Just In
- 27 min ago প্রচণ্ড গরমে শরীর ঠাণ্ডা রাখতে খান সুপারফুড চিয়া সিড!
- 2 hrs ago কাঠফাটা গরমে শরীরে জলের ঘাটতি পূরণ করবে এই ফলগুলি!
- 4 hrs ago নতুন কাজে সাফল্য বৃষ ও কর্কটের, ৫ রাশির জন্য শুভ আজকের দিন, জানতে দেখুন রাশিফল
- 20 hrs ago অতিরিক্ত দই, বিস্কুট খাচ্ছেন? আপনার ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়াতে পারে, সতর্ক থাকুন
Don't Miss
দ্রুত ওজন কমাতে খাওয়া শুরু করুন কলার খোসা!
কলার খোসায় উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র এমন দাপাদাপি শুরু করে যে চর্বি গলতে বাধ্য হয়। ফলে ওজন কমে তড়তড়িয়ে।
আরে আরে যাচ্ছেন কই! দাঁড়ান দাঁড়ান। ভাববেন না শনিবারের বারবেলায় মজা করছি। বাস্তবিকই ওজন কমাতে কলার খোসার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে! দুঃখের বিষয় একটাই যে এই গুপ্তধনের সন্ধান যদি কয়েক বছর আগেও পাওয়া যাতে, তাহলে ওজন কমাতে এত দৌড়-ঝাপ করতে হত না।
আপনাদের মধ্যে যারা খাবারে কোপ বসিয়ে ওজন কমানোর পিছনে লেগে পরেছেন তারা দয়া করে একবার এই প্রবন্ধটা পড়ে ফেলুন। দেখবেন উপকার পাবেন। আসলে কলার খোসায় উপস্থিত বেশ কিছু উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করা মাত্র এমন দাপাদাপি শুরু করে যে চর্বি গলতে বাধ্য হয়। ফলে ওজন কমে তড়তড়িয়ে।
কলার খোসা আর ওজন!
ইতিহাসের পাতা ওল্টালে দেখতে পাবেন কলা হল প্রথম ফল, যা মানুষ খাওয়া শুরু করেছিল। ভাগ্যিস করেছিল, না হলে কত কিছু থেকে যে আমরা বঞ্চিত থেকে যেতাম, তা বলার নয়! গবেষণা বলেছে কলায় উপস্থিত ভিটামিন বি-৬, বি-১২, পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম শরীরের প্রায় প্রতি অঙ্গের কর্মক্ষমতা বাড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে কলায় থাকা ফাইবার একাধিক পেটের রোগের উপশমেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। কিন্তু মজার বিষয় কী জানেন! কলা যতটা না পুষ্টিকর, তার থেকে অনেক বেশি পুষ্টকর কলার খোসা। শুনতে একটু আজব লাগছে তাই তো। কিন্তু একথার মধ্যে কোনও ভুল নেই যে কলার থেকে সব দিক থেকে এগিয়ে রয়েছে তার খোসা। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আছে লুটেইন নামে একটি উপাদান। এটি দৃষ্টিশক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি ছানি প্রতিরোধে বিশেষ ভূমিকা নেয়। এছাড়াও রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শুনলে অবাক হয়ে যাবেন এই উপাদনগুলি ব্লাড প্রসোর নিয়ন্ত্রণে রাখে, কোলেস্টরল কমায় এবং সবথেক গুরুত্বপূর্ণ হল ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষভাবে সাহায্য করে।
হলুদ না সবুজ?
সম্প্রতি প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্র অনুসারে হলুদ খোসা রয়েছে এমন কলা খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। তাছাড়া হলুদ খোসায় এমন কিছু পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে, যা ক্যান্সার বিরোধী। সেই সঙ্গে শ্বেত রক্ত কণিকার উৎপানেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। অন্যদিকে সবুজ খোসা যদি খেতেই হয়, তাহলে তা কম করে ১০ মিনিট গরম জলে চুবিয়ে রাখার পর খাবেন। তাতে উপকার মিলবে বেশি। প্রসঙ্গত, আরেকটি গবেষণায় দেখা গেছে হলুদ খোসা খেলে মস্তিষ্কে সেরাটোনিন নামে একটি হরমোনের ক্ষরণ বেড়ে যায়। যে কারণে মানসিক অবসাদ একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। সেই সঙ্গে মনটাও বেশ খুশি খুশি হয়ে যায়। এবার নিশ্চয় বুঝেছেন যে কলার খোসা শুধু ওজন কমায় না, সেই সঙ্গে আরও নানা ধরনের রোগের চিকিৎসায় বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
কীভাবে খেতে হবে কলার খোসা?
কাঁচা অবস্থায় তো খেতেই পারেন। একান্ত যদি সম্ভব না হয়, তাহলে কলার খোসাটা কিছু সময় গরম জলে ভিজিয়ে চায়ের মতো করে খেতে পারেন, অথবা মিক্সিতে কলার খোসা এবং আইসক্রিম নিয়ে ভাল করে মিশিয়ে সরবত হিসেবেও পান করতে পারেন।
সবশেষে...
কী বুঝলেন বন্ধুরা। এবার থেকে কলা খাওযার পর আর খোসাটা ছুড়ে ফেলে দেবেন না ডাস্টবিনে। বরং টপ করে খেয়ে ফেলবেন। এমনটা করলে দেখবেন শরীর বাবাজিকে নিয়ে আর কখনও চিন্তাই থাকতে হবে না।