Just In
- 15 hrs ago ঠাকুরকে নিত্যভোগ দেওয়ার সময় ঘণ্টা বাজে কেন? জানেন কি এর পিছনের রহস্য
- 16 hrs ago প্রখর রোদ থেকে স্বস্তি পেতে বাড়িতেই বানিয়ে নিন এই শরবতগুলি, ঠান্ডা রাখবে শরীরও
- 18 hrs ago গরমে এই পানীয়গুলি খেলে আপনিও থাকবেন হাইড্রেটেড ও সতেজ
- 21 hrs ago কাঠফাটা রোদ থেকে বাঁচতে কী করবেন? এড়িয়ে চলুন চা-কফি
Don't Miss
পর পর কয়েকদিন ভাল করে পটি না হলে খেতেই হবে এই খাবারগুলি! না হলে কিন্তু বিপদ...!
ঠিক মতো পেট পরিষ্কার না হলে কী হতে পারে? এক্ষেত্রে যেমন নানাবিধ পেটের রোগ মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে, এমনকি কনস্টিপেশন বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের প্রকোপ বাড়াতে পারে।
কি ভাই রোজ সকালে ঠিক মতো পেট পরিষ্কার হয় তো? হঠাৎ করে এমন প্রশ্ন করছি কেন জানেন? আসলে বেশ কয়েকটি সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে দেখা যাচ্ছে বাঙালি যুবাদের সিংহভাগই আজকাল বাড়িতে খায় না। সেই সঙ্গে এদের ডায়েট থেকে বাদ পরছে ফল-সবজিও, যে কারণে পেটের গন্ডোগোল তো হচ্ছেই, সেই সঙ্গে ঠিক মতো পটি না হওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে আকছার।
এখন প্রশ্ন হল ঠিক মতো পেট পরিষ্কার না হলে কী হতে পারে? এক্ষেত্রে যেমন নানাবিধ পেটের রোগ মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে, এমনকি কনস্টিপেশন বা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো রোগের প্রকোপ বাড়াতে পারে। শুধু তাই নয়, শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ ঠিক মতো বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ না পাওয়ার কারণে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলির উপরও খারাপ প্রভাব পরে। যে কারণে অন্য অনেক সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে। তাই তো বলি বন্ধু পর পর তিনদিন যদি ঠিক মতো পায়খানা না হয়, তাহলে শরীরকে বাঁচাতে এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবারগুলি খাওয়া শুরু করতে হবে। না হলে কিন্তু বিপদ...!
প্রসঙ্গত, যে যে খাবারগুলি নিমেষ পেট পরিষ্কার করে, সেগুলি হল...
১. জাম:
একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত এক বাটি করে জাম খাওয়া শুরু করলে শরীরে ফাইবারের মাত্রা বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যে কারণে কনস্টিপেশনের মতো সমস্যা তো দূর হয়ই, সেই সঙ্গে ঠিক মতো পটি হতে শুরু করে। শুধু তাই নয়, জামে উপস্থিত আরও নানাবিধ উপকারি উপাদান একদিকে যেমন শরীর থেকে টক্সিক উপাদানদের বার করে দেয়, তেমনি হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটতেও সময় লাগে না। শুধু তাই নয়, অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ফেলে শরীরের ওজন কমাতেও জামের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে।
২. বাদাম:
এই প্রকৃতিক উপাদানটির অন্দরে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে উপকারি ফ্যাট, প্রোটিন এবং ফাইবার। সেই সঙ্গে মজুত রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়ামও, যা স্টমাক অ্যাসিডের ক্ষরণ যাতে ঠিক মতো হয়, সেদিকে যেমন খেয়াল রাখে, তেমনি প্রতিদিন যাতে পায়খানা ঠিক মতো হয় সে রাস্তাও প্রশস্ত করে। ফলে শরীরে টক্সিক উপাদানের মাত্রা বেরে গিয়ে দেহের কোনও ধরনের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।
