For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts

কলকাতাবাসী সাবধান: ডায়ারিয়ার প্রকোপ বাড়ছে কিন্তু শহরে!

দক্ষিণ এবং পূর্ব কলকাতার একাধিক ওয়ার্ডে ক্রমশ বাড়ছে ডায়ারিয়ার প্রকোপ। এমনকি অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করারও প্রয়োজন পরেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে জলের মাধ্যমেই ছড়াচ্ছে ডায়ারিয়ার জীবাণু।

By Nayan
|

ইতিমধ্য়েই ১০০০-এর বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ডায়ারিয়ায় এবং সংখ্য়াটা ক্রমশ বাড়ছে। তাই সাবধান!

প্রশ্ন হল এমন ভয়ানক পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকার উপায় কি কিছু আছে? অবশ্য়ই আছে! তবে তার জন্য় ৫ মিনিট ব্য়ায় করে এই প্রবন্ধটি একবার পড়ে ফলতে হবে। তাহলেই দেখবেন ডায়ারিয়ার মতো রোগ আপনাকে বেশি দিন ভোগাতে পারবে না।

নিশ্চয় ভাবছেন কী এমন লেখা আছে এই প্রবন্ধে, তাই তো? একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে এই প্রবন্ধটি আলোচিত খাবারগুলি খাওয়া শুরু করলে পেট খারাপের মতো সমস্যা কমতে একেবারেই সময় লাগে না। তাই এমন পরিস্থিতিতে কোনও ভাবে যদি অসুস্থ হয়েও পরেন, তাহলেও চিন্তার কোনও কারণ নেই। কারণ এখন আপনি জানেন কীভাবে ঘরোয়া উপায়ে প্রকোপ কমানো যায় ডায়ারিয়ার মতো রোগের।

দক্ষিণ এবং পূর্ব কলকাতার একাধিক ওয়ার্ডে ক্রমশ বাড়ছে ডায়ারিয়ার প্রকোপ। এমনকি অনেককে হাসপাতালে ভর্তি করারও প্রয়োজন পরেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে জলের মাধ্যমেই ছড়াচ্ছে ডায়ারিয়ার জীবাণু। তাই জল ফুটিয়ে খাওয়া শুরু করুন। সেই সঙ্গে খাওয়া শুরু করুন এই প্রবন্ধে আলোচিত খাবারগুলি। তাহলেই দেখবেন কষ্ট কমতে সময় লাগবে না। প্রসঙ্গত, যে যে খাবারগুলি ডায়ারিয়ার মতো রোগের চিকিৎসায় কাজে লাগে, সেগুলি হল...

১. সরষে বীজ:

১. সরষে বীজ:

বেশ কিছু কেস স্টাডিতে দেখা গেছে এমন পরিস্থিতিতে অল্প করে সরষে বীজ খেলে শরীরে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজের পরিমাণ বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই পেটের সংক্রমণ কমতে সময় লাগে না। প্রসঙ্গত, এক্ষেত্রে এক গ্লাস জলে ১ চামচ সরষে বীজের গুঁড়ো মিশিয়ে খেতে হবে। দিনে এই মিশ্রনটি ২-৩ বার খেলেই দেখবেন উপকার মিলতে শুরু করেছে।

২. দারচিনি:

২. দারচিনি:

এক কাপ জলে ১ চামচ দারচিনি গুঁড়ো এবং হাফ চামচ আদা মিশিয়ে জলটা ফুটিয়ে যদি খেতে পারেন, তাহলে পেটের রোগ সারতে সময়ই লাগে না। আসলে দারচিনিতে উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ এক্ষেত্রে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

৩. আদা:

৩. আদা:

২০০৭ সালে আমেরিকান ক্লিনিকাল সোসাইটির প্রকাশ করা একটি রিপোর্টে এমনটা উল্লেখ ছিল যে আদায় উপস্থিত অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রপাটিজ দেহের অন্দরে আক্রমণ শানাতে থাকা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের দ্রুত মেরে ফেলে। সেই কারণেই তো পেটের সংক্রমণের মতো রোগে এই প্রকৃতিক উপাদানটিকে ব্যবহার করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। এক্ষেত্রে এক কাপ জলে ১ চামচ আদার গুঁড়ো মিশিয়ে প্রথমে জলটা ফোটাতে হবে। তারপর জলটা ছেঁকে নিয়ে তা পান করলেই দেখবেন কেল্লাফতে!

