For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

সরষের তেলে খেলে কি সত্যিই হার্টের রোগ হয়?

বিশেষজ্ঞদের মতে হাজার বছর আগে ভারত, রোম এবং গ্রিসের অধিবাসিদের মধ্য়ে জনপ্রিয় হওয়া এই তেলটির সঙ্গে হার্টের রোগের কোনও সম্পর্ক নেই বললেই চলে।

|

বিশেষজ্ঞদের মতে হাজার বছর আগে ভারত, রোম এবং গ্রিসের অধিবাসিদের মধ্য়ে জনপ্রিয় হওয়া এই তেলটির সঙ্গে হার্টের রোগের কোনও সম্পর্ক নেই বললেই চলে। বরং একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে শরীর এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সরষের তেল বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, একথা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও মেনে নিয়েছে। তাই নিয়মিত সরষের তেলে খেলে শরীরের কোনও ক্ষতি হয়, এমনটা ভেবে নেওয়ার কোনও কারণ নেই। বরং এমনটা করলে হার্টের কর্মক্ষমতা তো বাড়েই, সেই সঙ্গে আরও অনেক উপকার পাওয়া যায়। যেমন ধরুন...

১. সংক্রমণের প্রকোপ কমে:

১. সংক্রমণের প্রকোপ কমে:

বেশ কিছু কেস স্টাডিতে দেখা গেছে সরষের তেলে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল প্রপাটিজ, দেহের অন্দরে উপস্থিত ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে। ফলে কোনও ধরনের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। সেই সঙ্গে দেহের অন্দরে প্রদাহের মাত্রা কমাতেও বিশেষ ভূমিকা নেয়। ফলে জয়েন্ট পেনের মতো সমস্যা কমতে সময় লাগে না।

২. ক্যান্সারের মতো রোগকে দূরে থাকে:

২. ক্যান্সারের মতো রোগকে দূরে থাকে:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে সরষের তেলের অন্দরে উপস্থিত লাইনোলেনিক অ্যাসিড দেহের অন্দরে প্রবেশ করার পর এমন কিছু পরিবর্তন ঘটায় যে ক্যান্সার সেল জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা একেবারে কমে যায়। বিশেষত স্টমাক এবং কোলন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে চোখে পরার মতো। প্রসঙ্গত, সাইথ ডাকোটা ইউনিভার্সিটির গবেষকদের করা এক পরীক্ষায় দেখ গেছে ক্যান্সার রোগকে দূরে রাখতে যে যে প্রকৃতিক উপাদানগুলি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, তার মধ্যে অন্যতম হল সরষের তেল।

৩. ওমেগা ত্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতি দূর করে:

৩. ওমেগা ত্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের ঘাটতি দূর করে:

বিশ্ব সংস্থার প্রকাশ করা রিপোর্ট অনুসারে সরষের তেল ওমেগা ত্রি এবং ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিডে সমৃদ্ধি, যা জয়েন্ট পেন এবং ডিপ্রেশনের মতো রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৪. যন্ত্রণা কমায়:

৪. যন্ত্রণা কমায়:

সরষের তেলে উপস্থিত অ্যান্টি-ইমফ্লেমেটারি উপাদান যে কোনও ধরনের প্রদাহ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। বিশেষত মাথা যন্ত্রণা এবং তলপেটের অস্বস্তি কমাতে এই প্রকৃতিক উপাদানটির কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।

৫. অ্যাস্থেমার প্রকোপ কমায়:

৫. অ্যাস্থেমার প্রকোপ কমায়:

শ্বাস কষ্ট হওয়ার সময় অল্প পরিমাণ সরষের তেল গরম করে তা বুকে লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করলে এয়ারফ্লো বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে ফুসফুসের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। ফলে অ্যাস্থেমার প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। তাই যারা নানা কারণে শ্বাস কষ্টে ভুগে থাকেন, তাদের সরষের তেলের সঙ্গে বন্দুত্ব রাখাটা মাস্ট!

৬. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:

৬. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:

সরষের তেলে উপস্থিত স্বাস্থ্যকর ফ্যাট স্মৃতিশক্তি বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে মনোযোগ বৃদ্ধি এবং সার্বিকভাবে মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতার উন্নতিতেও সাহায্য করে।

৭. পেশীর ক্ষমতা বাড়ে:

৭. পেশীর ক্ষমতা বাড়ে:

সরষের তেল সারা শরীরে লাগিয়ে যদি মাসাজ করা যায়, তাহলে দেহের প্রতিটি কোণায় অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্তের প্রবাহ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে পেশীর কর্মক্ষমতাও বাড়াতে শুরু করে। ফলে ছোট-বড় কোনও রোগ যেমন ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না, তেমনি সার্বিকভাবে শরীরের কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়। প্রসঙ্গত, এই তেলটিকে কাজে লাগিয়ে নিয়মিত শরীরের পরিচর্যা করতে হবে, তবেই মিলবে উপকার।

৮. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়:

৮. খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়:

একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে সরষের তেলে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা খারাপ কোলস্টেরলের মাত্রা কমানোর মধ্যে দিয়ে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা কমায়। সেই সঙ্গে শরীরের প্রতিটি কোণায় যাতে ঠিক মতো রক্ত পৌঁছে যেতে পারে সেদিকেও খেয়াল রাখে।

৯.হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:

৯.হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত সরষের তেল খাওয়া শুরু করলে পাচক রসের ক্ষরণ বেড়ে যায়। ফলে একদিকে যেমন হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটে, তেমনি গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যা কমতেও সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, বেশ কিছু পেটের রোগকে দূরে রাখতেও এই তেলটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

১০. হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ে:

১০. হার্টের কর্মক্ষমতা বাড়ে:

এক্ষেত্রে চিকিৎসকদের মধ্যে মত পার্থক্য রয়েছে ঠিকই। কিন্তু একাধিক গবেষণায় একতা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে নিয়মিত সরষের তেল খেলে হার্টের কোনও ক্ষতি হয় না। বরং হৃদপিণ্ডের কর্মক্ষমতা বাড়ে। সেই সঙ্গে হঠাৎ হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কাও হ্রাস পায়।

Read more about: রোগ শরীর
English summary

বিশেষজ্ঞদের মতে হাজার বছর আগে ভারত, রোম এবং গ্রিসের অধিবাসিদের মধ্য়ে জনপ্রিয় হওয়া এই তেলটির সঙ্গে হার্টের রোগের কোনও সম্পর্ক নেই বললেই চলে। বরং একাধিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়ে গেছে যে শরীর এবং মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে সরষের তেল বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

The health benefits of mustard oil are multiple. It is known to cure diseases and problems related to the heart, skin, joints, muscles, and so much more. Following are some of the well-known benefits of this wonder oil.
Story first published: Monday, March 26, 2018, 17:08 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion