Just In
- 16 hrs ago রোদে বের হলেই মাথা যন্ত্রণা কাবু করে? মাইগ্রেন নয় তো!
- 17 hrs ago শুধু ফ্যাশন নয়, প্রখর রোদ থেকে বাঁচতে পরুন সানগ্লাস!
- 19 hrs ago অসহ্য গরমে সর্দি-কাশিতে ভুগছেন? এই ঘরোয়া প্রতিকারগুলি ট্রাই করুন
- 22 hrs ago কর্মক্ষেত্রে সমস্যা মকরের, ব্যাবসায় আর্থিক লাভ মীনের, কেমন যাবে আজকের দিন? দেখুন রাশিফল
Don't Miss
পুজোর কটা দিন ধুয়াধার খানা-পিনার পর পেট খারাপ? তাহলে খাওয়া শুরু করুন এই খাবারগুলি!
সবাই জানে পুজোর কটা দিন এদিক সেদিক খাওয়া-দাওয়ার পর পেট ছাড়াবেই ছাড়বে। কিন্তু তাই বলে তো আর মটন বিরিয়ানি বা চিকেন কাবারকে টাটা বাই বাই বলা যায় না! তাই তো বলি বন্ধু, বাকি অনেকের মতো আপনারও যদি অনিয়ন্ত্রত খাবার খাওয়ার কারণে পেট খারাপ হয়ে গিয়ে থাকে, তাহলে চিন্তার কোনও কারণ নেই। বরং এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবারগুলি খাওয়া শুরু করুন। তাহলেই দেখবেন চাঙ্গা হয়ে উঠেছেন।
আসলে বন্ধু বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে এই লেখায় উল্লেখিত খাবারগুলির অন্দরে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখা যে লুজ মোশানের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। তাই তো পেটকে ঠান্ডা রাখতে আগামী কয়েকদিন যে যে খাবারগুলি আপনাকে খেতেই হবে, সেগুলি হল...
১. আপেল:
একেবারে ঠিক শুনেছেন! লুজ মোশানের মতো রোগের চিকিৎসায় বাস্তবিকই আপেলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। আসলে এই ফলটির অন্দরে উপস্থিত পেকটিন নামক একটি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর এমন খেল দেখায় যে বারে বারে টয়লেট যাওয়ার প্রবণতা কমতে সময় লাগে না। তাই তো আগামী সাতদিন, নিয়মিত একটা করে আপেল খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন পেট একেবারে চাঙ্গা হয়ে উঠবে।
২. সেদ্ধ আলু:
বলেন কি মশাই, সেদ্ধ আলু খেলেও লুজ মোশান বন্ধু হয়ে যায়? একেবারেই! একটা সেদ্ধ আলুতে অল্প পরিমাণ নুন এবং গোলমরিচ মিশিয়ে খাওয়া শুরু করলে শরীরে এমন কিছু উপাদানের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার প্রভাবে পেট খারাপের মতো রোগের প্রকোপ কমতে সময় লাগে না। তাই এবার থেকে পেট ছাড়লে সকাল-বিকাল সেদ্ধ আলু খেতে ভুলবেন না যেন...!