৪. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার:

৪. অ্যাপেল সিডার ভিনিগার:

লুজ মোশান মানেই যে প্রকৃতিক উপাদানটিকে সঙ্গে রাখতে হবে, সেটি হল অ্যাপেল সিডার ভিনিগার। আসলে এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজ, ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলতে একেবারেই সময়ই নেয় না। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ডায়ারিয়ার মতো রোগের প্রকোপ কমতে দেরি লাগে না। এক্ষেত্রে এক গ্লাস হাল্কা গরম জলে ১-২ চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে পান করতে হবে। ইচ্ছা হলে এই মিশ্রনে অল্প করে মধুও মিশিয়েও খেতে পারেন।

৫. ধনে পাতা:

৫. ধনে পাতা:

এক গ্লাস জলে পরিমাণ মতো ধনে পাতা ফেলে জলটা ফুটিয়ে নিন। তারপর খেয়ে ফেলুন। এমনটা যদি প্রতিদিন করতে পারেন, তাহলে ডায়ারিয়ার কারণে হওয়া পেটের যন্ত্রণা তো কমবেই, সেই সঙ্গে বারে বারে পটি চাপার মতো ঘটনাও কমতে থাকবে। আসলে এই প্রকৃতিক উপাদানটির অন্দরে থাকা একাধিক উপকারি উপাদান শরীরে প্রবেশ করার পর পাকস্থলির কর্মক্ষমতা এতটা বাড়িয়ে দেয় যে ডায়ারিয়ার মতো রোগের প্রকোপ কমতে সময়ই লাগে না।

৬. দই:

৬. দই:

একেবারে ঠিক শুনেছেন! পেটের গন্ডগোল হলেই যে খাবারটি একেবারে প্রথমেই খাওয়া শুরু করতে হবে, সেটি হল দই। আসলে এই দুগ্ধজাত খাবারটিতে উপস্থিত উপকারি ব্যাকটেরিয়ারা শরীরে প্রবেশ করে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াদের মেরে ফেলে । সেই সঙ্গে স্টামাকের কর্মক্ষমতা এতটা বাড়িয়ে দেয় যে লুজ মোশানের ইতি ঘটতে সময় লাগে না। এখন প্রশ্ন হল এমন অবস্থায় কতটা পরিমাণে দই খেলে উপকার মিলতে পারে? এক্ষেত্রে কম করে ২-৩ কাপ দই খেতেই হবে। তবেই রোগের থেকে নিস্থার মিলবে।

৭. বেদানা:

৭. বেদানা:

যে কোনও ধরনের পেটের রোগের চিকিৎসায় বেদানার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। সেই কারণেই তো এমন ধরনের রোগে আক্রান্ত হলে এই ফলটিকে কাজে লাগানোর পরামর্শ দেন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসকেরা। আসলে এমন সময় দিনে ২-৩ গ্লাস বেদানার রস খেলে শরীরে অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ভাইরাল এবং অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল প্রপাটিজের মাত্রা বাড়তে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ডায়ারিয়ারর প্রকোপ কমতে সময় লাগে না।

৮. কলা:

৮. কলা:

এই ফলটিতে উপস্থিত পেকটিন এবং ফাইবার শরীরে প্রবেশ করার পর একদিকে যে ডায়ারিয়ার প্রকোপ কমায়, তেমনি লুজ মোশানকে আটকে শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই এমন ধরনের রোগে আক্রান্ত হলে প্রতি ঘন্টায় একটা করে কলা খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রয়োজনে কলার সঙ্গে দই যোগ করেও খেতে পারেন। এমনটা করলে দেখবেন চাঙ্গা হয়ে উঠতে একেবারেই সময় লাগবে না।

৯. হলুদ:

৯. হলুদ:

বারে বারে জলের মতো পটি, সেই সঙ্গে স্টামক পেনও আছে? তাহলে সময় নষ্ট না করে এক গ্লাস জলে হাফ চামচ হলুদ গুড়ো মিশিয়ে ঝটপট পান করে ফেলুন। দেখবেন কষ্ট একেবারে কমে যাবে। আসলে হলুদে উপস্থিত একাধিক উপকারি উপাদান পেটের সংক্রমণ কমানোর পাশাপাশি ডায়ারিয়া সংক্রান্ত নানাবিধ লক্ষণের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

Read more about: শরীর রোগ
English summary

ইতিমধ্য়েই ১০০০-এর বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন ডায়ারিয়ায় এবং সংখ্য়াটা ক্রমশ বাড়ছে। তাই সাবধান!

With reports of more symptoms of diarrhoea from adjoining areas of affected wards of Kolkata Mucipal Corporation, over 1,100 people were so far affected due to the outbreak, official said on Tuesday. As many as 10 wards of the corporation in the southern and eastern parts of the city have been affected. “About 1,150 persons have been affected and 42 have been hospitalised so far,” state’s Director of Health Services Ajoy Chakraborty said.
Story first published: Wednesday, February 14, 2018, 14:37 [IST]
X
Desktop Bottom Promotion