরই নিভে যাচ্ছে বাতি।
আপনিও কী এদের দলে নাম লিখিয়েছেন নাকি? তাহলে তো আজ থেকেই এক গ্লাস করে চেরির রস খাওয়া শুরু করতে হবে বন্ধু। এমনটা করলে দেখবেন ঘুম তো আসবেই, সেই সঙ্গে শরীরও একেবারে চাঙ্গা হয়ে উঠবে। সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত এই পানীয়টি ২৪০ এম এল করে দিনের শুরুতে এবং রাত্রে ঘুমতে যাওয়ার আগে খেলে ঘুমের পরিধি প্রায় ৮৪ মিনিট বেড়ে যায়। ফলে ইনসমনিয়ার মতো সমস্যা কমতে একেবারেই সময়ই লাগে না। শুধু কি তাই! চেরির মধ্যে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান আরও নানভাবে শরীররে উপকারে লাগে। যেমন...
১. পেশির গঠনে সাহায্য করে:
চেরিতে উপস্থিত প্রচুর মাত্রায় পটাশিয়াম শরীরে প্রবেশ করার পর সারা শরীরজুড়ে এক ধরনের ইলেকট্রিকাল ইমপালস ছড়িয়ে দেয়, যা পেশির শক্তি বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে সার্বিকভাবে শরীরের গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই কারণেই তো যারা বডি বিল্ডিং করেন, তাদের নিয়মিত নির্দিষ্ট পরিমাণে চেরির রস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকেরা। প্রসঙ্গত, এই প্রকৃতিক উপাদানটি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি শরীরে জলের ঘাটতি দূর করতে, নার্ভের কর্মক্ষমতা বাড়াতে এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
২. আর্থ্রাইটিস কষ্ট কমায়:
শরীরে প্রতিটি জয়েন্টে ইনফ্লেমেশন বা প্রদাহ কমানের মধ্যে দিয়ে আর্থ্রাইটিসের মতো হাড়ের রোগের চিকিৎসায় চেরি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে প্রকাশিত এই বিষয়ক একটি গবেষণায় দেখা গেছে টানা ২১ দিন এই জুসটি পান করলে অস্টিওআর্থ্রাইটিস সম্পর্কিত কষ্ট একেবারে কমে যায়। তাই আপনি যদি এমন কোনও রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকেন, তাহলে নিয়মতি এক গ্লাস করে চেরির রস খেতে ভুলবেন না যেন!
৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:
একাধিক গবেষণা দেখা গেছে চেরির শরীরে প্রচুর মাত্রায় মজুত থাকা ফ্লেবনয়েড নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টিভাইরাল প্রপাটিজ শরীরে প্রবেশ করার পর ধীরে ধীরে দেহের রোগ প্রতিরোধক দেওয়ালকে এতটাই শক্তিশালী করে তোলে যে কোনও জীবাণুর পক্ষেই এই দেওয়াল ভেদ করে শরীরের অন্দরে প্রবেশ করা সম্ভব হয়ে ওঠে না। ফলে সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যেমন কমে, তেমনি নানাবিধ রোগও ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না।
৪. ওজন কমায়:
আমাদের দেশে ওবেস মানুষের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে, তাতে চেরির জুসের জনপ্রিয়তা বাড়া উচিত চোখে পরার মতো। কারণ চেরিতে থাকা অ্যান্থোসায়ানিন নামক এক ধরনের ফ্লেবনয়েড হজম ক্ষমতাকে এতটাই বাড়িয়ে দেয় যে শরীরে অতিরিক্ত মাত্রায় ক্যালরি জমার সুযোগই পায় না। ফলে দ্রুত ওজন কমতে শুরু করে।
৫. ক্যান্সার রোগকে প্রতিরোধ করে:
২০০৩ সালে প্রকাশিত এক গবেষণা পত্রে এমনটা দাবি করা হয়েছিল যে চেরির মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে ভিতর তেকে এতটাই শক্তিশালী করে দেয় যে দেহের অন্দরে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার সুযোগই পায় না। শুধু তাই নয়, টিউমার হওয়ার আশঙ্কা কমাতেও এই ফলটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৬. পুষ্টির ঘাটতি দূর করে:
চেরির শরীরের ভেতরে প্রবেশ করলে দেখতে পাবেন এতে রয়েছে ২৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৫ গ্রাম ফাইবার, ২ গ্রাম প্রোটিন এবং সেই সঙ্গে রয়েছে দিনের চাহিদার প্রায় ৬২ শতাংশ ভিটামিন এ, ৪০ শতাংশ ভিটামিন সি, ১৪ শতাংশ ম্যাঙ্গানিজ, ১২ শতাংশ পটাশিয়াম, ১২ শতাংশ কপার এবং ৭ শতাংশ ভিটামিন কে। এই সবকটি উপাদানই নানাভাবে শরীরকে সচল রাখতে এবং রোগ-ব্যাধিকে দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এবার বুঝেছেন তো প্রতিদিন কেন চিকিৎসকেরা এই ফলটি খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন।
৭. ব্রেন পাওয়ার বাড়ায়:
চেরিতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অন্যান্য উপকারি উপাদান শরীরের অন্দরে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমানোর মধ্যে দিয়ে ব্রেন সেলের ক্ষয় রোধে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্রেন পাওয়া বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বাড়ে মনোযোগ এবং বুদ্ধির ধারও।