৩. দই:
পেট খারাপ হলেই এক বাটি তাজা টক দই খেয়ে নেবেন। তাহলেই বারে বারে আর বাথরুম ছুটতে হবে না। আসলে টক দইয়ে প্রচুর পরিমাণে ল্যাক্টোব্যাসিলাস এবং বিফিডোব্য়াতটেরিয়াম নামে দু ধরনের ব্যাকটেরিয়া থাকে, যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি ডায়ারিয়া কমাতে দারুন উপকারে লাগে। প্রসঙ্গত, যতদিন না পেটের ব্যথা এবং পটি হওয়া কমবে, ততদিন দৈনিক ২-৩ কাপ টক দই খেয়ে যেতে হবে।
৪. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার:
পেট খারাপের প্রকোপ কমাতে এই উপাদানটি দারুন কাজে আসে। আসলে এতে থাকা প্যাকটিন নামে একটি উপাদান পেটের যন্ত্রণা কমানোর পাশাপাশি পেটকে একেবারে চাঙ্গা করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। এখন প্রশ্ন হল সরাসরি তো অ্যাপেল সিডার ভিনাগার খাওয়া যাবে না, তাহলে? কোনও চিন্তা নেই! ১ গ্লাস জলে ১ চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে নিন। প্রতিবার খাবার খাওয়ার পরে ১ গ্লাস করে এই পানীয় খেলে দারুন উপকার পাবেন। প্রসঙ্গত, ইচ্ছা হলে এই মিশ্রনে এঅল্প করে মধুও মিসিয়ে দিতে পারেন। তাতে স্বাদ ভাল হয়ে যাবে।
৫. লেবুর জল:
একেবারে ঠিক শুনেছেন! পেটের রোগের চিকিৎসায় বাস্তবিকই লেবুর জলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে! আসলে লেবুতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ পেটের অন্দরে প্রদাহ কমায়, সেই সঙ্গে এই ফলটিতে থাকা নানাবিধ খনিজ, বিশেষত পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম পেটের রোগের প্রকোপ কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
৬. কলা:
শুধু পেট খারাপ নয়, যে কোনও ধরনের পেটের রোগ সারাতেই এই ফলটি দারুন কাজে আসে। আসলে কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্যাকটিন, যা পটিকে শক্তি করতে বিশেষ ভূমিকা নেয়। সেই সঙ্গে ডায়ারিয়া বা পেট খারাপের প্রকোপ কমাতেও সাহায্য করে। এক্ষেত্রে ১ গ্লাস বাটার মিল্কে ১ টা কলা চটকে নিয়ে মিশিয়ে নিন। তারপর এই মিশ্রনটি দিনে ২-৩ বার করে খান। তাহলেই আরাম মিলতে শুরু করবে।
৭. আদা:
পেট খারাপ কমাতে আদার কোনও বিকল্প আছে বলে তো মনে হয় না। কারণ এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ফাঙ্গাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ এমন ধরনের রোগ সারাতে দারুন কাজে আসে। এক্ষেত্রে ১ কাপ বাটার মিল্কে হাফ চামচ হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে পান করুন। এই পানীয়টি দিনে ৩-৪ বার খেলেই দেখবেন সমস্যা কমতে শুরু করে দিয়েছে। প্রসঙ্গত, যাদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে তারা ভুলেও এই ঘরোয় পদ্ধতিটিকে কাজে লাগাবেন না।
৮. মৌরি:
পেট ঠান্ডা করতে মৌরিকে অনেকেই কাজে লাগিয়ে থাকেন। কিন্তু আপনাদের কি জানা আছে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি পেট খারাপের মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে? অসলে এতে উপস্থিত অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল প্রপাটিজ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমি পালন করে। ১ কাপ গরম জলে ২ চামচ মৌরি মিশিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন। সময় হয়ে গেলে জলটা ছঁকে নিয়ে পান করুন। এই মিশ্রনটি দিনে ২-৩ বার খেলেই দেখবেন সমস্যা কমতে শুরু করে দিয়েছে।
৯. ডাবের জল:
পেট খারাপের সময় দেহের অন্দরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য দূর করতে এবং জলের চাহিদা মেটাতে ডাবের জলের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। শুধু তাই নয়, প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতি দূর করে পেটের স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটাতেও এই প্রকৃতিক উপাদানটি বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, পেট খারাপের মোকাবিলা করতে দিনে কম করে ২ গ্লাস ডাবের জল খেতেই হবে। তবেই কিন্তু সুফল মিলবে!
১০. দারচিনি:
এতে রয়েছে এমন কিছু উপাদান, যা চোখের নিমেষে হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। সেই সঙ্গে পেট খারাপের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। এক্ষেত্রে দিনে ৪ বার দারচিনি পাউডার দিয়ে তৈরি চা খেলেই উপকার মিলতে শুরু করবে। প্রসঙ্গত, ১ কাপ গরম জলে ১ চামচ দারচিনি পাইডার মিশিয়ে ৫ মিনিট রেখে দিন। সময় হয়ে গেলে চা-টা পান করুন। দেখবেন পেটের রোগ ধারে কাছে ঘেঁষতে পারবে না।
১১. মেথি বীজ:
১ চামচ দইয়ের সঙ্গে ১ চামচ মেথি বীজ মিশিয়ে দিনে ২-৩ বার খেতে হবে। তাহলেই পটি পরিষ্কার হতে শুরু করবে। সেই সঙ্গে পেটে যন্ত্রণা এবং বদ হজমও কমে যাবে। প্রসঙ্গত, মেথি বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাসিলেজ নামে একটি উপাদান, যা বারে বারে পটি হওয়ার প্রবণতাকে হ্রাস করে। ফলে আপনা থেকেই কষ্ট কমে যায়।