৩.আঙুর:
এতে উপস্থিত অদ্রবণীয় ফাইবার, পটি পরিষ্কার হতে সাহায্য করে। তাই বাওয়েল মুভমেন্ট ঠিক না হলেই দিনে হাফ বাটি কাঁচা আঙুর অথবা আঙুরের রস খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এমনটা করলেই দেখবেন সকালগুলো সুন্দর হয়ে উঠবে।
৪.লেবু:
এতে উপস্থিত লেমোনাস, হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটানোর পাশাপাশি পেট পরিষ্কার রাখতে দারুন কাজে আসে। তাই কখনও যদি দেখেন ১-২ দিন ধরে পটি ঠিক মতো হচ্ছে না তাহলে ঝটপট কয়েক গ্লাস লেবুর রস খেয়ে নেবেন। দেখবেন সঙ্গে সঙ্গে ফল পাবেন। প্রসঙ্গত, গরম জলে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে বেশি উপকার পাবেন।
৫. তিসি বীজ:
এতে রয়েছে বিপুল পরিমাণে ফাইবার এবং ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, যা পেট পরিষ্কার রাখতে নানাদিক থেকে সাহায্য করে। তাই পটি পরিষ্কার হোক, বা না হোক, প্রতিদিন তিসি বীজ জলে গুলে পান করুন। দেখবেন দারুন উপকার পাবেন। প্রসঙ্গত, এক গ্লাস জলে ১ চামচ তিসি বীজ গুলে কম করে ২-৩ ঘন্টা রেখে দিন। রাতে শুতে য়াওয়ার আগে পান করুন সেই জল। দেখবেন সকালে উঠে পেট পরিষ্কার করে পটি হয়ে যাবে।
৬. মৌরি:
একথা তো সবাই জানেন যে পেট টান্ডা করতে মৌরির কোনও বিকল্প হয় না। কিন্তু একথা কি জানা ছিল যে বাওয়েল মুভমেন্ট ঠিক রাখতেও এটি সাহায্য করে। আসলে ডায়জেস্টিভ ট্র্যাকের যে পেশি রয়েছে তার সঞ্চালন যাতে ঠিক মতো হয়, সেদিকে খেয়াল রাখে মৌরি। ফলে বদ-হজম, পেট গোলানো, কনস্টিপেশন এবং ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রমের মতো নানাবিধ রোগ একেবারে সেরে যায়। এক্ষেত্রে এক কাপ মৌরি নিয়ে ভাল করে ভেজে ফেলতে হবে। তারপর ভাজা মৌরিগুলি গুঁড়ো করে নিয়ে একটা শিশিতে স্টোর করে রাখবেন। প্রতিদিন এই গুঁড়ো মৌরি হাফ চামত করে গরম জলে গুলে খেলে নিমেষে সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
৭. মধু:
প্রতিদিন মধু খাওয়ার অভ্যাস করুন। তাহলেই দেখবেন কনস্টিপেশন এবং পটি পরিষ্কার না হাওয়ার মতো সমস্যা একেবারে কমে যাবে। আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটিতে এমন কিছু রয়েছে, যা জোলাপের মতো কাজ করে। ফলে মধু খাওয়া মাত্র পটি পরিষ্কার হতে শুরু করে দেয়। এক্ষেত্রে দিনে ৩ বার, এক গ্লাস গরম জলে ১ চামচ করে মধু এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেতে হবে।
৮. পালং শাক:
প্রতিদিন এই শাকটি খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায়। তাই যদি কনস্টিপেশনের সমস্যা থাকে তাহলে হয় রান্না করে, নয়তো কাঁচা অবস্থাতেই পালং শাক খাওয়া শুরু করে দিন। দেখবেন অল্প দিনেই কষ্ট কমে যাবে। প্রসঙ্গত, আরেক ভাবে পালং শাককে কাজে লাগানো যেতে পারে। এক গ্লাস জলের সঙ্গে ১ গ্লাস পালং শকের রস দিনে দুবার করে খেলে কনিস্টেপেশনের কোনও নাম গন্ধই থাকে না।
৯. রেড়ির তেল:
ক্ষুদ্রান্ত এবং বৃহদন্ত্রের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর মধ্যে দিয়ে বাওয়েল মুভমেন্ট ঠিক রাখতে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো প্রতিদিন সকালে খালি পেটে ১-২ চামচ রেড়ির তেলে খেলেই দেখবেন পেট খালি করে পটি হয়ে যাবে।