For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকের কারণে মরতে না চাইলে প্রতিদিন সামদ্রিক মাছ খেতে ভুলবেন না যেন!

জার্নাল মলিকিউলার নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড রিসার্চ-এ প্রকাশিক একটি স্টাডি অনুসারে নিয়মিত মাছ খাওয়া শুরু করলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়।

|

জার্নাল মলিকিউলার নিউট্রিশন অ্যান্ড ফুড রিসার্চ-এ প্রকাশিক একটি স্টাডি অনুসারে নিয়মিত মাছ খাওয়া শুরু করলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। আসলে মাছ খাওয়া মাত্র আমাদের শরীরে উপকারি কোলেস্টেরল এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বাড়তে শুরু করে, যে কারণে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে। প্রসঙ্গত, গত ৫ বছরে এ দেশের কমবয়সিদের মধ্যে যেহারে হার্ট অ্যাটাকের মাত্রা বেড়েছে, তাতে রোজের ডেয়েটে মাছের থাকা যে মাস্ট, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই!

মাছে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্য়াটি অ্যাসিড মূলত দু ধরনের হয়, ই পি এ (ইকোস্পেনটোনিক অ্যাসিড) এবং ডি এইচ এ (ডোকোসেহেস্কেনিক অ্যাসিড)। "ই পি এ" ফ্যাটি অ্যাসিড সামদ্রিক মাছে পাওয়া যায়। এটি রক্ত জমাট বাঁধতে দেয় না। সেই সঙ্গে প্রদাহ বা জ্বালা যন্ত্রণাও কমায়। অপরদিকে, "ডি এইচ এ" ফ্যাটি অ্যাসিড দৃষ্টিশক্তি ভাল করার পাশাপাশি ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত,মাছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিডের পাশাপাশি ভিটামিন এ এবং ভিটামিন ডি প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা একাধিক জটিল রোগকে দূরে রাখে। সেই সঙ্গে সার্বিকভাবে শরীরের গঠনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, মেলে আরও অনেক উপকার। যেমন ধরুন...

১. মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে:

১. মন চাঙ্গা হয়ে ওঠে:

বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে মাছে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে প্রবেশ করার পর "ফিল গুড" হরমোনের ক্ষরণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে মানাসিক চাপ কমতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে মন এত মাত্রায় চাঙ্গা হয়ে ওঠে যে দুঃখ ধারে কাছেও ঘেঁষতে পারে না। তাই তো বন্ধু স্ট্রেসকে যদি ডজন খানেক গোল দিতে চান, তাহলে নিয়মিত মাছ খেতে ভুলবেন না যেন!

২. স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে:

২. স্মৃতিশক্তির উন্নতি ঘটে:

প্রতিদিন সামগ্রিক মাছ খেলে শরীকে ডিএইচ এ ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, যা স্মৃতিশক্তির উন্নতিতে দারুন কাজে দেয়। এই কারণেই তো যাদের পরিবারে অ্যালঝাইমার বা ডিমেনশিয়ার মতো রোগের ইতিহাস রয়েছে, তাদের বেশি করে সামদ্রিক মাছ খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

৩. মাল্টিপেল স্কেলেরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয় কমে :

৩. মাল্টিপেল স্কেলেরোসিসের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার ভয় কমে :

একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে এই রোগের প্রকোপ কমাতে সামদ্রিক মাছে উপস্থিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড দারুন কাজে আসে। প্রসঙ্গত, স্কেলেরোসিস হল এক ধরনের নার্ভের রোগ। এতে ব্রেন এবং স্পাইনাল কর্ডের নার্ভের ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এক্ষেত্রে হাত-পায়ে অসারতা, দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া, মারাত্মক ক্লান্তি এবং পেশির কর্মক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো লক্ষণের বিহঃপ্রকাশ ঘটে।

৪. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে:

৪. দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটে:

একথা তো আমরা সবাই ছোট থেকে শুনে আসছি যে যত মাছ খাবে, তত দৃষ্টিশক্তি ভাল হবে। এই ধরণাটি কিন্তু একেবারে ভুল নয়। কারণ একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে মাছের শরীরে উপস্থিত ওমাগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড বাস্তবিকই দৃষ্টিশক্তির উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো যারা সারাদিন কম্পিউটার বা কোনও ধরনের ডিজিটাস স্ক্রিনের সামনে বসে কাজ করেন, তাদের রোজের ডায়েটে মাছ থাকা মাস্ট!

৫. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:

৫. ব্রেন পাওয়ার বৃদ্ধি পায়:

২০০৭ সালে হওয়া এক পাইলট স্টাডিতে একথা প্রমাণিত হেয় গেছে যে ব্রেন পাওয়ার বাড়াতে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, এই উপাদানটি মনোযোগ এবং বুদ্ধি বাড়াতেও বিশেষভাবে সাহায্য় করে থাকে।

৬. প্রস্টেট ক্যান্সার দূরে থাকে:

৬. প্রস্টেট ক্যান্সার দূরে থাকে:

লো ফ্যাট ডায়েট অনুসরণ করার পাশাপাশি প্রতিদিন যদি সামদ্রিক মাছ খাওয়া যায়, তাহলে প্রস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বহুলাংশে হ্রাস পায়। তাই তো বন্ধু এই মারণ রোগ থেকে দূরে তাকতে রোজের ডেয়েটে মাছের অন্তর্ভুক্তি ঘটাতে বুলবেন না যেন!

৭. হার্টের স্বাস্থ্য়ের উন্নতি ঘটে:

৭. হার্টের স্বাস্থ্য়ের উন্নতি ঘটে:

আমেরিকান জার্নাল অব সাইকোলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণা পত্র অনুসারে টানা ১ মাস সামদ্রিক মাছ খেলে হার্টের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে স্ট্রেস বা মানসিক চাপের কারণে হার্টের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও কমে। তাই বহুদিন যদি সুস্থভাবে বাঁচতে চান, তাহলে আজ থেকেই প্রতিদিন মাছ খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন দারুন উপকার মিলবে।

৮. প্রেগন্যান্সির সময়কার মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমে:

৮. প্রেগন্যান্সির সময়কার মানসিক অবসাদের প্রকোপ কমে:

গর্ভাবস্থায় বেশি করে সামদ্রিক মাছ খেলে এই সময় মানসিক অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা একেবারে থাকে না বললেই চলে। ইউনিভার্সিটি অব কনেকটিকাট স্কুল অব নার্সিং-এর প্রবাদ প্রতিম চিকিৎসক ডাঃ মিচেল প্রাইস এ প্রসঙ্গে আলোচনা করতে গিয়ে একবার বলেছিলেন, "ভাবী মায়েদের শরীরে ডি এইচ এ ফ্যাটি অ্যাসিডের মাত্রা যত বৃদ্ধি পাবে, তত মানিসক অবসাদে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমবে।"

Read more about: শরীর রোগ
English summary

Eating Fatty Fish Regularly Keeps Our Heart Healthy, Says Study

As per the study published in the journal Molecular Nutrition & Food Research, adding fatty fish to our diet, at least four times a week, may help in preventing the risk of heart diseases by increasing the amount of good cholesterol in our body.
Story first published: Thursday, April 19, 2018, 16:57 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion