Just In
Don't Miss
কম বয়সিদের নিয়মিত বাদাম এবং চকোলেট খাওয়া উচিত কেন জানেন?
বৃষ্টির পুর্বাভাস থাকলে ছাতা নিয়ে বেরনোটাই বুদ্ধি মানের কাজ, তাই না? ঠিক তেমনিই আগামী দিনে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ইচ্ছা না থাকলে এখন থেকেই নিয়মিত বাদাম এবং চকোলেট খাওয়া শুরু করুন।
বৃষ্টির পুর্বাভাস থাকলে ছাতা নিয়ে বেরনোটাই বুদ্ধি মানের কাজ, তাই না? ঠিক তেমনিই আগামী দিনে হার্টের রোগে আক্রান্ত হওয়ার ইচ্ছা না থাকলে এখন থেকেই নিয়মিত বাদাম এবং চকোলেট খাওয়া শুরু করুন। এমনটা করলে দেখবেন মাঝ পথে হৃদপিন্ডের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা যাবে কমে।
নিশ্চয় ভাবছেন বাদাম এবং চকোলেট খাওয়ার সঙ্গে হার্টের ভাল-মন্দের কী সম্পর্ক, তাই তো? আসলে বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে এই দুটি খাবারে উপস্থিত নানাবিধ উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর রক্তে উপস্থিত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। সেই সঙ্গে রক্তচাপকেও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা হ্রাস পায়। প্রসঙ্গত, কোলেস্টেরল হল সেই বিষ, যা নানা কারণে আমাদের দেশের যুব সমাজের সিংহভাগের শরীরেই বাড়ছে। তাই সময় থাকতে থাকতে যদি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া না যায়, তাহলে আগামী প্রজন্মের একটা বড় অংশেরই যে আয়ু চোখে পরার মতো কমবে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই!
প্রসঙ্গত, বাদাম এবং চকোলেটের পাশাপাশি আরও কিছু খাবার রয়েছে, যা নিয়মিত খাওয়া শুরু করলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়া। কী কী খাবার এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে? এই প্রশ্নের উত্তর পাবেন। তবে তার আগে জেনে নেওয়া জরুরি রক্তে কী কী কারণে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়? অনেক কারণে এমনটা হতে পারে। তবে মূল কারণ হল মাত্রাতিরিক্ত জাঙ্ক ফুড খাওয়ার অভ্য়াস এবং অসংলগ্ন জীবনযাত্রা। এছাড়া দৈনন্দিন ডায়েটের কারণেও কিন্তু এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। একাধিক কেস স্টাডি করে দেখা গেছে যারা মাত্রাতিরিক্ত হারে তেলতেলে খাবার খান, তাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায় সম্ভাবনা সবথেকে বেশি থাকে। প্রসঙ্গত, অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরলের কারণে হার্ট অ্যাটাক সহ নানা ধরনের জটিল রোগ হতে পারে। তাই কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লেই চিকিৎসা শুরু করা উচিত। অকারণ দেরি করলে কিন্তু বড় বিপদ হতে পারে!
এবার ফিরে যাওয়া যাক প্রথম প্রশ্নে। কী কী খাবার খেলে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণের বাইরে যাওয়ার সুযোগই পায় না? চলুন এই প্রশ্নের উত্তর জানার চেষ্টা চালানো যাক।
১. গ্রিন টি:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এই পানীয়টিতে উপস্থিত পলিফেনল নামক উপাদান দ্রুত খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি হওয়া একটি পরীক্ষায় দেখা গেছে যে পুরুষেরা নিয়মিত গ্রিন টি পান করেন, তাদের শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা সাধারণ মানুষদের তুলনায় অনেক কমে যায়। তাই ৪০-এই হার্ট অ্যাটাকের শিকার হতে না চাইলে এখন থেকেই সকাল বিকাল এই পানীয়টি খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে।
২. ওটমিল:
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে ফাইবার দারুন কাজে আসে। আর ওটসমিল হল ফাইবারে পরিপূর্ণ। তাই এই খাবারটি প্রতিদিন এক বাটি করে খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।
৩. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার:
এক গ্লাস জলে এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে একটি মিশ্রন বানিয়ে ফেলুন। দিনে দুবার এই জল খেলে দেখবেন অল্প সময়ের মধ্য়েই কোলেস্টরলের মাত্রা কমতে শুরু করবে।
৪. আমলা:
এক গ্লাস গরম জলে এক চামচ আমলা পাউডার মিশিয়ে প্রতিদিন খালি পেটে পান করুন সেই মিশ্রন। কোলেস্টরল কমাতে এটি দারুন একটি ঘরোয়া চিকিৎসা।
৫. রসুন:
এতে উপস্থিত উপকারি অ্যামাইনো অ্যাসিড, ভিটামিন এবং মিনারেল শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখাতে শুরু করে যে রক্তে এল ডি এল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করে। অন্যদিকে বাড়তে শুরু করে উপকারি কোলেস্টেরলের পরিমাণ। ফলে হার্টের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।
৬. ধনে বীজ:
কোলেস্টেরল কমাতে এটির কোনও বিকল্প নেই। এক গ্লাস জলে এক চামচ ধনে বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে জলটা একটু গরম করে নিন। দিনে দুবার এই জল খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমতে শুরু করবে।
৭. মধু ও পেঁয়াজের রস:
এক চামচ পেঁয়াজ রসের সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে দিনে একবার করে এই মিশ্রন খান। টানা কয়েক মাস খেলেই সুফল পাবেন।
৮. কমলা লেবুর রস:
এতে রেয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-সি এবং ফ্লেবোনয়েড, যা শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়। দিনে কম করে ২-৩ বার কমলা লেবুর রস খেলে উপকার পাবেন।