For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

ফ্রিজে ডিম রাখলে কি হতে পারে জানেন?

১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৯০ জন এই ভুল কাজটা করে থাকেন। আর এই কারণে তাদের শরীরকেও যে বেশ ভোগান্তি পোয়াতে হয়, সে বিষযে কোনও সন্দেহ নেই!

By Nayan
|

১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৯০ জন এই ভুল কাজটা করে থাকেন। আর এই কারণে তাদের শরীরকেও যে বেশ ভোগান্তি পোয়াতে হয়, সে বিষযে কোনও সন্দেহ নেই!

একাধিক গবেষণায় একথা প্রণামিত হয়ে গেছে যে ফ্রিজের দরজার যে অংশে ডিম রাখার ব্যবস্থা করা হয়, সেখানে ভুলেও ডিম রাখা উচিত নয়। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে রেফ্রিজেরেটরের এই অংশে চাপমাত্রা মারাত্নকভাবে ওঠা-নামা করে। যে কারণে ডিম খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা তো থাকেই। সেই সঙ্গে নানাবিধ ব্যাকটেরিয়া আক্রামণে ডিম খারাপ হয়ে যায়। এইসব ডিম খেলে শরীরের যে কী হাল হতে পারে, তা নিশ্চয় আর বলে দিতে হবে না। সেই কারণে এবার থেকে ভুলেও ফ্রিজের দরজায় ডিম রাখবেন না। পরিবর্তে একটি এয়ার টাইট পাত্রে ডিম রেখে তা ফ্রিজের পেটের ভিতরে রাখবেন। এমনটা করলে একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় ডিমগুলি থাকবে। ফলে সেগুলি খারাপ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা কমবে। প্রসঙ্গত, আরও কতগুলি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। যেমন- রান্না করা ডিম ভুলেও ৩-৪ দিনের বেশি ফ্রিজে রাখা চলবে না। এর বেশি সময় ফ্রিজে রেখে সেই খাবার খেলে শরীর খারাপ হতে পারে। আর কাঁচা ডিম কখনই ৩০ দিনের বেশি রেখে খাবেন না।

এই নিয়মগুলি মেনে ফ্রিজে ডিম রাখলে খাবারটির শরীরে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান, যেমন- ভিটামিন-এ, ভিটামিন বি২, বি১২, বি৫, ভিটামিন ডি, ই, বায়োটিন, কোলিন, ফলিক অ্যাসিড এবং আয়রন একেবারে ঠিক ঠিক অবস্থায় থাকবে। ফলে এমন ডিম খেলে নানাভাবে শরীরের উপকারও হবে। যেমন...

১. পেশির শক্তি বাড়বে:

১. পেশির শক্তি বাড়বে:

ডিমে উপস্থিত প্রোটিন শরীরে প্রবেশ করার পর পেশির গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই কারণেই তো বডি বিল্ডারদের নিয়মিত ৪-৫ টা করে ডিম খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

২. ব্রেন পাওয়া বাড়বে:

২. ব্রেন পাওয়া বাড়বে:

আপনি কি ফেলুদা বা ব্যোমকেশের মতো বুদ্ধিমান হয়ে উঠতে চান? তাহলে নিয়মিত ২০ সেন্ট্রিগ্রেটে ফ্রিজে স্টোর করা ডিম খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন অল্প দিনেই সুফল পাবেন। আসলে ডিমের মধ্যে থাকা নানাবিধ ভিটামিন এবং মিনারেল শরীরে প্রবেশ করার পর নার্ভাস সিস্টেমের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মনোযোগ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে স্মৃতিশক্তি এবং বুদ্ধিরও বিকাশ ঘটে।

৩. এনার্জির ঘাটতি দূর করে:

৩. এনার্জির ঘাটতি দূর করে:

শরীরের প্রতিটি কোণায় ছড়িয়ে থাকা কোষেদের কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তোলার মধ্যে দিয়ে সার্বিকভাবে শরীরের এনার্জির ঘাটতি দূর করতে যে যে ভিটামিন এবং মিনারেলের প্রয়োজন পরে, তা সবই মজুত রয়েছে ডিমের অন্দরে। সেই কারণেই তো নিয়মিত ব্রেকফাস্টে ডিম খেলে সারাদিন শরীর চনমনে থাকে। সেই সঙ্গে কর্মক্ষমতাও বৃদ্ধি পায়।

৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

৪. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে:

ডিমে উপস্থিত ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১২ এবং সেলেনিয়াম শরীরের রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে এতটাই মজবুত করে তোলে যে ছোট-বড় কোনও রোগই ধারে কাছে ঘেঁষতে পারে না। তাই যদি সুস্থ জীবন পেতে চান, তাহলে প্রতিদিন ডিম খেতে ভুলবেন না যেন!

৫. হার্টের রোগ দূরে থাকে:

৫. হার্টের রোগ দূরে থাকে:

ডিমের অন্দরে থাকা কোলিন নামক একটি উপাদান আমাদের শরীরের মধ্যে থাকা অ্যামাইনো অ্যাসিড হোমোসিস্টিনকে ভেঙে দেয়। ফলে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, নিয়মিত ডিম খেলে শরীরে উপকারি কোলেস্টেরলের মাত্রাও বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যা খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ কমানোর মধ্যে দিয়ে হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা নেয়।

৬. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়:

৬. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়:

ডিমে উপস্থিত লুটেইন এবং জিয়েজ্যান্থিন নামক দুটি উপাদান দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো যাদের সারাদিন কম্পিউটারের সামনে বসে কাজ করতে হয়, তাদের নিয়মিত ডিম খাওয়া উচিত। প্রসঙ্গত, ডিমের অন্দরে থাকা বেশ কিছু ভিটামিনও এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো চোখের যত্নে ডিমকে কাজে লাগাতে ভুলবেন না যেন!

৭. ওজন কমায়:

৭. ওজন কমায়:

অতিরিক্ত ওজনের কারণে কপালে চিন্তার ভাঁজ পরেছে? ফিকার নট! নিয়মিত শরীরচর্চা করার পাশাপাশি ডিম খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন ওজন কমতে সময় লাগবে না। আসলে ডিমের মধ্যে থাকা প্রোটিন অনেকক্ষণ পর্যন্ত পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে বারে বারে খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে। আর কম খাবার খেলে যে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে, তা নিশ্চয় আর আলাদ করে বলে দিতে হবে না।

Read more about: রোগ শরীর
English summary

১০০ জনের মধ্যে প্রায় ৯০ জন এই ভুল কাজটা করে থাকেন। আর এই কারণে তাদের শরীরকেও যে বেশ ভোগান্তি পোয়াতে হয়, সে বিষযে কোনও সন্দেহ নেই!

Eggs should not be stored on the refrigerator door, but in the main body of the refrigerator to ensure that they keep a consistent and cool temperature.
Story first published: Tuesday, November 7, 2017, 12:04 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion